একটা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট, মেটাডেটা, এবং কোডের অভ্যন্তরীণ উপাদান অপটিমাইজ করার ফলে সার্চ ইঞ্জিন ফলাফল প্রথম পৃষ্ঠায় রেঙ্ক করে। একদম এক কথায়, অন্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে যেন আপনার সার্চ ইঞ্জিন সবার উপরে থাকে তার জন্যই on-page seo করা হয়ে থাকে। আজকের আর্টিকেলে আমরা অন পেজ এসইও কি এবং অন পেজ এসিও করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
অন পেজ এসইও কি
ওয়েবসাইটে অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য কোন ওয়েব পেজের ভেতরে যে অপটিমাইজেশন করা হয় তাকে অন পেজ এসইও বলা হয়ে থাকে। এছাড়া সহজ ভাষায় বলতে গেলে, on-page seo বলতে বোঝায়, Search Engine Ranking পাওয়ার জন্য কোন ওয়েবপেজর ভেতরে টুইক বা টিউন করার প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে কোন ওয়েব পেজের ভেতরে কনটেন্ট, ইমেজ এবং লিংক টিউন করা হয় থাকে। সার্চ ইঞ্জিন রিজাল্ট পেজে সবার উপরে রেঙ্কিং পাওয়ার জন্য অন পেজ এসিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
র্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে অন পেজ এসইও করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ
সার্চ ইঙ্গিন বট বা ক্রলারগুলো যেন অন্য ওয়েবসাইট গুলোর কনটেন্ট ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি হয় তার জন্য অন-পেজ অপ্টিমাইজেশান করা হয়ে থাকে। ওয়ান পেজ অপটিমাইজেশন এর প্রধান সুবিধা গুলো হল: এটি কিওয়ার্ড স্টাফিং, লোডিং স্পিড, CTR, বাউন্স রেট কমাতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখবেন, গুগলে কনটেন্ট rank করানোর জন্য ভালো মানের কনটেন্টের কোন বিকল্প নেই। Content যদি ভালো না হয় তাহলে ওয়ান পেজ এসইও খুব একটা কাজে আসেনা।
google প্রতিনিয়ত সার্চারের ইন্টেনশন যাচাই-বাছাই করে থাকে। এছাড়া কনটেন্ট ও ওয়েবপেজে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বিষয়গুলো বিবেচনা করে প্রত্যেকটি কনটেন্টকে রেংকিং এর সুযোগ প্রদান করে। ওয়ান পেজ এসইও করার পর google যদি মনে করে এটি পাঠকদের জন্য উপকারী হবে তখনই তারা কনটেন্ট টিকে রেংকিং এর সুযোগ প্রদান করে। অন পেজ এসইও করার সময় সর্বদা মনে রাখতে হবে Google অ্যালগরিদম হল একটি কমপ্লেক্স প্রোগ্রাম। google একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য সবচেয়ে মানসম্মত কনটেন্ট টিকে যাচাই বাছাই করে নেয়। এক্ষেত্রে ওয়ান পেজ এসইও একটি ভালো মানের কনটেন্ট কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।
অন-পেজ এসইও এবং অফ-পেজ এসইও এবং টেকনিক্যাল এসইও -এর মধ্যে পার্থক্য কি
আমরা সবাই জানি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা: অন-পেজ এসইও, অফ-পেজ এসইও এবং টেকনিক্যাল এসইও। নিচে আমরা খুব সংক্ষেপে এই তিনটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর পার্থক্য গুলো জেনে নেব:
অন-পেজ এসইও
যে কোন ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট বুষ্ট করার ক্ষেত্রে কার্যকর পদ্ধতির নাম হলো ওয়ান পেজ এসইও। ওয়ান পেজ এসিও তে সাধারণত কয়েকটি জিনিস অপটিমাইজেশন করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো: কি-ওয়ার্ড, মেটা ডেসক্রিপশন, টাইটেল ট্যাগ, টেক্সট এবং ওয়েবসাইট স্ত্রাকচার।
অফ-পেজ এসইও
ওয়েবসাইটের রেংকিং বাড়াতে ওয়ান পেজ এসইও এর পাশাপাশি অফ পেজ এসিইও বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। অফ পেজ এসিও এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো হল: ব্যাক-লিংক, E-A-T, লোকাল অ্যাডশ, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানশন এবং পে পার ক্লিক। ওয়েবসাইট রেংকিং বানানোর জন্য ওয়ান পেজ এসইও এর কোন ব্যতিক্রম নেই। তবুও অন পেজ এসইও এর পাশাপাশি অফ পেজ এসইও এর দিকে খেয়াল রাখাটা জরুরী।
টেকনিক্যাল এসইও
টাইটেল ট্যাগ, মেটা ডিসক্রিপশন, সাইট স্পীড, মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস, URL স্ত্রাকচার এর দিক দিয়ে বিবেচনা করলে ওয়ান পেজ এসইও এবং টেকনিক্যাল এসইও প্রায় একই জিনিস। তবে ওয়েবসাইটের জন্য সাইটের গতি , ডুপ্লিকেট সামগ্রী, সাইটের কাঠামো, ক্রলিং এর জন্য টেকনিক্যাল এসইও এর চেয়েও বেশি ওয়ান পেজ এসইও কাজ করে থাকে। যখন ওয়ান পেজ এসইও এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটা কনটেন্ট ফোকাস করা হয় ঠিক তখনই টেকনিক্যাল অপটিমাইজেশন সম্পূর্ণরূপে ফোকাস করা সম্ভব।
অন পেজ এসইও করার নিয়ম
Website রেংকিং এ ওঠানোর জন্য ওয়ান পেজ এসইও খুব ভালো একটি সমাধান। তবে ওয়েবসাইটের জন্য ওয়ান পেজ এসইও করার সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। তবে একটা ওয়েবসাইটে আপনি তখনই ওয়ান পেজ এসইও করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন যখন আপনার কনটেন্ট মানসম্মত হবে। মনে রাখবেন ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট কে বলা হয়, “Content is king”. ওয়েবসাইটের জন্য এটি একটি অলিখিত সত্যের মতো। তবে কনটেন্ট এর জন্য আরও একটি সত্যি হলো, কনটেন্ট যতই মানসম্মত হোক না কেন ওয়ান পেজ এসইও ব্যতীত একটি কনটেন্ট এর অস্তিত্ব বেশি দিন স্থায়ী হতে পারেনা। নিচে আমরা ওয়ান পেজ এসইও করার নিয়ম গুলো বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরছি।
১) সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ এবং এর ব্যবহার
একটি ওয়েবসাইটের মূল উদ্দেশ্য থাকে পাঠকদের কাছে সত্য ঘটনা এবং সত্য তথ্য উপস্থাপন করা। পাঠক তার কৌতূহল মেটানোর জন্য সার্চ ইঞ্জিন টাইপ করে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয় জানতে চান। পাঠক যে অংশটুকু google এ সার্চ ইঞ্জিন টাইপ করে খুঁজতে চান তাকেই কিওয়ার্ড বলা হয়। আপনার প্রকাশিত একটি আর্টিকেল পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কীওয়ার্ড অপটিমাইজেশন এর কোন বিকল্প নেই।
কীওয়ার্ড অপটিমাইজেশন আসলে খুব জটিল একটি পদ্ধতি। ধরুন আপনার ওয়েবসাইট সাজানো হয়েছে খাবারের রেসিপি নিয়ে। হাজারো রকমের খাবার কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশনের মধ্যে রাখা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আপনি ব্যবহার করতে পারেন খাবার, ডিনার, লাঞ্চ, ব্রেকফাস্ট, মুখরোচক খাবার ইত্যাদি কিওয়ার্ড।
কীওয়ার্ড ব্যবহার করার কিছু টিপস নিচে তুলে ধরা হলো:
- কনটেন্ট এর মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
- H1 সহ সবগুলো সাবহেডিং এ কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
- ইমেজের alt tag ও URL এর মধ্যে কিওয়ার্ড ব্যবহার করা ভালো।
- কোন জায়গায় যদি সরাসরি কিওয়ার্ড ব্যবহার করা সম্ভব না হয় তবে সেক্ষেত্রে synonyms অথবা রিলেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে।
- কিওয়ার্ড ব্যবহার করা ভালো কিন্তু অতিরিক্ত কিওয়ার্ড আপনার কনটেন্ট এর মান কমিয়ে দিতে পারে।
২)এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল রাইটিং
একটা কনটেন্ট আপনার কাঙ্খিত রিডার দের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এসিই ও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল এর কোন বিকল্প নেই। যেকোনো ভালো কনটেন্ট গুগলে rank করানোর জন্য high quality content এর কোন বিকল্প নেই। তবে কনটেন্ট যতই হাই কোয়ালিটির হোক না কেন সেই কনটেন্ট যদি এসিইও ফ্রেন্ডলি না হয় তা বেশি পাঠকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ কথা হলো গুগলের রেংক করানোর জন্য এসইও ফ্রেন্ডলি তথ্যবহুল আর্টিকেলের প্রয়োজন। একটি কনটেন্ট কিভাবে এসিইও ফ্রেন্ডলি করতে হয় তা ধাপে ধাপে দেখানো হলো:
রিডাবিলিটি নিশ্চিত করুন
আর্টিকেল লেখার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন আর্টিকেলের ভাষা পাঠকদের বোধগম্য হয়। আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কোন দেশের তার উপর ভিত্তি করে আর্টিকেলের ভাষা নির্ধারিত হয়। ভাষা যদি খুব বেশি কঠিন হয় তাহলে কনটেন্ট এর প্রতি পাঠকদের বিরক্তি চলে আসে এবং তারা সাথে সাথে স্কিপ করার চেষ্টা করে, যা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই রিডাবিলিটি নিশ্চিত করে আর্টিকেল রাইটিং এর চেষ্টা করুন।
অতিরিক্ত কিওয়ার্ড ব্যবহার বন্ধ করুন
একটি কনটেন্ট এর মধ্যে বারবার টাইটেল অথবা মেইন কিওয়ার্ড ব্যবহার করা ওয়েবসাইট এবং SERP Ranking এর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। google Algorithm ব্যবহার করা ভালো কিন্তু অতিরিক্ত কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে, বারবার একই লেখা সামনে আসতে পারে এবং পাঠক আপনার কনটেন্ট এর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করতে পারে। এবং পরবর্তীতে কোন কনটেন্ট সার্চ করলে আপনার ওয়েবসাইট সামনে আসতে তারা তা স্কিপ করতে পারে।
প্রত্যেকটি কনটেন্টে কয়েকটি সাব হেডিং ব্যবহার করতে হবে
আমরা সাধারণত ওয়েবসাইটের জন্য যেসব কনটেন্ট লিখি সেখানে H2, H3, H4, H5, H6 ট্যাগ বসিয়ে সাবহেডিং ক্রিয়েট করে থাকি। সাব হেডিং গুলো সাধারণত বোল্ড করে মেইন text থেকে বড় করে লেখা হয়ে থাকে। আপনি যে টপিক্সের সাথে লিখছেন সেই টপিক এর সাথে মিল রেখে আনুষাঙ্গিক বিভিন্ন তথ্য নিয়ে সাবহেডিং সাজানো হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি সাব হেডিং এর মধ্যে পরিমিত পরিমানে কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং একটি আর্টিকেলে অবশ্যই ৪-৫ টি সাবহেডিং রাখার চেষ্টা করবেন।
আর্টিকেলের প্যারা ছোট রাখুন
আর্টিকেলের প্যারা যখন বড় হয় তখন তা পাঠকদের জন্য খুব বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে। একসাথে অনেক বড় একটা প্যারা দেখে তারা অনেক সময় অ্যাভয়েড করার চেষ্টা করে। এজন্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলের প্যারাগুলো ছোট রাখার চেষ্টা করুন। ১০০০ শব্দের জন্য কম করে ছয় থেকে সাত বার কিওয়ার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করুন এবং কীওয়ার্ডগুলো ছোট প্যারার মধ্যে যাতে ইনক্লুড থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
বুলেট লিস্ট ব্যবহার করুন
যেকোনো কনটেন্ট কে আরো বেশি তথ্যবহুল করার জন্য বুলেট লিস্ট ব্যবহার করা জরুরী। কিছু কনটেন্ট এর তথ্য বেশ কঠিন ধরনের হয়ে থাকে যা পাঠকদের বুঝতে কষ্ট হয়। কনটেন্ট এর মধ্যে যেসব জায়গাগুলো আপনার কাছে দুর্বুদ্ধো মনে হবে সেই জায়গাগুলোতে অবশ্যই বুলেট লিস্ট ব্যবহার করুন। এতে করে পাঠকদের বুঝতে কষ্ট হবে না এবং তারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারবে।
৩) টাইটেল ট্যাগ অপটিমাইজেশন
টাইটেল ট্যাগ অপটিমাইজেশন হল ওয়ান পেজ এসইও এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আবার সার্চ ইঞ্জিনের জন্য টাইটেল ট্যাগ অপটিমাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একজন পাঠক সর্বপ্রথম সার্চ ইঞ্জিনের টাইটেল ট্যাগ সার্চ করে থাকেন এবং সেখান থেকেই সে তার কাঙ্খিত তথ্যগুলো সম্পর্কে ধারণা পান। যেকোনো কনটেন্ট প্রেজেন্টেবল করে পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য টাইটেল ট্যাগের মধ্যে অবশ্যই মেইন কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
মনে রাখবেন একটি সুন্দর টাইটেল আপনার কনটেন্ট টিকে গুগলের রেংক করানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার ওয়েবসাইটে যদি প্রতিনিয়ত তথ্যবহুল আর্টিকেল পাবলিশ করা হয় এবং তার টাইটেল ট্যাগ অপটিমাইজেশন যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনার কনটেন্ট এর পাশাপাশি ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়তে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। মেটা টাইটেলে কিওয়ার্ড ৬০ অক্ষরের কম থাকবে।
৪) মেটা ডেসক্রিপশন অপটিমাইজেশন
একজন পাঠক আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেলটি পড়ার আগে মেটা ডেসক্রিপশন দেখি ঠিক করে নেয় আর্টিকেলটি কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে এসইও প্লাগিন ব্যবহার করে মেটা ডেসক্রিপশন দেওয়ার চেষ্টা করুন। সম্পূর্ণ কনটেন্টের সারসংক্ষেপ মেটা ডেসক্রিপশনের ভিতর রেখে ১৬০ ওয়ার্ড এর মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করুন।
৫) ইমেজ এসিইও করুন
যেহেতু ভিজুয়াল সার্চ এর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেতো ইমেজ এসইও করে ব্যবহার করলে ছবি রেংক করবে। ইমেজ অল্ট টেক্সটে কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন, ছবির ফাইলের সাইজ যতটা সম্ভব কমিয়ে আনুন, এসইও ফ্রেন্ডলি ট্যাগ যুক্ত করুন, সঠিক ফরমেট নির্বাচন করুন, ফাইল এর নিয়ম কাস্টমাইজ করতে পারেন, ইমেজগুলো মোবাইল ফ্রেন্ডলি রাখুন।
৬) পেজ লোড স্পিড অপটিমাইজেশন
তথ্য মূলক ওয়েবসাইট হোক বা ই কমার্স জাতীয় ওয়েবসাইট হোক, ওয়েবসাইটের স্পিড যদি ভালো না হয় তাহলে কাস্টমার ওয়েবসাইটের প্রতি হতাশ হয়। ওয়েবসাইটের লোডিং যদি ভাল হয় তাহলে গ্রাহকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। আবার গুগলে কন্টেন্ট র্যাঙ্ক করানোর জন্য ও ওয়েবসাইট এর ভালো লোডিং এর প্রয়োজন রয়েছে।
৭)ইউআরএল স্ট্রাকচার অপটিমাইজেশন
প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের URL স্ট্রাকচার এমন ভাবে তৈরি করা উচিত যাতে প্রত্যেক পাঠকের জন্য তা বোধগম্য হয়। এক্ষেত্রে ইউআরএলগুলিতে আইডি নাম্বারের পরিবর্তে সহজ এবং পঠনযোগ্য কিছু শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে। এবং ওয়েবসাইটের কনটেন্ট পাবলিশ করার সময় SEO ফ্রেন্ডলি URLs ব্যবহার করা জরুরী। ইউ আর এল অপটিমাইজেশন এর জন্য যা যা করবেন-
- ইউ আর এল এর মধ্যে কিওয়ার্ড রাখুন,
- ইউ আর এল এর মধ্যে একাধিক শব্দ থাকলে হাইফেন ব্যবহার করুন,
- ইউ আর এল ছোট রাখার চেষ্টা করুন,
- স্টপ ওয়ার্ডগুলো বর্জন করুন।
- ব্লগ পোস্টের URL এ তারিখ না রাখাই ভালো।
৮) মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন তৈরি করুন
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কারীদের বেশিরভাগই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকেন। ডেক্সটপ বা কম্পিউটারের ব্যবহারকারী চেয়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখানে অনেক বেশি। তাই আপনার ওয়েবসাইটটি যেন মোবাইল ফ্রেন্ডলি হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
📌 আরো পড়ুন 👇
অন পেজ এসইও সম্পর্কে আমাদের মতামত
ওয়েবসাইটের জন্য একটি তথ্যমূলক কনটেন্টের যেমন প্রয়োজন রয়েছে ঠিক তেমনি অনটেন্টটি দীর্ঘদিন যাবত google এ রেংকিং এ রাখার জন্য অন পেজ এসইও এর প্রয়োজনীয় অপরিসীম। আজকে রাইটিকেলে আমরা ওয়ান পেজ এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের ওয়ান পেজ এসইও সম্পর্কে যেসব কৌতুহল ছিল তার সমাধান কিছুটা হলেও পেয়েছেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং এরকম তথ্যমূলক কনটেন্ট পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি জুড়ে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।