ব্যবসা করতে চাচ্ছেন কিন্তু অল্প পুঁজি। অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করতে চান কিন্তু ব্যবসার আইডিয়া পাচ্ছেন না। তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করার সেরা ১২টি পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া পাবেন।
মহান আল্লাহ্ তায়ালা সুদকে করেছেন হারাম, ব্যবসাকে করেছেন হালাল। ব্যবসা করে আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজগার করেছেন, তার সাহাবিরাও ব্যবসা করেছেন। হালাল পথে উপার্জন করতে চাইলে হালাল ব্যবসা করতে হবে। ব্যবসা করার মাধ্যমেই একজন মানুষ সফলতা লাভ করতে পারে।
কিন্তু, একজন মানুষ যখন ব্যবসা করার ইচ্ছে পোষণ করে, তখন কয়েকটি সমস্যা দেখা যায়। এগুলোর মাঝে একটি হচ্ছে অল্প পুঁজি এবং অপরটি হচ্ছে সঠিক ব্যবসা আইডিয়া। আজকে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করার কয়েকটি আইডিয়া পেয়ে যাবেন। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।
অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা
অনেকেই ব্যবসা করতে চান কিন্তু তাদের পুঁজি কম। আবার অনেকেই স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় ব্যবসা করতে চান জন্য তাদের কাছে বিনিয়োগ করার মতো অর্থ থাকেনা। আপনিও নিশ্চয়ই ব্যবসা করতে চাচ্ছেন কিন্তু পুঁজি অল্প হওয়ার কারণে কোন ব্যবসা শুরু করবেন ভেবে পাচ্ছেন না? এমন কিছু পাইকারি ব্যবসা আছে, যেগুলো অল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেও শুরু করা যায়।
আজ আমি এমন ১২টি পাইকারি ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবো, যেগুলো অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করতে পারবেন। আপনার কাছে যদি বিনিয়োগ করার মতো অর্থ তত বেশি না থাকে, কিন্তু পরিশ্রম করে ব্যবসা ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকে, তাহলে নিম্নোক্ত এই ব্যবসাগুলো থেকে যেকোনো একটি ব্যবসা পছন্দ করে সেটি শুরু করতে পারেন।
অল্প পুজিতে পাইকারি ১২টি সেরা পাইকারি ব্যবসা
অল্প পুঁজি নিয়ে শুরু করা সম্ভব এমন মোট ১২টি পাইকারি ব্যবসার নাম শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এছাড়াও, এসব ব্যবসা কীভাবে শুরু করবেন এবং এই ব্যবস গুলো করতে গিয়ে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে সবকিছু জানতে পারবেন এখানে। তো চলুন, অল্প পুজিতে করা যাবে এমন সেরা ১২টি পাইকারি ব্যবসার নামগুলো বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
- পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা
- পাইকারি ফলের ব্যবসা
- মধু বিক্রি করা
- ফাস্ট ফুডের দোকান
- ড্রপশিপিং বা রিসেলিং করা
- ফটোগ্রাফি করা
- দর্জির দোকান
- টেলিকম ব্যবসা
- বেকারির পাইকারি ব্যবসা
- পাইকারি কাঁচামালের ব্যবসা
- টিউশন সেন্টার
- ওয়েবসাইট বিক্রির ব্যবসা
পুঁজি অল্প কিন্তু পাইকারি ব্যবসা করতে ইচ্ছুক, তাহলে উপরের তালিকায় উল্লেখ করে দেয়া এই ব্যবসাগুলো আপনার জন্যই। উপরোক্ত এই তালিকায় উল্লেখ করে দেয়া সেরা ১২টি পাইকারি ব্যবসা আপনি অল্প পুঁজি নিয়েও শুরু করতে পারবেন। অল্প পুঁজি নিয়ে এই ব্যবসাগুলো শুরু করার পর পরিশ্রম করলে এবং ভালো পরিমাণ সময় দিলে অল্প সময়ের মাঝে এসব ব্যবসায় ভালো করা সম্ভব।
অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসার তালিকায় যে ১২টি সেরা ব্যবসার আইডিয়ার তালিকা দেয়া হয়েছে, এগুলো নিয়ে নিচে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তো চলুন, এসব সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা
পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা একটি লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে, তবে এটি শুরু করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। প্রথমত, বাজার সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা থাকতে হবে। আপনি কি পুরুষ, নারী, শিশুদের পোশাক বিক্রি করবেন? নাকি ফ্যাশনেবল পোশাক, নকশা করা পোশাক, নাকি ধুতি-পাঞ্জাবির মতো ঐতিহ্যবাহী পোশাক বিক্রি করবেন? বাজার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে আপনি সঠিক পণ্য নির্বাচন করতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত, আপনার পর্যাপ্ত পুঁজি থাকতে হবে। পাইকারি কাপড়ের ব্যবসায় পুঁজির প্রয়োজন হয় কারণ আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পণ্য কিনতে হবে। তবে, আপনি অল্প পুঁজি দিয়েও পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, ব্যবসার পরিসর একটু কম হবে। তবে, ধীরে ধীরে এই পরিসর বৃদ্ধি করতে পারবেন।
তৃতীয়ত, আপনাকে নির্ভরযোগ্য পোশাক সরবরাহকারী খুঁজে বের করতে হবে। আপনি স্থানীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে কিনতে পারেন অথবা বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে পারেন।
চতুর্থত, আপনাকে আপনার পণ্যের বাজারজাতকরণ করতে হবে। আপনি খুচরা বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন অথবা অনলাইনে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। অনেকেই ফেসবুকে পেজ তৈরি করে পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা করছে। আপনি চাইলে এভাবে করেও পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
পাইকারি কাপড়ের ব্যবসার কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে রয়েছে প্রতিযোগিতা, মূল্য নির্ধারণ এবং সিজনাল চাহিদা। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারলে অল্প সময়ের মাঝে এই ব্যবসা থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
পাইকারি ফলের ব্যবসা
ফলের ব্যবসার ক্ষেত্রে সিজনাল ফলের পাইকারি ব্যবসা অনেক বেশি লাভজনক হতে পারে। এখন আম, কাঁঠাল, লিচুর সিজন চলছে। আপনি চাইলে সরাসরি কৃষকের বাগান থেকে আম/কাঁঠাল/লিচু সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে পাইকারি ব্যবয়া শুরু করতে পারেন। সরাসরি বাগান থেকে ফল কিনলে অল্প দামের মাঝে কিনতে পারবেন।
এরপর, এসব ফল বিভিন্ন খুচরা দোকানে বিক্রি করার মাধ্যমে কিংবা সরাসরি নিজে বিক্রি করার মাধ্যমে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও, ফলমূল বাইরের দেশে রপ্তানি করার মাধ্যমেও পাইকারি ফলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসায় বেশি পরিমাণ পুঁজি বিনিয়োগ করতে হয় না।
আপনার কাছে যদি অল্প পুঁজি থাকে, তবুও এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তবে, এই ব্যবসা করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে এবং বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বাগান থেকে চাষিদের থেকে অল্প দামে ফলমূল ক্রয় করতে জানতে হবে। তবেই, অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা করতে পারবেন।
মধু বিক্রি করা
খাঁটি মধুর চাহিদা অনেক বেশি। মধুর মাঝে ভেজাল মিশিয়ে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী বিক্রি করছে। তাই, আপনি চাইলে খাঁটি মধু বিক্রি করা শুরু করতে পারেন। খাঁটি মধু বিক্রি করতে পারলে অনেক দ্রুত আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে। খাঁটি মধু সংগ্রহ করতে পারেন বন থেক কিংবা সরাসরি মধুর চাক থেকে। অনেকেই মধুর চাক কেটে থাকেন, তাদের সাথে যোগাযোগ করে মধুর চাক কেটে খাঁটি মধু সংগ্রহ করে মধু বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
আপনি যদি খাঁটি মধু সংগ্রহ করতে পারেন, তবে দ্রুত এই ব্যবসায় লাভবান হতে পারবেন। খাঁটি মধু সংগ্রহ করার জন্য মৌমাছি চাষ শুরু করতে পারেন।
ফাস্ট ফুডের দোকান
এলাকায় বা রাস্তার পাশে ছোট একটি ফাস্ট ফুডের দোকান দিয়ে সেখানে বিকেল বেলা থেকে রাত অব্দি কাজ করলে ভালো পরিমাণে উপার্জন করা সম্ভব। রাস্তার পাশে অনেক জায়গায় ছোট ফাস্ট ফুডের দোকান দেখে থাকবেন। অনেকেই ফুচকা, ভেলপুরি, ঝালমুড়ির দোকান দিয়ে থাকেন। মনে হতে পারে যে বিক্রি কম হয় বা লাভ কম। কিন্তু, এই ধরণের ব্যবসায় অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এই ব্যবসায় আইডিয়াটি কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ব্যবসা ভালো পর্যায়ে গেলে আরও বড় পরিসরে মুভ করতে পারবেন।
ড্রপশিপিং বা রিসেলিং করা
ড্রপশিপিং ব্যবসার নাম শুনেছেন আগে? আমরা জানি যে যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে গেলে আগে পুঁজি জমা করতে হয়। কারণ, ব্যবসায় শুরু করতে হলে পণ্য প্রয়োজন। এই পণ্য ক্রয় করার জন্য পুঁজি প্রয়োজন। কিন্তু, ড্রপশিপিং ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে বিনিয়োগ করে পণ্য ক্রয় করতে হবে না। অন্য কোম্পানির পণ্য আপনি বিক্রি করতে পারবেন। এই ড্রপশিপিং করে অনেকেই প্রচুর টাকা উপার্জন করছেন।
রিসেলিং ব্যবসার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। অন্য কারও পণ্য অল্প বেশি দামে বিক্রি করে দিয়ে আপনি কমিশন রাখতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে যারা নতুন ব্যবসায় শুরু করতে চান, তারা ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। যারা অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া খুঁজছেন, তাদের জন্য ড্রপশিপিং বা রিসেলিং ব্যবসা অনেক কার্যকরী হতে পারে।
কারণ, এই দুই ধরনের ব্যবসায় কোনো অর্থ ছাড়াই আপনি ব্যবসা করে টাকা আয় করতে পারবেন। ব্যবসা ভালো পর্যায়ে পৌঁছে গেলে আপনি চাইলে নিজেই নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
ফটোগ্রাফি করা
আজকাল ফটোগ্রাফি কাজের অনেক ডিমান্ড তৈরি হচ্ছে যা আগে তেমন দেখা যেতো না। আপনার কাছে একটি ক্যামেরা থাকলে ফটোগ্রাফি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফটোগ্রাফি করাও একটি বিজনেস। আপনি চাইলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক জায়গা বা পার্কে গিয়ে ছবি তুলে দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। অনেকেই কক্সবাজার সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফটোগ্রাফি করে থাকেন। এই ব্যবসাটি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এছাড়াও, ফটোগ্রাফি করে ভালো মানের ছবি তুলতে পারলে এই ছবিগুলো অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিক্রি করে দিতে পারবেন। ফটোগ্রাফি জানলে বিভিন্ন পদ্ধতিতে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করতে চাইলে ফটোগ্রাফির একটি দোকান দিতে পারেন। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের কাছে একটি ফটোগ্রাফির দোকান দেয়ার পর মানুষের ছবি তুলে দেয়া এবং এডিট করে দেয়ার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
অনেকেই বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ফটোগ্রাফি ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। একটি ক্যামেরা এবং একটি কম্পিউটার থাকলেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন আপনিও।
দর্জির দোকান
আপনার এলাকায় নিশ্চয়ই দর্জির দোকান রয়েছে। দর্জির কাজ পারলে একটি দর্জির দোকান দিতে পারেন আপনিও। দর্জির দোকানে আশেপাশের এলাকা থেকে অনেক কাপড় আসে। এই ব্যবসায়টি শুরু করার জন্য আপনাকে শুধু দর্জির কাজ জানতে হবে। এখন সরকারী উদ্যোগে অনেক জায়গায় দর্জির কাজ ফ্রিতে শেখানো হচ্ছে। এছাড়াও, কাজ শিখলে সেলাই মেশিন ফ্রিতে দেয়।
দর্জির কাজ শিখে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে আপনিও দর্জির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ধরণের ব্যবসা করে বসে থেকে সেলাই করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়া, এই ব্যবসায় কোনো রিস্ক নেই। যারা রিস্ক ফ্রি ব্যবসায় আইডিয়া খুঁজে থাকেন, তাদের জন্য এই ব্যবসায় আইডিয়াটি সেরা বলে আমি মনে করি।
📌 আরো পড়ুন 👇
- পত্রিকায় লেখালেখি করে আয়
- ১৫টি জনপ্রিয় ব্লগিং নিশ আইডিয়া
- কবিতা ও গল্প লিখে আয় করার উপায়
- ভিডিও এডিটিং করে আয় করার উপায়
অল্প পুঁজি দিয়ে দর্জির দোকানে একটি পাইকারি ব্যবসাও চালু করতে পারেন। অর্থাৎ, কয়েকজন দর্জিকে কাজ দিয়ে আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজ নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে কাজ করানোর মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারেন। অর্থাৎ, তারা কাজ করবে, আপনি তাদেরকে বেতন দিবেন। বিনিময়ে আপনি কিছু পরিমাণ লাভ রেখে দিবেন। এভাবে করেও অনেকেই পাইকারিভাবে দর্জির দোকান দিয়ে ব্যবসা করছে।
টেলিকম ব্যবসা
সিমে রিচার্জ, মিনিট প্যাকেজ, ইন্টারনেট প্যাকেজ সহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট রয়েছে আপনার এবং আমার এলাকার বাজারে। এই ধরণের ব্যবসাগুলোই হচ্ছে টেলিকম ব্যবসা। সিমে টাকা রিচার্জ বা বিকাশ, নগদ সহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এর এজেন্ট হয়ে আপনিও টেলিকম ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ধরণের ব্যবসায় কোম্পানি থেকে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা কমিশন দেয়া হবে।
আপনার যদি একটি মুদি দোকান বা অন্য কোন ধরণের ব্যবসায় থাকে, তবে সেখানে আপনি এজেন্ট নিয়ে এই ধরণের টেলিকম ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এতে করে, বসে থেকে ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও, অনেকেই ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে সিমের অফার বিক্রি করে থাকেন। এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন এবং একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। অনেক দোকান রয়েছে যারা শুধু এই টেলিকম ব্যবসা দিয়েই ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করছেন।
বেকারির পাইকারি ব্যবসা
কেক বা বিভিন্ন বেকারি খাবার তৈরি করতে পারলে অনলাইনে এগুলোর ব্যবসা করতে পারেন। অনেকেই ফেসবুকে কেক তৈরি করে বিক্রয় করে থাকেন। আবার, কেকের অর্ডার নিয়ে সেগুলো ডেলিভারি করেও টাকা ইনকাম করে থাকেন। আপনি যদি কেক বা বিভিন্ন মজাদার খাবার বানাতে পারেন, তবে এগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। হোম ডেলিভারি দিয়ে সহজেই টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ঘরে বসেই এই ধরণের ব্যবসা করতে পারবেন। শুধু আপনাকে বেকারি পণ্যগুলো তৈরি করা জানতে হবে। তাহলে, অন্যদের মতো আপনিও এই ধরণের ব্যবসা করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও, অনেকেই বেকারি পণ্য বিক্রি করে, তাদের থেকে এসব পণ্য ক্রয় করে পাইকারি বেকারি ব্যবসা করতে পারেন। সরাসরি কিংবা অনলাইনে দুই মাধ্যমেই বেকারির ব্যবসা করতে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
বেকারির এই ব্যবসা করতে হলে অল্প পুঁজি হলেই হবে। বেশি পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ না করেও এই ব্যবসা থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
পাইকারি কাঁচামালের ব্যবসা
পাইকারি দামে কৃষকদের থেকে কাঁচামাল ক্রয় করে সেগুলো বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার মাধ্যমে অল্প পুঁজি দিয়ে পাইকারি কাঁচামালের ব্যবসা শুরু করতে পারেন আজকে থেকেই। আপনার কাছে যদি বিনিয়োগ করার মতো বেশি অর্থ না থাকে, তবে পাইকারি কাঁচামালের ব্যবসাটি আপনার জন্য সেরা হবে।
অল্প দামে কৃষকদের জমি থেকে কাঁচামাল বা কাঁচা শাক-সবজি ক্রয় করার পর সেগুলো বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি চাইলে এসব পণ্য নিজে বিক্রি করেও ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। অল্প পুঁজি দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করে অনেক বড় আকারে নিয়ে যেতে পারবেন পরিশ্রম করলে।
টিউশন সেন্টার
আপনার এলাকায় বা বিভিন্ন স্কুলের পাশে নিশ্চয়ই অনেক টিউশন সেন্টার দেখেছেন। আপনার এলাকায় কোন স্কুল বা কলেজ থাকলে অথবা বড় কোন স্কুল বা কলেজের কাছে একটি টিউশন সেন্টার খুলতে পারেন। এতে করে, আশেপাশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদেরকে আপনার টিউশন সেন্টারে নিয়ে আসতে পারবেন। টিউশন সেন্টারে আপনি নিজে বা ভালো পড়াতে পারেন এমন শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেন।
পড়ালেখার মান ভালো করতে পারলে দুর-দুরান্ত হতে অনেক শিক্ষার্থী আসবে আপনার টিউশন সেন্টারে পড়ার জন্য। অনেক কলেজ শিক্ষার্থী তাই এমন টিউশন সেন্টার ব্যবসা শুরু করেছেন। বেকার বসে না থেকে এই ব্যবসা করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে, এই ব্যবসায় আপনি যত ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগ করবেন, ব্যবসা তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।
ওয়েবসাইট বিক্রির ব্যবসা
একটি ওয়েবসাইট থেকে যদি প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা ইনকাম হয়, হতে পারে এটি গুগল অ্যাডসেন্স থেকে কিংবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে। তবে, এই ওয়েবসাইটটি বিক্রয় করা সম্ভব ইনকাম এর ২৫-৩০ গুণ বেশি দামে। অর্থাৎ, ১০ হাজার টাকা ইনকাম হওয়া ওয়েবসাইটটি আপনি বিক্রি করতে পারবেন ১০,০০০*২৫= ২,৫০,০০০ টাকায়। আপনার কাছে যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তবে এটি বিক্রি করে দিয়ে এই পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন থেকে আয় করার জন্য এটি একটি অন্যতম মাধ্যম।
এছাড়াও, ওয়েবসাইট না থাকলে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেও টাকা উপার্জন করতে পারবেন। অনেকেই রেডিমেড ওয়েবসাইট ক্রয় করে থাকেন বা অন্যকে দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে নেন। আপনি এদের কাজ করে দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও, গুগল অ্যাডসেন্স অনুমোদন নিয়ে ওয়েবসাইট বিক্রি করতে পারবেন অনেক ভালো দামে।
এটি যদিও পাইকারি ব্যবসায়ের কাতারে পড়বে না, তবে আপনি রাইটার হায়ার করে এবং লোক নিয়োগ করে এই কাজগুলো করিয়ে নিয়ে একসাথে অনেকগুলো ওয়েবসাইট তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন। এটিকেও আমরা পাইকারি ব্যবসা বলতে পারি। এই ব্যবসা করতে হলে অল্প পুঁজি হলেও চলবে।
অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে আমাদের মতামত
আজকের এই ব্লগে আপনাদের সাথে অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করার আইডিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অল্প পুজিতে সেরা ১২টি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে পোস্টটিতে যেসব ব্যবসা আইডিয়া উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে, এগুলোর মাঝে কোন ব্যবসাটি আপনার পছন্দ হয়েছে জানাতে পারেন কমেন্ট বক্সে।
অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন। আমরা দ্রুত উত্তর দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ