মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা আদৌ কি সম্ভব? হ্যাঁ, অবশ্যই সম্ভব। বর্তমান বিশ্ব এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও দিন যত যাচ্ছে ততই স্মার্ট হয়ে চলেছে। এই সময়ের মোবাইল ফোনগুলোতে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের মতই সমস্ত ফিচার ব্যবহার করা যায় শুধুমাত্র স্পেসিফিক কিছু অপশন ছাড়া। তাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আপনি অনায়াসেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। আজকের ব্লগে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো কিভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।
আমাদের আশেপাশের অনেকেই মনে করেন ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাবাও বোকামি। তবে দিন যত এগিয়ে যাচ্ছে মানুষের চিন্তা ভাবনাও ততটাই স্মার্ট হচ্ছে। বর্তমান প্রজন্মে শুধুমাত্র ছেলেমেয়েরাই নয় তাদের বাবা-মায়েরাও ফ্রিল্যান্সিং শেখাতে বেশ উৎসাহী ভূমিকা পালন করে। এখন সমাজের প্রায় ৯০% মানুষ বিশ্বাস করে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা সম্ভব।
বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কিন্তু চাকরি ক্ষেত্রে দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। আমাদের শিক্ষার হার যতটাই বেশি তার থেকেও চাকরির হার অনেকটাই কম। শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা এতটাই বেড়ে গেছে যে তাদের ভবিষ্যৎ গোছানোর জন্য একমাত্র পথ হিসাবে ফ্রিল্যান্সিংই খোলা আছে। তাই আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে আপনিও নিজের স্কিলকে ডেভেলাপ করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের নাম লেখাতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কি?
ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা মূলত মুক্ত পেশাকে বুঝি অর্থাৎ আমি যে কাজটা করব সেটার ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আমার থাকবে। আমার কারো অর্ডার ফলো করতে হবে না আমাকে কেউ ফোর্স করবেনা কাজ করার জন্য। আমি আমার সময় অনুযায়ী এবং আমার মন মানসিকতা অনুযায়ী নিজের স্বাধীনতা মত কাজ করতে পারবো। এই ক্ষেত্রে সময়টা এবং কাজের পরিমাণটা সম্পূর্ণ আমার নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী হবে। এটাকেই মুক্ত পেশা বা ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।
আমরা যখন কোন চাকরি করি তখন আমাদের একটা নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আমাদের অফিস টাইমটা ফিক্সড থাকে। সেই সময়ের বাইরে গেলে আমাদের বেতন থেকে টাকা কাটা যায় অনেক সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খারাপ ব্যবহার করতে হয়। এছাড়াও রয়েছে কাজের ব্যাপক চাপ। শরীর খারাপ হোক কিংবা বিশেষ দিন কোনটাতেই নিস্তার পাওয়া সম্ভব হয় না। এই সবগুলো সমস্যার সমাধান হতে পারে এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর।
আপনি কি ভেবে দেখেছেন আপনি একটা জব করছেন যেখানে কেউ আপনার উপর কথা বলছে না, কেউ আপনাকে সময় নির্ধারণ করে দিচ্ছে না, আপনি কাজ না করলেও কেউ আপনার উপর মেজাজ দেখাচ্ছেনা, আপনি যখন খুশি কাজ করছেন এবং যখন খুশি সেটা বন্ধ রাখছেন, আপনি ইচ্ছে করলেই পরিবারের সাথে যে কোন জায়গায় চলে যাচ্ছেন এবং সেখান থেকেই আপনি আপনার কাজটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন এর থেকে বড় আরামদায়ক কাজ আর কোনটি হতে পারে বলে আমার জানা নেই।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?
ফ্রিল্যান্সিং শেখার ক্ষেত্রে প্রথম প্রথম আমাদের অনেকের কাছেই ডেক্সটপ অথবা ল্যাপটপ থাকে না। এখন প্রশ্ন হতে পারে তাহলে আমরা কি করতে পারি তাহলে তো অপশন একটাই থাকে সেটা হচ্ছে মোবাইল! তাহলে, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি যদি স্মার্টফোন হয় আর তাতে যদি থাকে ইন্টারনেট কানেকশন তাহলেই আপনার পক্ষে ফ্রিল্যান্সিং শেখা একেবারেই অসম্ভব কিছু নয়।
চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক কি কি উপায়ে আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন আশা করছি নিচের যে পয়েন্টগুলো আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে সেগুলো আপনাদের জন্য ভীষণ উপকারী হবে এবং যুগ উপযোগী সহজ সমাধান হিসাবে আপনাদের জীবনে একটা ভালো প্রভাব ফেলবে।
- নিজের আগ্রহ নির্ধারণ করা।
- অনলাইনে রিসোর্স খোঁজা।
- প্রয়োজনীয় অ্যাপ খুঁজে ডাউনলোড করা।
- প্র্যাকটিসের মাধ্যমে স্কিল ডেভেলপ করা।
- ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরে প্রোফাইল তৈরি করা।
- নিজের পরিচিতি বাড়ানো।
- ছোট কাজ থেকে শুরু করা।
- ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট করা।
নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করা
ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুতেই আপনাকে আপনার লক্ষ্যকে নির্ধারণ করতে হবে। আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুতেই অন্যরা কি কাজ করছে এবং সেই কাজ থেকে তারা কি পরিমান অর্থ উপার্জন করছে সেগুলো বিবেচনা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। কিন্তু মনে রাখবেন অন্যরা যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে আপনার দক্ষতা নেই তাই আপনার দক্ষতা অনুযায়ী অথবা বলা যেতে পারে আপনার ইন্টারেস্ট যে বিষয়ে বেশি সেই বিষয়টিকে নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার লক্ষ্য অটুট থাকবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সুবিধা হবে।
প্রথমেই আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে আপনি কোন বিষয়টিতে বেশি দক্ষ। আপনার কি লেখালেখি করতে বেশি ভালো লাগে? তাহলে আপনি কনটেন্ট রাইটিং-এর দিকে যেতে পারেন। যদি আপনার আঁকা-আঁকির প্রতি ইন্টারেস্ট থেকে থাকে তাহলে আপনি গ্রাফিক ডিজাইন সেক্টরটিকে বেছে নিতে পারেন। আবার যদি আপনার মার্কেটিং বিষয়ে ইন্টারেস্ট থাকে তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শিখতে পারেন। এই ব্যপারটি সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছা ও চাহিদার উপর নির্ভর করে। (মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো)
অনলাইনে রিসোর্স খোঁজা
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রথম ধাপের পরেই “অনলাইনে রিসোর্স খোঁজা” এই ধাপটি চলে আসে। আপনি খুব সহজেই ইউটিউবে সার্চ করে বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের ওপর ফ্রি কোর্স করতে পারেন। এক্ষেত্রে যদি আপনি ইংরেজিতে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ফ্রি কোর্স করার ক্ষেত্রে আরও বেশি সুযোগ পাবেন। অনলাইনে ফ্রি কোর্সগুলোর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেলগুলি হলো Coursera, Udemy, Skillshare ইত্যাদি। আপনি খুব সহজেই এই সকল চ্যানেল থেকে ফ্রিল্যান্সিং-এর পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।
অনলাইনের ফ্রি কোর্সের পাশাপাশি আপনি চাইলে একটু রিসার্চ করে বিশ্বস্ত কোন ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইন অথবা অফলাইনে পেইড কোর্স করতে পারেন। এতে করে আপনি যেমন স্কিল্ড পার্সোনে পরিণত হবেন তার সাথে সাথে আপনি অনেক ভাল ভাল মেন্টরদের সহায়তা পাবেন। আমরা নিজে থেকে যতটাই জ্ঞান অর্জন করি না কেন একজন মেন্টরি কিন্তু আমাদের সঠিক পথ দেখাতে সহায়তা করে তাই কাজ হোক কিংবা পড়াশোনা শিক্ষক কিন্তু সর্বক্ষেত্রে প্রয়োজন।
প্রয়োজনীয় অ্যাপ খুঁজে ডাউনলোড করা
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করার সময় আমাদের বিভিন্ন কাজে ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আপনি কি কাজ করবেন কোন মাধ্যমে কাজ করবেন সেই কাজের চাহিদা অনুসারে অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। এতে করে আপনাকে কাজের সময় কোন হ্যাসেলে পড়তে হবে না।
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং-এর ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে সবার প্রথমে আপনাকে Kinemaster, CapCut বা InShot ডাউনলোড করতে হবে। এতে করে আপনি খুব সহজেই ভিডিওগুলোকে এডিট করতে পারবেন এবং আপনার ভিডিও এডিটর ধারণাগুলোকে আরও মজবুত করতে পারবেন।
প্র্যাকটিসের মাধ্যমে স্কিল ডেভেলপ করা
আমরা অনেকেই মনে করে থাকি শুধুমাত্র কাজ শিখলেই আমরা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর গুলোতে কাজ পেয়ে যাব এবং সেই কাজগুলো করে টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারবো। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা হয়তো কাজ শেখা মাত্রই কাজ পেয়েও যায় কিন্তু পরবর্তীতে গিয়ে ক্লাইন্ট যখন আমাদের কাজটি দেখে এবং তা দেখে স্যাটিসফাইড না হয়ে বিরক্ত হয়ে যান এবং আমাদের রেটিং কমিয়ে দেন তখন কিন্তু আমরা বিপদের মুখে পড়ে যাই। আপনার ক্লায়েন্ট যদি আপনার কাজে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে পরবর্তীতে সেই ক্লায়েন্ট আপনার কাছে আর কোন কাজ দেবে না।
তাই শুধুমাত্র কাজ শিখলেই হবে না কাজ শেখার পর সেটাকে ডেভেলপ করা অত্যন্ত জরুরী। আপনি চাইলে আপনার আশেপাশের মানুষগুলোর সাহায্য করতে পারেন সেই কাজ করার মাধ্যমে এতে করে তারা উপকৃত হবে এবং আপনার কাজের মান বৃদ্ধি পাবে। কথায় আছে প্র্যাকটিস মেক্সা ম্যান পারফেক্ট তাই শুধুমাত্র কাজ শিখেই কাজ শুরু করে না দিয়ে স্টিলটাকে ডেভলপ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। (মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো)
ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরে প্রোফাইল তৈরি করা
ফ্রিল্যান্সিং শেখার পরবর্তী ধাপই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর গুলোতে প্রোফাইল ক্রিয়েট করা। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় কিছু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর রয়েছে যার মধ্যে Fiverr, Upwork, Freelancer প্ল্যাটফর্ম গুলো জনপ্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে বহু বছর ধরে।
আপনি খুব সহজেই ইউটিউবে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে এসব মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে গিগ পাবলিস্ট করতে পারেন। অবশ্যই আপনার তৈরি গিগ গুলো আকর্ষণীয় হতে হবে এতে করে ক্লাইন্টদের নজরে আসতে সুবিধা হবে। আর গিগ তৈরির সময় আপনি কোন বিষয়ে পারদর্শী সেটার কিছু ডেমো গিগের মধ্যে উপস্থাপন করতে হবে এতে করে ক্লাইন্টদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবেন।
নিজের পরিচিতি বাড়ানো
আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়টি সম্পর্কে আশেপাশের মানুষকে জানান দিন। আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আপনার দক্ষতার বিষয়টি তুলে ধরতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার দক্ষতা অনুসারে আপনার কাজের কিছু ডেমো আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করতে পারেন। তা ছাড়াও আপনার কাজের প্রতিদিনের কাজের কিছু ছবি ডে দিতে পারেন। এতে করে আপনার আশেপাশের মানুষ জানতে পারবে আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ। এই বিজনেস স্ট্রাটেজি আপনাকে নতুন নতুন ক্লাইন্ট এনে দিতে সহায়তা করবে।
আপনার দক্ষতার বিষয়টি জানান দেওয়ার জন্য আপনি চাইলে ফেসবুকের এবাউট সেকশনে আপনার দক্ষতার বিষয়টি এড করে দিতে পারেন। আপনি কোন কোন কাজ করতে দক্ষ এবং আপনার কাছ থেকে কাজ করিয়ে নিতে হলে কিভাবে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে হবে সেই ডিটেলসটা বায়োতে দিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে কেউ যখনই আপনার প্রোফাইল ভিজিট করবে তার আপনার সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা থাকবে এবং পরবর্তীতে কেউ যখন তার মাধ্যমে আপনার দক্ষতা রিলেটেড কোন কাজের জন্য কাউকে খুঁজবে তখন সে আপনাকে সাজেস্ট করবে এতে করে আপনার ক্লায়েন্ট সংখ্যা বাড়বে।
ছোট কাজ থেকে শুরু করা
আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে প্রথম কাজ শুরু করবেন তখন অবশ্যই একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন, হুটহাট করে শুরুতেই কোন বড় কাজ কাঁধে চাপিয়ে নেবেন না। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একজন নিউ কামার হিসেবে শুরুতেই আপনাকে একেবারেই ক্ষুদ্র কাজ দিয়ে যাত্রা শুরু করতে হবে। এতে করে আপনি আপনার কাজটি নিখুঁতভাবে সমাপ্ত করতে পারবেন এবং আপনার কাজের দক্ষতা দেখে আপনার ক্লাইন্ট খুশি হবে যাতে করে আপনি নেক্সট টাইম সেই ক্লাইন্ট হতেই আবারো কাজ পেতে পারেন।
একইভাবে আপনি যদি শুরুতেই টাকার পরিমান বেশি দেখে লোভে পড়ে বড় আকারের কাজ নিয়ে ফেলেন এবং সেই কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে না পারেন তাহলে ক্লাইন্ট আপনার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখবে না যাতে করে সেই ক্লাইন্ট আপনার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।
ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট করা
ফ্রিল্যান্সিং শেখার শুরুতে ইংরেজি ভাষার তেমন কোন প্রয়োজন না থাকলেও যখন আমরা মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য নামি তখন ইংরেজি ভাষাটা আমাদের জন্য ম্যান্ডেটরি হয়ে পড়ে। আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে একটুও ধারণা থেকে থাকে তাহলে আপনি জেনে থাকবেন যে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে বেশির ভাগই বায়াররা কাজ দিয়ে থাকে। যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল ভাষা ইংরেজি তাই বেশিরভাগ বায়ার ইংরেজিতে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
অনেক ক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখা দিতে পারে যেমন অনেক বায়ার থাকে যারা ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না। তারা আপনার সাথে তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলবে এবং আপনাকে সেটা বোঝার জন্য গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করতে হবে। এর মানে দাঁড়ায় আপনাকে যেভাবেই হোক আপনার ক্লায়েন্টের মন রক্ষা করতে হবে এবং তার সুবিধা অনুযায়ী তাকে সার্ভিস দিতে হবে।
📌 আরো পড়ুন 👇
- স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া
- অনলাইনে বইয়ের ব্যবসা করার উপায়
- ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম ও আইডিয়া
- স্বল্প টাকা ইনভেস্ট করে সেরা ৫টি ব্যবসার আইডিয়া
ফ্রিল্যান্সিং শেখা নিয়ে আমাদের মতামত
বর্তমান যুগে বেকার শিক্ষিতর থেকে ফ্রিল্যান্সারের মূল্য হাজার গুণ বেশি। তাই আমি মনে করি শিক্ষিত বেকারের থেকে স্কিল্ড পারসন হয়ে ঘরে বসে আয়ের মাধ্যমে নিজের ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বল করা একজন প্রকৃত বুদ্ধিমানের কাজ। আপনি যে শুধু এই কাজ করে নিজেরই উপকার করছেন তা কিন্তু নয় আপনি কিন্তু আপনার এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে আরও দশ জনের কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারেন।
আশা করছি আজকের ব্লগটি আপনাদের ভবিষ্যৎ ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড আরও তথ্য ফ্রিতে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন এবং আমাদের ব্লগগুলো উপকারী মনে হলে আপনার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে শেয়ার করতে পারেন ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, ধন্যবাদ।