অসংখ্য ছোট উদ্যোক্তারা রয়েছেন যারা প্রথম অবস্থায় তুলনামূলক কম পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে চান। খোঁজ নিলে দেখা যায় আমাদের দেশেই এমন অসাধারণ কিছু ছোট ব্যবসা রয়েছে যেগুলো পরিচালনা করে ব্যবসায়ীরা খুব দ্রুত পুঁজি বাড়াতে পারছেন এবং তাদের ব্যবসায় আরো নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের চাকরির সুযোগ করে দিতে সমর্থ্য হচ্ছেন। তবে স্থান অনুযায়ী ছোট ব্যবসার ধরন কিছুটা ভিন্নতা বহন করে। যেমন: গ্রামে যে ধরনের ছোট ব্যবসা করে লাভবান হওয়া যায়, শহরের ক্ষেত্রে ঠিক তার অন্যরকম।
তাই যে কোন উদ্যোক্তাকে ব্যবসা পরিচালনা করার পূর্বে অবশ্যই স্থান, কাল এবং পুঁজি বিবেচনা করে নিতে হবে। আজকের আর্টিকেলে আমরা গ্রামের ছোট ব্যবসার তালিকা, শহরে ব্যবসার আইডিয়া, ছোট ব্যবসার আইডিয়া এবং অল্প পুজিতে করা যায় এমন কয়েকটি ব্যবসার তালিকা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি জুড়ে সাথেই থাকুন।
গ্রামে ছোট ব্যবসার আইডিয়া
শহরের সাথে গ্রামের ব্যবসায়ের লেনদেনের ভলিউম আমি কিছুটা ভিন্ন প্রকৃতির হয়ে থাকে। তবে শহরের ব্যবসায়ের তুলনায় গ্রামের ব্যবসা তুলনামূলক বেশ কিছুটা সহজ হয়ে থাকে। তবে গ্রামের ব্যবসায়ের কিছুটা অসুবিধা হলো গ্রামে তুলনামূলক জনবল, কাজ পরিচালনা করা কিছুটা কঠিন এবং এখানে খরচ তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম হয়ে থাকে। গ্রামে সহজে পরিচালনা করা যায় এমন কয়েকটি ব্যবসার নাম নিচে তুলে ধরা হলো:
- তাজা ও ফরমালিন মুক্ত সবজি এবং মাছের ব্যবসা,
- একই স্থানে মাছ ও মুরগির খামার একত্রে করে যৌথ ব্যবসা,
- বাণিজ্যিকভাবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা,
- সরিষার তেল, সূর্যমুখী তেল, নারিকেল তেল এর ব্যবসা,
- কৃষি যন্ত্রপাতি মেরামত ও তৈরির ব্যবসা,
- অর্গানিক সার ও কীটনাশক তৈরিরির ব্যবসা,
শহরে ব্যবসার আইডিয়া
গ্রামে তুলনায় শহরে যে কোন ব্যবসায়ে তুলনামূলক জনসংগম বেশি হয় এবং সঠিক জায়গায় ব্যবসা নির্বাচন করলে ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য এটি বেশ বড় একটা ফ্যাক্টর। তবে শহরের ব্যবসায়ের একটি বড় সমস্যা হল, এখানে কারণে-অকারণে চাঁদা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, যা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে আপনার বিনিয়োগ এবং পরিকল্পনার সাথে মিলে যেতে পারে এমন বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে শহরে। নিচে কম পুঁজিতে অধিক সম্ভাবনাময় কয়েকটি ব্যবসার তালিকা তুলে ধরা হলো:
- ভিডিও এডিটিং এর ব্যবসা,
- রড,সিমেন্ট সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবসা,
- অর্গানিক ফুড এর ব্যবসা,
- স্টেশনারী শপ ও মেডিসিন এর ব্যবসা,
- ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা,
- ক্যাটারিং সার্ভিস এর ব্যবসা,
- মোবাইল ফোন সহ সকল ধরনের গেজেট রিপেয়ারিং,
- ইনডোর স্পোর্টস এর ব্যবসা,
- বই বা স্টেশনারী দোকান,
- হোমমেড ফুড ডেলিভারি ব্যবসা,
- ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,
- ফ্রেশ জুস বার।
অল্প পুজির ১২ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া
ছোট এবং বড় প্রকারভেদে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে যা আপনি আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী এবং পুঁজি হিসাব করে শুরু করতে পারেন। নিচে আমরা অল্প পুঁজির ১২ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
১) অনলাইনে পোশাক বিক্রয়ের ব্যবসা
বাংলাদেশের পোশাক তৈরির চাহিদা দেশের ভেতরে যেমন রয়েছে দেশের বাইরে ও ঠিক সেভাবেই রয়েছে। বর্তমানে অনেক উদ্যোক্তা রয়েছেন যারা খুব কম পুজিতে পাইকারি দোকান থেকে পোশাক ক্রয় করে অনলাইনের মাধ্যমেতা বিক্রি করছেন। বিশেষ করে ফেসবুক, instagram, ই কমার্স বিভিন্ন সাইটে পোশাক বিক্রয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। মানুষ ন্যায্য মূল্যে ঘরে বসে পছন্দের পোশাকটি হাতে পায় বলে এখন অনেকেই মার্কেটে গিয়ে পোশাক ক্রয় করতে পছন্দ করেন না।
মাত্র ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পুজি হলেই যে কোন ব্যবসায়ী অনলাইনের ব্যবসার কিছু ধারণা নিয়ে তৈরি করতে পারেন অনলাইনে পোশাক বিক্রয়ের ব্যবসা। কিছুদিনের মধ্যে আপনার ব্রান্ড টি সকলের কাছে পরিচিত হলেই খুব দ্রুত পুঁজি বাড়াতে পারবেন।
আরো পড়ুন: অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
২) অনলাইনে ফুড ডেলিভারির ব্যবসা
আপনি যদি শহরে বসবাস করে থাকেন তাহলে অনলাইনে ফুড ডেলিভারির ব্যবসা আপনার জন্য খুবই লাভজনক হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার বা ঘরে তৈরি প্রতিবেলার খাবার বানিয়ে নিকটস্থ অফিস কর্মচারীদের কাছে বা স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দিয়ে কাঙ্খিত মুনাফা অর্জন করতে পারেন। তবে অনলাইনে ফুড ডেলিভারির জন্য অবশ্যই আপনাকে আস্থাভাজন হতে হবে এবং আপনার খাবার যেন শতভাগ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে এই কাজটি একার দ্বারা সম্ভব হয় না, কারণ খাবার ডেলিভারি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ডেলিভারি ম্যানের সাহায্য নিতে হবে।
৩) অর্গানিক ফার্মিং এর ব্যবসা
অর্গানিক পণ্য বলতে বোঝায় যেসব ফসল উৎপাদন করতে কৃত্রিম সংযোজন বা হরমোন পরিবর্তন করা হয় না সেগুলোকে। এসব অর্গানিক পণ্যগুলোতে কোন রকমের কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। এই কৃতিমাতা শহরে বর্তমানে অর্গানিক পণ্যের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্গানিক ফার্মিং এর ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারেন কিন্তু তার আগে আপনাকে মার্কেট যাচাই-বাছাই করার জন্য পর্যাপ্ত সময় নিতে হবে।
নিজের জমিতে অর্গানিক শাকসবজি, ফলমূল বা মসলা উৎপাদন করতে পারেন এবং তা বাজারে সরবরাহ করার মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে অর্গানিক চাষ সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান না থাকলে কোনোভাবেই আপনি কীটনাশক ছাড়া ফসল উৎপাদন করতে পারবেন না। তাই অর্গানিক চাষ করার আগে অবশ্যই কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন এবং সে অনুযায়ী কাজ করুন।
৪) গ্রাফিক্স ডিজাইন ও প্রিন্টিং সার্ভিস এর ব্যবসা
যারা ব্যবসা করেন তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে পোস্টার, ফ্লায়ার, ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদি ডিজাইন ও প্রিন্টিং সার্ভিসের প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া যখন কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তখন সেখানে প্রচুর পরিমাণে ব্যানার ও পোস্টার লাগে যার যোগান দেওয়ার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার এবং প্রিন্টিং সার্ভিস এর প্রয়োজন হয়। আপনি শহরে বা গ্রামে যেখানেই বসবাস করে থাকেন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ জানলে বা প্রিন্টিং সার্ভিস এর ব্যবসা থাকলে এই ধরনের কাজগুলো করতে পারেন। ছোটখাটো একটি দোকান ভাড়া নিয়ে এবং একটি প্রিন্টার ক্রয় করে আপনিও শুরু করতে পারেন পৃন্টিং সার্ভিস এর ব্যবসা। যা অল্প সময় এবং পুঁজির মধ্যে খুবই লাভজনক।
৫)ফ্রেশ জুস বার এর ব্যবসা
খুব কম পুঁজিতেই শুরু করতে পারেন ফ্রেশ জুস বার এর ব্যবসা। কারণ জুস বারের ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজন হবে কাপ, গ্লাস, ব্লেন্ডার মেশিন এবং ছোট দোকানের জন্য ভাড়া ইত্যাদি। গরমের দিনে ফ্রেশ জুস শহরাঞ্চলে বেশ ভালো চলে। লোকালয় রয়েছে এমন জায়গায় ছোট একটি দোকান ভাড়া করে ফ্রেশ জুসবার এর ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। তবে শীতকালে এই ব্যবসায়ের অবস্থা খুব একটা ভালো থাকে না। তাই এই ব্যবসা কে মৌসুমী ব্যবসা হিসেবে আপনি ধরতে পারেন। যেমন: গ্রীষ্মকালে ফ্রেশ জুস এর ব্যবসা করলেন এবং শীতকালে অন্য কোন ছোট ব্যবসা বেছে নিলেন। এভাবে ধীরে ধীরে পুঁজি বাড়াতে পারবেন।
৬) ফাস্টফুডের ব্যবসা
ছোট থেকে বড় পর্যন্ত সন্ধান মুখরোচক খাবার হিসেবে ফাস্টফুড পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। অনেকেই সন্ধ্যা হলে ফাস্টফুডের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন। শহরে যেত ফাস্টফুডের দোকানের অভাব নেই, সেহেতু আপনি ফাস্টফুডের ব্যবসা করতে চাইলে আপনাকে কিছুটা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হবে। যেমন: আপনার তৈরিকৃত ফাস্টফুডের সাইজ কিছুটা বড় করে তুলনামূলক দাম অন্যদের থেকে কম রাখতে পারেন। প্রথমদিকে ব্যবসায় এই পদ্ধতিতে দাঁড় করাতে পারলে পরবর্তী পর্যায়ে আপনার অধিক পুঁজি সংগ্রহ করতে তেমন কোন সমস্যা হবে না। তবে গ্রামে ব্যবসা হোক বা শহরে, ফাস্টফুডের ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে লোকসমাগম রয়েছে এমন জায়গা বাছাই করতে হবে।
৭) ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কম পুঁজির ব্যবসা হলেও এখানে আপনার একটা টিমের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। তবে আপনার ভেতর যদি ক্রিয়েটিভিটি না থাকে তাহলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা আপনার জন্য নয়। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসার জন্য আপনাকে রুচি সম্মতভাবে পরিকল্পনা করতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এই ব্যবসায়ের মূল টার্গেট হলো গ্রাহকদের চাওয়া পাওয়াকে গুরুত্ব দেওয়া। যেহেতু গ্রাহকদের চাওয়া পাওয়া ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে তাই একার পক্ষে সব ধরনের ক্রাইটেরিয়া ফুল ফিল করা সম্ভব নয়, তাই এক্ষেত্রে এটি টিমের মাধ্যমে কাজ করলে আপনার জন্য কাজটি সহজ এবং সুন্দর হবে।
৮) অ্যাক্সেসরিজের দোকান
বর্তমানে বাংলাদেশের মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ৬৩ লক্ষ। এ বিপুল পরিমাণ গ্রাহকের প্রতিনিয়ত মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাক্সেসরিজ কেনার প্রয়োজন হয়। মোবাইলের অ্যাক্সেসরিজ ছাড়াও আরো বিভিন্ন গেজেটের এক্সেসরিজ রয়েছে যা প্রতিনিয়ত ক্রয় করার জন্য গ্রাহকরা দোকানে ভিড় জমায়। আপনি আপনার বাজেট বিবেচনা করে এক্সেসরিজের দোকান প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। অ্যাক্সেসরিজের দোকান প্রতিষ্ঠা করার সময় খেয়াল রাখবেন দোকানটি যেন লোকালয়ে অবস্থিত হয়।
৯) লাইব্রেরী বা স্টেশনারীর দোকান
স্কুল, কলেজ বা ইউনিভার্সিটি এর পাশে লাইব্রেরী অথবা ষ্টেশনারির দোকান প্রতিষ্ঠা করলে ভালো ফল পাবেন বলে আশা করছি। তবে লাইব্রেরী বা স্টেশনারীর দোকান প্রতিষ্ঠা করতে কমপক্ষে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। কিন্তু দোকান প্রতিষ্ঠা করার পর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তুলনামূলক ভালো সাড়া পাওয়া যায়, যদি বিক্রেতার ব্যবহার ভালো হয় এবং একই দোকানে সব ধরনের পণ্য থাকে। তাই আপনার পুঁজি যদি মাঝারি ধরনের হয়ে থাকে তাহলে গ্রামে বা শহরে যে কোন জায়গায় লাইব্রেরী বা স্টেশনারির দোকান প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।।
আরো পড়ুন: কবিতা ও গল্প লিখে আয় করার উপায়
১০) বুটিক হাউজ এর ব্যবসা
যারা সেলাই করতে পছন্দ করেন, নিজস্ব ডিজাইনের কাপড় বানাতে পছন্দ করেন তাদের জন্য বুটিক হাউস বেশ ভালো একটি ব্যবসা। তবে আপনার যদি সৃজনশীল ডিজাইন দক্ষতা না থাকে তাহলে বুটিক হাউস এর ব্যবসা করা আপনার জন্য খুব একটা সহজ হবে না। বুটিক হাউস এর ব্যবসা করে তারাই উন্নতি করতে পারে যাতে ফ্যাশন ট্রেন্ড সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা থাকে। ফ্যাশন ফ্রেন্ড অনুসরণ করে তার সাথে আরো কিছু স্বকীয়তা যোগ করে প্রতিষ্ঠা করে ফেলুন বুটিক হাউস, যেখানে আপনার মূল ক্রেতারা থাকবে তরুণ এবং তরুণী। যেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন তার আশেপাশে ক্রেতারা কি ধরনের পণ্য চায় এবং কোন ধরনের পূর্ণ তারা এভোয়েড করে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
১১) ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা
মানুষ বরাবর ই ভ্রমণ প্রেমী, ছুটির দিনে বা অবসর সময়ে মানুষ নিজের পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করে। আপনিও সামান্য কিছু পুঁজি খাটিয়ে শুরু করতে পারেন ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা। সুবিধা অনুযায়ী ডেট ফিক্স করে বিভিন্ন জায়গায় ট্যুরের জন্য বিজ্ঞাপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন। আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছ থেকে ন্যূনতম এমাউন্ট দিয়ে প্রথম দিকে দেশের ভিতরে এবং পরবর্তীতে দেশের বাইরে ও ট্যুর প্লান করতে পারেন। খুব কম সময়ের মধ্যেই এ ব্যবসা করে অনেকেই লাভবান হন।
১২) বিউটি পার্লারের ব্যবসা
বিউটি পার্লারে কাজ করার জন্য প্রথমে আপনাকে বিউটি ট্রেনিং গ্রহণ করতে হবে। বিউটি ট্রেনিং গ্রহণ করার পর প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহ করে বিউটি পার্লারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। শহর বা গ্রাম বিবেচনায় বিউটি পার্লারের পুজির পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে। আবার সাজসজ্জার উপর ভিত্তি করেও বিউটি পার্লারের ব্যবসার পুঁজি নির্ধারিত হয়। তবে আপনার কাছে যদি অধিক পরিমাণ পুঁজি না থাকে তাহলে কম পুঁজি দিয়েই এ ব্যবসা শুরু করুন। অনেক ক্লাইন্ট রয়েছে যারা আধুনিক সাজসজ্জার বদলে হাতের ভালো কাজ বেশি পছন্দ করে থাকেন। সুতরাং, ভালো করে ট্রেনিং নিয়ে বিউটি পার্লারের ছোট ব্যবসা শুরু করলেও আপনি ধীরে ধীরে উন্নতি করতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
📌 আরো পড়ুন 👇
ছোট ব্যবসার তালিকা সম্পর্কে আমাদের মতামত
আজকের আর্টিকেলে আমরা বেশ কিছু ছোট ব্যবসার তালিকা আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তবে এলাকা ভেদে আরও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে যেগুলো চাইলেই আপনি করতে পারেন। আপনি আপনার সুবিধামতো যেকোনো একটি ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন, তবে ব্যবসা পরিচালনা করার আগে কিছুটা ব্যবসায় সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যাবশ্যক। আজকের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি সামান্যতম জ্ঞান অর্জন করেন তবে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং এরকম তথ্যবহুল আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।