ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় (৭টি কার্যকারী টিপস)

5/5 - (1 vote)

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান? ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা এসইও করার মাধ্যমে কীভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে আজ বিস্তারিত আলোচনা করবো আপনাদের সাথে।

যাদের ওয়েবসাইট আছে, তাদের সবারই ইচ্ছে থাকে আমাদের ওয়েবসাইটে একটু বেশি পরিমাণ ভিজিটর আসুক। ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসার অনেক পদ্ধতি থাকলেও সবথেকে জনপ্রিয় এবং কার্যকরী একটি পদ্ধতি হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটকে যুক্ত করা এবং সেখানে থেকে ট্র্যাফিক ওয়েবসাইটে নিয়ে আসা। এছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ফ্রিতে এবং পেইড মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক নিয়ে আসা যায়।

তবে, আজ আমি আলোচনা করবো ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য আমরা কীভাবে এসইও করতে পারি। ফ্রিতে কীভাবে ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক বৃদ্ধি করতে হয় জানতে চাইলে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে। চলুন, মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য ভালো মানের কন্টেন্ট তৈরি করা, সেগুলোকে গুগল সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করা এবং প্রতিনিয়ত এসব কন্টেন্ট আপডেট করা জরুরি। এছাড়াও, যেকোনো কন্টেন্ট লেখার সময় অন পেজ অপ্টিমাইজেশন করে লিখতে হবে। অন পেজ অপ্টিমাইজেশন হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর একটি ধাপ।

এছাড়াও, অফ পেজ অপ্টিমাইজেশন করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ভিজিটর কয়েকগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায়। ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর কিছু উপায় নিয়ে নিচে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে ভিজিটরের প্রয়োজনীয়তা কী কী সেসব বিষয় জানার পর ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়গুলো নিয়ে আমরা বিস্তারিত জানবো।

ওয়েবসাইটে ভিজিটরের প্রয়োজনীয়তা

একটি ওয়েবসাইটকে একটি জীবন্ত মানুষের সাথে তুলনা করা যায়। যেমন একজন মানুষের প্রাণ থাকলেই সে মূল্যবান, তেমনি একটি ওয়েবসাইটের মূল্য নির্ধারিত হয় উক্ত ওয়েবসাইটে আসা ট্র্যাফিক বা ভিজটর এর উপর। বিশেষ করে, যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে এডসেন্স সহ বিভিন্ন অ্যাডভার্টাইজিং কোম্পানি ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি।

কারণ, আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি মানুষ আসবে, তত বেশি বিজ্ঞাপন দেখা হবে এবং তত বেশি টাকা ইনকাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সুতরাং, একটি সফল ব্লগ ওয়েবসাইট গড়ার পেছনে উক্ত ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটর অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

শুধুমাত্র ব্লগ ওয়েবসাইটই নয়, অ্যাফিলিয়েট সাইট, কিংবা ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্যও ভিজিটর অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ওয়েবসাইটকে একটি দোকান হিসেবে কল্পনা করুন। একটি দোকানে যদি মানুষ না আসে, তাহলে আপনার পণ্য বিক্রি হবেনা। আর পণ্য বিক্রি না হলে আপনার লাভ হবেনা। একইভাবে, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভিজিটর না আসে, তাহলে অ্যাড থেকে হোক কিংবা পণ্য বা সেবা বিক্রি করে, যেভাবেই আপনি ইনকাম করতে চান না কেন, সেটি বাধাগ্রস্থ হবে।

তাই, একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার যে উদ্দেশ্য, সেটি পূরণ করার জন্য উক্ত ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক বা ভিজিটর নিয়ে আসা অনেক জরুরি। ওয়েবসাইটে ভিজিটরের প্রয়োজনীয়তা কী তা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন, একটি ওয়েবসাইটে কী কী মাধ্যমে আমরা ভিজিটর বৃদ্ধি করতে পারি সেসব বিষয় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক বাড়ানোর উপায়সমূহ

ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক বাড়ানোর জন্য আমরা যেসব পদক্ষেপ নিতে পারি তার মাঝে কয়েকটি নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। আপনার ওয়েবসাইটে গুগল সার্চ ইঞ্জিন সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন থেকে বেশি পরিমাণ ভিজিটর নিয়ে আসতে চাইলে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করুন। চলুন, পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

ওয়েবসাইটে মানসম্পন্ন কন্টেন্ট পাবলিশ করুন

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর সবথেকে কার্যকরী উপায় হচ্ছে মানসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরি করা। আপনার ওয়েবসাইটটি যদি ব্লগ ওয়েবসাইট হয়ে থাকে, তাহলে ব্লগ কন্টেন্ট পাবলিশ করুন। এছাড়াও, ওয়েবসাইটের ধরনের উপর নির্ভর করে ভিডিও বা ইমেজ টাইপ কন্টেন্ট পাবলিশ করুন। এতে করে, অর্গানিকভাবে গুগল সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন থেকে মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে আসবে।

মনে করুন আপনি একটি দোকান দিয়েছেন বাজারে, কিন্তু কেউ যদি এসে দেখে আপনার দোকান ফাঁকা বা দোকানে অল্প পরিমাণ পণ্য রয়েছে। উক্ত ব্যক্তি যে পণ্যটি খুঁজছেন সেটি আপনার ওয়েবসাইটে নেই, তাহলে কী তিনি আপনার থেকে পণ্য ক্রয় করবেন? অবশ্যই না। তিনি অন্য দোকানে চলে যাবেন। পরবর্তীতে আপনার দোকানে তাকে ফিরে নাও পেতে পারেন।

ঠিক একইভাবে, একটি ওয়েবসাইটে যখন একটি ভিজিটর আসবে তার প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য, কিন্তু ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর তার চাহিদামাফিক কন্টেন্ট পেলো না, বা তার প্রয়োজনীয় বিষয়টি খুঁজে পেলো না। তাহলে উক্ত ভিজিটর অন্য ওয়েবসাইটে চলে যাবে এবং পরবর্তীতে আপানর ওয়েবসাইট ভিজিট করা থেকে বিরত থাকবে।

তাই, একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্র্যাফিক নিয়ে আসতে চাইলে অবশ্যই মানসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। মানুষ জানতে চায়, এজন্য বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে, এসব বিষয় সম্পর্কে আপনার ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট পাবলিশ করলে দ্রুত সময়ের মাঝে ভালো পরিমাণ ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারবেন।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর মাঝে কয়েকটি ধাপ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে — অন-পেজ এসইও, অফ-পেজ এসইও, টেকনিক্যাল এসইও এবং লোকাল এসইও। একটি ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করতে হবে। সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট এবং ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ইনডেক্স করতে হলে এবং সেসব কন্টেন্ট প্রথম দিকে র‍্যাঙ্ক করাতে চাইলে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা এসইও এর বিকল্প নেই।

যেকোনো ধরণের ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা এসইও এর উপরোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়। এগুলো নিয়ে নিচে আরও বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। চলুন, আরও বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

১. অন-পেজ এসইও

 একটি ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট পাবলিশ করার সময় এবং ওয়েবসাইটের ভিতরে যেসব কাজ করা হয়, সেসবকে অন-পেজ অপ্টিমাইজেশন বলা হয়। কন্টেন্ট লেখার সময় সার্চ ইঞ্জিনের দেয়া রুলস অনুসরণ করে কন্টেন্ট লেখা হলে সেসব কন্টেন্ট দ্রুত সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স হয় এবং কন্টেন্টগুলো প্রথমের দিকে র‍্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

অন-পেজ এসইও এর মাঝে অনেক বিষয় রয়েছে। তবে, একটি কন্টেন্ট লেখার সময় একজন ভিজিটর কোন কোন তথ্য জানার জন্য সার্চ করছে এবং আপনি যখন উক্ত বিষয়টি নিয়ে লিখছেন, তখন আপনি সেই বিষয়টি সম্পূর্ণ তুলে ধরছেন কিনা এটি নিশ্চিত করতে হবে। একজন ভিজিটর একটি বিষয় জানার জন্য গুগলে বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করার পর যখন আপনার ওয়েবসাইটে আসবে, তখন যদি সে তার প্রয়োজনীয় তথ্য পায়, তাহলে আবারও আপনার ওয়েবসাইটে আসবে।

সঠিক তথ্য না পেলে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেই অনেক ভিজিটর চলে যায়। এটি ওয়েবসাইটের র‍্যাঙ্কিং এর উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই, কন্টেন্ট লেখার সময় অবশ্যই এসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এছাড়াও, একদম ছোট কন্টেন্ট লেখা যাবেনা যেটি তথ্যবহুল হবেনা। তথ্যবহুল কন্টেন্ট লেখা হলে ভিজিটরদের মাঝে ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।

২. অফ-পেজ এসইও 

আমাদের ওয়েবসাইটের বাইরে যেসব কাজ করে থাকি ভিজিটর বৃদ্ধি করার জন্য, সেগুলোকে মূলত অফ-পেজ এসইও বলা হয়। আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করতে চাইলে অন-পেজ এসইও এর পাশাপাশি অফ-পেজ এসইও করতে হবে। অফ-পেজ এসইও এর মাঝে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গেস্ট পোস্ট করে ব্যাংকলিংক নেয়া, সোশ্যাল মিডিয়াতে ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো শেয়ার করা ইত্যাদি কাজ রয়েছে।

অফ-পেজ এসইও করা হলে একটি ওয়েবসাইটের ভিজিটর কয়েক গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। অফ-পেজ এসইও এর মাঝে ব্যাকলিংক বিল্ডিং অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাকলিংককে আমরা ভোট হিসেবেও গণ্য করতে পারি। যে ওয়েবপেজের জন্য যত বেশি ব্যাকলিংক, সেই ওয়েবপেজটি গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা তত বেশি। তাই, ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে।

ব্যাকলিংক করার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক নিতে পারি। এজন্য, তাদের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে আমরা ফ্রি বা পেইড পদ্ধতিতে গেস্ট পোস্ট করে ব্যাকলিংক নিতে পারবো। ব্যাকলিংক নিলে একটি ওয়েবসাইটের অথোরিটি বৃদ্ধি পায়। যে ওয়েবসাইটের অথোরিটি বেশি, সেই ওয়েবসাইটকে গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন বিশ্বাস করে বেশি।

তাই, ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অন-পেজ এসইও করার পাশাপাশি অফ-পেজ এসইও করতে হবে। তাহলে, অল্প সময়ের মাঝে একটি ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

৩. টেকনিক্যাল এসইও

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

একজন মানুষের যেমন বিভিন্ন ধরুনের রোগ হয়, ঠিক তেমনি একটি ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়ে থাকে। এসব সমস্যা সমাধান করার জন্য যেসব কাজ করা হয়, সেগুলোকে টেকনিক্যাল এসইও বলা হয়। টেকনিক্যাল এসইও এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের সব ধরনের সমস্যা খুঁজে বের করা হয়। এরপর, সেসব সমস্যা সমাধানের জন্য সকল কাজ করা হয়।

আমাদের ওয়েবসাইটের যদি একটি কন্টেন্ট ভুলবশত ডিলেট হয়ে যায় বা কোনো ইমেজ ডিলেট হয়ে যায়, তাহলে আমরা সেটি সহজেই বুঝতে পারবো না। কিন্তু, টেকনিক্যাল এসইও এর মাধ্যমে এই সমসসা অল্প সময়ের মাঝে খুঁজে বের করা এবং সমাধান করা সম্ভব।

টেকনিক্যাল এসইও না করা হলে ওয়েবসাইটে নানা ধরনের সমস্যা থাকবে। এতে করে, সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট এবং ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ইনডেক্স না হওয়া এবং ইনডেক্স হলে র‍্যাঙ্ক না করা সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই, অন-পেজ এসইও, অফ-পেজ এসইও এর পাশাপাশি ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য টেকনিক্যাল এসইও এর দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

৪. লোকাল এসইও

লোকাল বিজনেসকে গুগল ম্যাপ এবং গুগল সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্ক করার জন্য যেসব কাজ করা হয়, সেগুলোকে লোকাল এসইও বলা হয়। বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, এটিএম সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে যখন কেউ জানার জন্য গুগলে সার্চ করে, তখন লোকাল এসইও এর মাধ্যমেই বিভিন্ন রেজাল্ট প্রদান করা হয়।

যেমন – আপনি যদি গুগলে গিয়ে Best Hotel in Dhaka লিখে সার্চ করেন, তাহলে কিন্তু আপনাকে আমেরিকার কোনো শহরের হোটেল এর নাম দেখাবেনা। বরং, ঢাকা শহরের মাঝে যেসব হোটেল রয়েছে সেগুলোর মাঝে থেকে সেরা কিছু হোটেল দেখাবে। এভাবেই লোকাল এসইও কাজ করে থাকে।

লোকাল এসইও করার মাধ্যমে আপনার লোকাল বিজনেসকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে এবং গুগল ম্যাপে র‍্যাঙ্ক করিয়ে সবার উপরে নিয়ে আসতে পারবেন। এভাবে করে, লোকাল বিজনেস করার সময় আপনার প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে থাকতে পারবেন। লোকাল এসইও করে অনেকেই বিভিন্ন ব্যবসা গড়ে তুলেছে। তাই, আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করার জন্য লোকাল এসইও করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও অনেক পরিমাণ ভিজিটর ওয়েবসাইটে নিয়ে আসা সম্ভব। এজন্য, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ওয়েবসাইট সংক্রান্ত পেজ তৈরি করুন। এরপর, উক্ত পেজগুলোতে আপনার ওয়েবসাইট এবং ওয়েবসাইটে থাকা কন্টেন্টগুলো নিয়ে লেখালেখি করুন এবং ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করুন। অনেকেই আগ্রহী হয়ে ওয়েবসাইটের লিংক ভিজিট করবে।

📌 আরো পড়ুন 👇

এই পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ভালো পরিমাণ ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন। ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিনের উপর ভরসা করে থাকলে চলবেনা। সোশ্যাল শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পটেনশিয়াল ট্র্যাফিক আরও বৃদ্ধি করতে পারবেন কয়েক গুণ।

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বানানোর উপায় সম্পর্কে আমাদের মতামত 

আজকের এই পোস্টে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর উপায় নিয়ে বিভিন্ন পদ্ধতি শেয়ার করেছি। আপনার ওয়েবসাইট থাকলে এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়িয়ে নিতে পারবেন কয়েক গুণ। এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ

Sharing Is Caring

1 thought on “ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় (৭টি কার্যকারী টিপস)”

Leave a Comment