আউটসোর্সিং কি এবং আউটসোর্সিং শেখার উপায় নিয়ে আজকের এই ব্লগে আপনাদের সাথে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করবো। ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চাইলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই।
আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার একটি পদ্ধতি। অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতিও বলা হয়ে থাকে এটিকে। ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতিকে আউটসোর্সিং বলা হয়। আউটসোর্সিং করে আমাদের দেশ সহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশের মানুষ এখন টাকা উপার্জন করছে।
আপনিও নিশ্চয়ই অনলাইনে ঘরে বসে টাকা উপার্জন করতে চান? ঘরে বসে টাকা উপার্জন করতে চাইলে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। তো চলুন, আউটসোর্সিং কী এবং আউটসোর্সিং শেখার উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক।
আউটসোর্সিং কি
আউটসোর্সিং হচ্ছে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে দেয়ার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা। বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ করার জন্য কর্মী নিয়োগ না করে বাইরের কাউকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়ে থাকে। এই কাজটিকেই আউটসোর্সিং বলা হয়। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে যেকোনো কাজে দক্ষ একজন ব্যক্তি টাকা উপার্জন করতে পারে।
আউটসোর্সিং করার কারণে অনেকেই এখন তাদের বেকারত্ব ঘুচাতে পারছেন। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাজ করে নেয়ার জন্য দক্ষ লোকবল খুঁজে পাচ্ছেন অনলাইনে। ফলে, তারা দক্ষ লোক দ্বারা সময়ের কাজ সময়ে করে নিতে পারছেন এবং খরচ বেঁচে যাচ্ছে অনেক।
মনে করুন আপনি একটি কাজে দক্ষ এবং এই কাজটির অনেক চাহিদা রয়েছে। দেশের বাজারে কিংবা বাইরের দেশের বাজারে এই কাজের চাহিদা থাকার কারণে অনেকেই অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে দক্ষ লক খুঁজে থাকে তাদের কাজটি করে নেয়ার জন্য। আপনি এই ধরনের মার্কেটপ্লেসে কাজ করে কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক নিতে পারবেন। এই কাজটিকেই বলা হয় আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং।
অনেকেই আউটসোর্সিং মানে বুঝেন না কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং মানে বুঝেন। আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং একই জিনিস। অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং লোকাল মার্কেটপ্লেসে কাজ করে অর্থ উপার্জন করার নামই হচ্ছে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং। এই কাজ করার মাধ্যমে নিজের কাজের পাশাপাশি অন্যের কাজ করে অর্থ উপার্জন করা যায়।
আপনিও যদি আউটসোর্সিং করে টাকা উপার্জন করতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমেই আউটসোর্সিং শিখতে হবে। আউটসোর্সিং শেখার উপায় নিয়ে নিচে আরও বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। চলুন, জেনে নেয়া যাক।
আউটসোর্সিং শেখার উপায়
আউটসোর্সিং শেখার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আউটসোর্সিং শিখতে হলে আপনাকে যেকোনো একটি কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যেকোনো একটি কাজে দক্ষতা অর্জন করার পর সেই কাজটি করে দেয়ার বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনি যদি আউটসোর্সিং শিখতে চান, তাহলে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
দক্ষতা ও আগ্রহ চিহ্নিত করুন
ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শেখার জন্য শুরুতেই আপনার দক্ষতা এবং আগ্রহ চিহ্নিত করতে হবে। আপনি কোন কোন কাজে পারদর্শী সেগুলো চিহ্নিত করুন। যেসব কাজে আপনার দক্ষতা আছে, সেসব কাজ চিহ্নিত করার পর সেগুলোতে আরও দক্ষতা অর্জন করার পর আপনি সেই কাজগুলো করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে, আপনার যদি কোনো কাজে দক্ষতা না থাকে, তাহলে প্রথমেই আপনাকে চিহ্নিত করতে হবে আপনার কোন কোন কাজের প্রতি আগ্রহ আছে। আগ্রহ আছে এমন কাজগুলো চিহ্নিত করার পর সেই কাজগুলো শেখার চেষ্টা করতে হবে এবং সেসব কাজে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে। দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে কাজ পাওয়া যাবেনা এবং কাজ পাওয়া গেলেও সেই কাজ সফলতার সাথে সম্পন্ন করা যাবেনা।
এছাড়া, যেসব কাজে আপনার আগ্রহ আছে, সেই কাজগুলো অতিদ্রুত শিখতে পারবেন এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। আউটসোর্সিং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। এসব কাজের তালিকা নিচে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। আপনি চাইলে এসব কাজের তালিকা থেকে ধারণা নিতে পারেন।
দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করুন
কোন কোন কাজের প্রতি আগ্রহ আছে এটি চিহ্নিত করার পর আপনার কাজ হবে সেসব কাজে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করা। একটি কাজ করতে পারা মানে সেই কাজে অভিজ্ঞ হওয়া নয়। একটি কাজে পটু হতে হলে আপনাকে সেই কাজটি অনবরত করতে হবে এবং নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
এছাড়া, সময়ের সাথে সাথে কাজগুলো সম্পর্কে আপডেট হতে হবে। নয়তো, আপনার জায়গা অন্য কেউ এসে মুহূর্তেই দখল করে নিবে। তাই, যে কাজের প্রতি আগ্রহ আছে সেই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করুন এবং অন্যদের তুলনায় নিজেকে অভিজ্ঞ করে তুলুন। এজন্য, গুগল সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে সার্চ করে আপনার প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন এবং জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
এছাড়া, ইউটিউব থেকে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস সম্পর্কে শিখতে পারবেন। গুগলে সার্চ করে এবং ইউটিউবে ভিডিও দেখে অনেকেই আউটসোর্সিং সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ শিখতে পারছে এবং সেসব কাজ চর্চা করার মাধ্যমে নিজেকে আরও দক্ষ ও অভিজ্ঞ করে তুলছে।
পোর্টফোলিও তৈরি করুন
আপনি যেসব কাজে পারদর্শী সেসব কাজ সংক্রান্ত একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন। আপনার কাজের বিভিন্ন প্রমাণ সহ আপনার নামে একটি ডোমেইন নাম ক্রয় করে সেখানে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর আপনার কাজগুলো এই ওয়েবসাইটে যুক্ত করুন। এত করে, কেউ যদি আপনাকে কাজ দেয়ার পূর্বে আপনার পূর্বের কাজের ডেমো দেখতে চায়, তাহলে তাকে আপনার পোর্টফোলিও দিতে পারবেন।
এজন ফ্রিল্যান্সার এর একটি পোর্টফোলিও থাকা আবশ্যক। পোর্টফোলিও সুন্দর হলে এবং প্রফেশনাল মানের হলে কাজ পাওয়া সহজ হয়। বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার জন্য প্রফেশনাল মানের একটি পোর্টফোলিও থাকতে হবে। এছাড়াও, আপনার সম্পর্কে বিস্তারিত দিয়ে একটি সিভি তৈরি করে রাখবেন। এই দুইটি কাজ করলে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে সহজ হবে।
প্রোফাইল তৈরি করুন
বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস সহ সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে প্রফেশনাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর আপনি যেসব কাজে পারদর্শী সেসব কাজ সংক্রান্ত গিগ তৈরি করতে পারেন। এতে করে, যখন একজন বায়ার আপনার গিগ দেখে আগ্রহ প্রকাশ করবে, তখন তার থেকে কাজ নেয়ার মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে সারা পৃথিবীর ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করে থাকেন। এগুলোর মাঝে বেশ কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে — Fiverr, Upwork, Freelancer, Guru, People Per Hour ইত্যাদি। এসব মার্কেটপ্লেসে আপনার নাম, ছবি এবং অন্যন্য তথ্য দিয়ে প্রোফাইল তৈরি করুন। এরপর, আপনার কাজ সম্পর্কে সেখানে পোস্ট করার মাধ্যমে এবং বিভিন্ন কাজের জন্য এপ্লাই করার মাধ্যমে কাজ নিতে পারবেন।
সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করে দেয়ার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়া, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার নাম, ছবি এবং অন্যান্য তথ্য দিয়ে প্রফেশনাল মানের একটি প্রোফাইল তৈরি করার মাধ্যমে মার্কেটপ্লেসের বাইরে লোকাল ক্লায়েন্ট এর থেকেও কাজ নিতে পারবেন। এভাবে করে আউটসোর্সিং করে অর্থ উপার্জন করছেন আমাদের দেশের অনেকেই।
কাজের জন্য আবেদন করুন
অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রোফাইল তৈরি করার পর বিভিন্ন জব পোস্টে আবেদন করুন। আপনি যেসব কাজে দক্ষ, সেসব কাজ সংক্রান্ত অনেক জব পোস্ট দেখতে পাবেন এসব মার্কেটপ্লেসে। বিশেষ করে Upwork মার্কেটপ্লেসে এমন অনেক জব পোস্ট পাবেন। এসব জব পোস্টে আপনার কাজের দক্ষতা সহ অন্যান্য তথ্য দিয়ে আবেদন করুন।
কাজের আবেদন করার পর বায়ার আপনার সাথে যোগাযোগ করে, আপনার পূর্বের কাজ দেখে এবং অন্যান্য তথ্য আদান-প্রদান করার মাধ্যমে আপনাকে কাজ দিবে। তার কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করে দেয়ার মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। মার্কেটপ্লেসভেদে অনেক সময় জব পোস্টে আবেদন করতে হয়, আবার কখনও নিজের কাজের দক্ষতা দিয়ে গিগ তৈরি করতে হয়। এভাবে করে মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করার মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করুন
পূর্বে কাজ করেছেন এমন ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখুন এবং আপনাকে কাজ দিতে পারে এমন ক্লায়েন্টদের সাথেও যোগাযোগ বজায় রাখুন। এতে করে, পুরনো ক্লায়েন্ট এর থেকে আবারও কাজ পাওয়ার সুযোগ থাকবে এবং নতুন ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
এছাড়াও, সর্বদা ক্লায়েন্টদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবেন। চেষ্টা করবেন নতুন ক্লায়েন্টদের অল্প কিছু কাজ ফ্রিতে করে দেয়ার। এতে করে, তারা আপনার কাজের উপর দক্ষতা দেখে সম্পূর্ণ কাজ আপনাকে দিয়ে দিবে। এভাবে করে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লায়েন্ট এর সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদেরকে পার্মানেন্ট ক্লায়েন্ট এ রুপান্তর করে নিতে পারবেন।
নতুন নতুন বিষয় শিখুন
আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজার। এখানে পুরো পৃথিবীর অনেকেই কাজ করে থাকেন। তাই, নিজেকে সবার থেকে এগিয়ে রাখতে হলে নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে দক্ষ করে তুলতে হবে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। প্রতিদিন নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে শিখতে হবে এবং জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
এছাড়াও, আপনার ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়রদের সাথে সর্বদা সু-সম্পর্ক বজায় রাখবেন। নেটওয়ার্কিং যত বেশি শক্তিশালী করবেন, তত ভালো সুযোগ তৈরি হবে নতুন কিছু শেখার এবং নতুন নতুন কাজ পাওয়ার। নিজেকে সময়ের সাথে সাথে আপডেট করে তুলতে হবে। এতে করে, সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
আপনি যেসব কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং করছেন, সেসব কাজ আরও দ্রুত সময়ে এবং সহজেই করার জন্য নতুন নতুন পন্থা খুঁজে বের করুন। রিসার্চ করুন এবং নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। এতে করে আপনি অন্যদের তুলনায় এগিয়ে যেতে পারবেন এবং আপনার কাজগুলো সম্পর্কে আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
এছাড়াও, যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য এবং শেখার জন্য গুগল সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে সার্চ করুন। পাশাপাশি ইউটিউব থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। ফ্রিতেই এসব প্লাটফর্ম থেকে অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও, আপনি চাইলে বিভিন্ন অনলাইন কোর্সে জয়েন করতে পারেন নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার জন্য এবং নিজের দক্ষতাকে আরও শান দেয়ার জন্য।
এতক্ষণ যাবত যেসব বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম, এসব বিষয় অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারবেন। প্রথমেই নিজের আগ্রহ খুঁজে বের করুন এবং যে কাজের প্রতি আগ্রহ আছে সেই কাজে নিজেকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ করে তুলুন। এরপর, এসব কাজ করে অর্থ উপার্জন করার জন্য বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল তৈরি করুন। এভাবে করে আউটসোর্সিং করে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আউটসোর্সিং কাজের তালিকা
এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো করে আউটসোর্সিং করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আমরা অনেকেই জানি যে, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং ইত্যাদি করে টাকা উপার্জন করা যায়। কিন্তু, এগুলো ছাড়াও আরও অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো করে আপনি প্রতি মাসে ঘরে বসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। নিচে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং কাজের একটি তালিকা উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।
- Graphic design (গ্রাফিক্স ডিজাইন)
- Social media (সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট)
- Project management (প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট)
- Web design (ওয়েব ডিজাইন)
- SEO (এসইও)
- Artificial intelligence (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স)
- Video Editing (ভিডিও এডিটিং)
- Mobile app development (মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট)
- User experience design (ইউজার এক্সপেরিএন্স ডিজাইন)
- Data Entry (ডাটা এন্ট্রি)
- Digital marketing (ডিজিটাল মার্কেটিং)
- Accounting (অ্যাকাউন্টিং)
- Blockchain (ব্লকচেইন)
- Content writing (কন্টেন্ট রাইটিং)
- Customer service (কাস্টমার সার্ভিস)
- Data analysis (ডাটা অ্যানালাইসিস)
- E-commerce (ই-কমার্স)
- General virtual assistance (ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্ট)
- Copywriting (কপিড়াইটিং)
- Creativity (ক্রিয়েটিভিটি)
- Cybersecurity (সাইবার সিকিউরিটি)
- Market research (মার্কেট রিসার্চ)
- Sales (সেলস)
- Scripting (স্ক্রিপ্টিং)
উপরের এই তালিকায় উল্লেখ করে দেয়া কাজগুলো ছাড়াও আরও অসংখ্য কাজ করে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস সহ লোকাল মার্কেটপ্লেসে আউটসোর্সিং করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেকোনো একটি মার্কেটপ্লেস ভিজিট করার পর কাজের তালিকা থেকে দেখতে পারবেন আরও কত কাজ করার মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এখানে যে তালিকা দেয়া হয়েছে, এই তালিকায় থাকা কাজগুলোর ভিতরে আরও অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। এছাড়াও, এখানে অনেক কাজের নাম যুক্ত করা হয়নি। তাহলে একবার চিন্তা করে দেখুন আপনার সামনে কত কাজের সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে। আপনি যদি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে এসব কাজ করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন ঘরে বসেই।
📌 আরো পড়ুন 👇
তাহলে আর দেরি কেন? অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে এই পোস্টে উল্লেখ করে দেয়া ধাপগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আজ থেকেই নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করার চেস্টা করুন এবং বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল তৈরি করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা শুরু করুন। আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর নিচে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।
আউটসোর্সিং সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নউত্তর
আউটসোর্সিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
আউটসোর্সিং করে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা অব্দি ইনকাম করতে পারবেন। আউটসোর্সিং করে কত টাকা উপার্জন করতে পারবেন তা নির্ভর করবে আপনি কোন কাজ করছেন এবং উক্ত কাজের উপর আপনার দক্ষতা কেমন।
ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং কি এক?
হ্যাঁ, ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং একই জিনিস। ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং করে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে অন্যের কাজ করে দেয়ার বিনিময়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে যেকোনো একটি কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
আউটসোর্সিং কাজের চাহিদা কেমন?
আমাদের দেশে এবং দেশের বাইরে আউটসোর্সিং কাজের চাহিদা অনেক। আউটসোর্সিং করে অনেকেই প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা অব্দি উপার্জন করছেন। যেকোনো কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করার পর সেই কাজ করে প্রতি মাসে অনেক ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যায় জন্য অনেকেই এখন আউটসোর্সিং এর দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
আউটসোর্সিং করতে হলে কি কি জানতে হবে?
আউটসোর্সিং করতে হলে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে এবং আপনি যে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে চান সেই কাজ জানতে হবে। কাজ জানলেই আপনি কাজ করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে, কাজের উপর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকলে সেই কাজ করে দীর্ঘদিন টাকা আয় করতে পারবেন।
কেন আউটসোর্সিং করা হয়?
আউটসোর্সিং করা হয় টাকা উপার্জন করার জন্য। এছাড়া, বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আউটসোর্সিং করে থাকেন তাদের কাজ করে নেয়ার জন্য। বায়াররা কাজ করে নেয়ার জন্য আউটসোর্সিং করেন এবং ফ্রিলান্সাররা টাকা আয় করার জন্য আউটসোর্সিং করে থাকেন।
আউটসোর্সিং এর সুবিধা কি?
আউটসোর্সিং এর সুবিধা হচ্ছে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা উপার্জন করা যায়। এজন্য অফিস যেতে হয়না এবং চাইলে যেকোনো জায়গাতে বসেই কাজ করা যায়।
আউটসোর্সিং সম্পর্কে আমাদের মতামত
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে আউটসোর্সিং কি, আউটসোর্সিং শেখার উপায় এবং আউটসোর্সিং করে টাকা ইনকাম করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে আউটসোর্সিং করে অর্থ উপার্জন করার ধাপগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও, আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান, তাহলে এই পোস্টে উল্লেখ করে দেয়া বিষয়গুলো কাজে লাগাতে পারবেন।
আউটসোর্সিং সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন। আমরা দ্রুত উত্তর দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ