বিজনেস আইডিয়া, ২০২৫ সালের ১০ টি নতুন ব্যবসা আইডিয়া!

4.8/5 - (5 votes)

আপনি কি নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য বিজনেস আইডিয়া খুজছেন? যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে এই পোস্ট টি আপনার জন্য। সর্বপ্রথম নতুন ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহ প্রকাশ করবার জন্যে আপনাকে স্বাগতম। কারণ, বর্তমান এই আধুনিক যুগে কেউ কারো অধিনে কাজ করতে চায় না। সবাই চাই মুক্ত ও স্বাধীন পেশা। বাংলাদেশ একটি জনবহুল উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে অনেকে টাকার অভাবে বড় কোনো ব্যবসা শুরু করতে পারেন না। সবদিক বিবেচনা করে এই পোস্টে এমন ১০ টি নতুন ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে যে ব্যবসায় অল্প টাকাতেই শুরু করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিজনেস আইডিয়া, ২০২৫ সালের ১০ টি নতুন ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে!

বিজনেস কেন করবেন?

বিজনেস আইডিয়া জানার আগে আপনার জেনে নেওয়া প্রয়োজন বিজনেস কেন করবেন? ব্যবসায় একটি সতন্ত্র পেশা, এখানে আপনি নিজেই নিজের বস। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যেহেতু নিজের সেহেতু কাজের প্রতি আপনার একাগ্রতা থাকবেই। ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যেতে পারবেন যা অন্য কোনো চাকরি করে সম্ভব না। এছাড়াও বিজনেস করার মাধ্যমে আপনি আপনার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারবেন এটাই জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

ব্যবসা আইডিয়া

১০ টি নতুন ব্যবসা আইডিয়া

আপনি যেহেতু একজন নতুন উদ্যক্তা এবং ব্যবসা সম্পর্কে অনভিজ্ঞ, সেহেতু ব্যবসা শুরু করার সময় আপনাকে সবদিকে লক্ষ্য রেখেই বিজনেস শুরু করতে হবে। কোনো সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া ভবিষ্যতে উন্নতি করা সম্ভব নয়। বর্তমান এই আধুনিক যুগে আপনি যে বড় সুবিধাটি পাচ্ছেন তা হলো ব্যবসায় শুরু করবার পূর্বেই আপনি আপনার বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারছেন। আমরা আজকের এই পোস্টে বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরছি যা আপনার বিজনেস আইডিয়াকে সমৃদ্ধ করবে। আপনি চাইলেই নিচে দেওয়া ১০ টি নতুন ব্যবসা আইডিয়া থেকে যেকোনো একটি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন-

 

০১. হ্যান্ডিক্রাফট বা হস্তশিল্প বিজনেস আইডিয়া

হস্তশিল্প ব্যবসা একটি সৃজনশীল এবং লাভজনক বিজনেস আইডিয়া, এই ব্যবসা পুঁজি দিয়ে শুরু করা সম্ভব। হ্যান্ডিক্রাফট বা হস্তশিল্প ব্যবসা মূলত হাতে তৈরি পণ্য, যেমন জুয়েলারি, শোপিস, মাটির পাত্র, কাপড়ের ব্যাগ, মোমবাতি, পেইন্টিং, এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে কাজ করা যায়।

বর্তমানে লোকেরা পরিবেশবান্ধব এবং হাতে তৈরি পণ্যের প্রতি আগ্রহী, তাই এই ব্যবসার চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। প্রাথমিকভাবে, আপনি নিজের সৃজনশীলতার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করতে পারেন। যেগুলো অনলাইনে বিক্রি শুরু করতে পারেন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যেমন দারাজ, বিক্রয় ডট কম কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এর বিভিন্ন গ্রুপে। স্থানীয় মার্কেট বা মেলাগুলোতেও পণ্য প্রদর্শন করে বিক্রি করতে পারবেন।

সঠিক পরিকল্পনা, মানসম্মত পণ্য, এবং সৃজনশীল বিপণনের মাধ্যমে হ্যান্ডিক্রাফট বা হস্তশিল্প ব্যবসা একটি লাভজনক এবং টেকসই নতুন ব্যবসা আইডিয়া।

hand craft

০২. ঐতিহ্যবাহী বা হোমমেড খাবারের ব্যবসা

ঐতিহ্যবাহী বা হোমমেড খাবারের ব্যবসা বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ও লাভজনক ব্যবসা। ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ এবং সুস্বাদু খাবার সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা যায় এই ব্যবসা। আধুনিক জীবনের ব্যস্ততায় অনেকেই বাড়ির মতো খাবার তৈরি করতে পারেন না, যা এই ব্যবসার চাহিদা বাড়াচ্ছে।

শুরুতে, আপনি আপনার এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার, যেমন পিঠা, হালুয়া, আচার, শুটকি, কিংবা বাড়িতে তৈরি মিষ্টি দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অফিস কর্মী, ব্যাচেলর, শিক্ষার্থী এবং পার্টি আয়োজনের জন্য এই ধরনের খাবারের চাহিদা অনেক। হোমমেড খাবারের চাহিদা থাকায়, আপনি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা সোশ্যাল মিডিয়া, যেমন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে অর্ডার নিতে পারবেন খুব সহজেই।
এই বিজনেস আইডিয়া পুঁজির প্রয়োজন কম, কারণ ঘরে রান্নার সামগ্রী ও সরঞ্জাম ব্যবহার করেই প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। প্যাকেজিং, খাবারের গুণমান এবং ডেলিভারির ক্ষেত্রে এ ব্যবসায়ে সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।

ক্রেতাদের আস্থা অর্জনের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং মানসম্পন্ন খাবার সরবরাহ করতে পারলে সহজেই এই ব্যবসায় দাঁড় করানো সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে পরিবার ও পরিচিতজনদের কাছে বিক্রি করে এই ব্যবসায় শুরু করতে পারেন। সময়ের সাথে সাথে পরিকল্পিত মার্কেটিং ও মেন্যু বাড়ানোর মাধ্যমে ব্যবসা বড় করা যাবে।

হোমমেড খাবারের ব্যবসা

০৩. মোবাইল সার্ভিসিং এবং যন্ত্রাংশের ব্যবসা

মোবাইল সার্ভিসিং এবং যন্ত্রাংশের ব্যবসা বর্তমান সময়ে একটি লাভজনক বিজনেস আইডিয়া, কারণ মোবাইল এখন দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। মোবাইলের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সার্ভিসিং এবং যন্ত্রাংশের চাহিদাও বাড়ছে। এই ব্যবসার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল মেরামত, সফটওয়্যার আপগ্রেড, স্ক্রিন রিপ্লেসমেন্ট, ব্যাটারি পরিবর্তন এবং অন্যান্য পার্টস বিক্রি করতে পারেন।

আপনি চাইলে আপনার নিকটস্থ বাজারে অল্প কিছু টাকা নিয়ে এই ব্যবসায় শুরু করতে পারেন। এজন্য আপনাকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। মোবাইল সার্ভিসিং এর পাশাপাশি মোবাইল এক্সেসরিস যেমনঃ ব্যাটারি, সিম, হেডফোন, মোবাইল কাভার, চার্জার বিক্রি করতে পারবেন।

মোবাইল সার্ভিসিং

০৪. মুদি দোকান বা কাচা বাজারের ব্যবসা

মুদি দোকান বা কাঁচাবাজারের ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া। এই ব্যবসার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটায়, যার ফলে এর চাহিদা কখনো কমে না। খাদ্যদ্রব্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, এবং তাজা ফল-সবজি সরবরাহ করে এই ব্যবসা সহজেই পরিচালনা করা সম্ভব।

ব্যবসা শুরু করতে প্রথমে আপনার পছন্দের এলাকার চাহিদা বুঝতে হবে। আপনি মুদি দোকানে চাল, ডাল, চিনি, তেল, বিস্কুট, মসলা, এবং প্রসাধনী পণ্য রাখতে পারেন। কাঁচাবাজারের ক্ষেত্রে তাজা সবজি, ফল, মাছ, মাংস ইত্যাদি বিক্র করতে পারেন।
এই ব্যবসায় ছোট পুঁজিতে শুরু করা সম্ভব। একটি নির্দিষ্ট দোকান ভাড়া নিয়ে শুর করতে পারেন। আপনি যদি মুদি দোকানের নাম খুজে থাকেন তাহলে এই পোস্ট টি পড়তে পারেন- মুদি দোকানের নাম

মুদি দোকান

০৫. অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করে ব্যবসা

অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করে ব্যবসা শুরু করা একটি লাভজনক ও দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা। আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট বিষয় বেছে নিন। উদাহরণস্বরূপ: ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ভাষা শিক্ষা, ফটোগ্রাফি, ব্যক্তিগত উন্নয়ন, ফ্রিল্যান্সিং গাইড, বিজনেস ও এন্টারপ্রেনারশিপ। এগুলো থেকে একটি বিষয় বেছে নিয়ে আপনি অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করতে পারেন।

এজন্যে আপনার কোর্স কাদের জন্য? (শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি) কোর্স শেষে শিক্ষার্থীরা কী কী শিখবে? কোর্সের স্তর কী হবে? (বেসিক, ইন্টারমিডিয়েট, অ্যাডভান্সড) এ সম্পর্কে বিস্তারিত পরিকল্পনা করে এই ব্যবসায় শুরু করতে হবে। অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স এর মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে ১০০ জন শিক্ষার্থী যদি ১,০০০ টাকা করে দেয়, তাহলে ১,০০,০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।

অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করে ব্যবসা

০৬. ফাস্টফুড বা ফুটপাতে ফুডকার্ট বসিয়ে ব্যবসা

ফাস্টফুড বা ফুটপাতে ফুডকার্ট ব্যবসা একটি লাভজনক ও জনপ্রিয় উদ্যোগ, বিশেষ করে যদি সঠিক পরিকল্পনা ও ভালো মানের খাবার নিশ্চিত করা যায়। এ ব্যবসায়ের জন্যে সর্বপ্রথম বাজার গবেষণা ও পরিকল্পনা করুন। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস এরিয়া, মার্কেট, স্টেশন, পার্ক ইত্যাদির আশপাশে বসলে বেশি কাস্টমার পাওয়া যাবে। ভিড় বেশি হয় এমন জায়গায় জায়গার ভাড়া কত হতে পারে তা জেনে নিন।

আশেপাশের ফাস্টফুড দোকান বা স্ট্রিট ফুড ব্যবসা কেমন চলছে তা দেখুন। তারা কোন খাবার বেশি বিক্রি করে এবং কোন দামে বিক্রি করে তা নোট করুন। মেনু ও খাবারের ধরন নির্ধারণ করুন, আপনার খাবারের আইটেম নির্ধারণ করুন। ফাস্টফুড বা ফুটপাতে ফুডকার্ট ব্যবসার কিছু জনপ্রিয় অপশনঃ বার্গার আইটেম (চিকেন বার্গার, বিফ বার্গার, চিজ বার্গার)। স্যান্ডউইচ ও হটডগ (ক্লাব স্যান্ডউইচ, চিকেন স্যান্ডউইচ, হটডগ)। ফ্রাইড আইটেম (ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই, ফ্রাইড চিকেন উইংস)। ফাস্টফুড (মিনি পিৎজা, রোল, শর্মা)। পানীয় (কোল্ড কফি, লেমনেড, ফ্রুট জুস, মিল্কশেক)। সবসময় খাবারের গুণগত মান বজায় রাখুন। ভালো মানের উপকরণ ব্যবহার করুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে গুরুত্ব দিন তাহলে খুব সহজেই কাস্টমার পাবেন। ৫০,০০০ – ১,৫০,০০০ টাকার মধ্যে ফাস্টফুড বা ফুটপাতে ফুডকার্ট ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।

ফাস্টফুড বা ফুটপাতে ফুডকার্ট বসিয়ে ব্যবসা

০৭. ডোমেইন হোস্টিং বিক্রি বা আইটি ব্যবসা

ডোমেইন ও হোস্টিং বিক্রি করে ব্যবসা করা একটি লাভজনক ব্যবসা উদ্যোগ। বিশেষ করে আপনার যদি টার্গেট মার্কেট নির্ধারণ করা থাকে তাহলে আপনি এ ব্যবসায়ে অনেক লাভবান হবেন। এছাড়াও, আইটি সার্ভিস যেমন ওয়েব ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি যুক্ত করে এ ব্যবসায়ে আপনি আপনার আয় আরও বাড়তে পারেন।

আপনি প্রথমে রিসেলার হিসেবে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বড় কোম্পানি থেকে রিসেলার একাউন্ট নিয়ে তাদের সার্ভার ব্যবহার করে নিজের নামে বিক্রি করা। জনপ্রিয় কয়েকটি রিসেলার কোম্পানি: Namecheap Reseller, ResellerClub, GoDaddy Reseller,Hostinger Reseller, A2Hosting Reseller. এসকল কোম্পানির রিসেলার হিসাবে ব্যবসা শুরু করলে আপনার নিজস্ব সার্ভার কিনতে হবে না, শুধু তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কাস্টমারদের সার্ভিস দিতে পারবেন। ১০,০০০ টাকা দিয়ে এই ব্যবসায় শুরু করা সম্ভব।

ডোমেইন হোস্টিং

০৮. কাস্টমাইজ উপহার সামগ্রীর ব্যবসা

কাস্টমাইজ উপহার সামগ্রীর ব্যবসা বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। এই ব্যবসায় মগ, টি-শার্ট, কুশন, ফটো ফ্রেম, কী-রিং, ডায়েরি, ঘড়ি, জুয়েলারি বক্স, চকলেট বক্স, ওয়াল আর্ট ইত্যাদির উপর নাম, ছবি বা ব্যক্তিগত কথা প্রিন্ট করে বিক্রি করা হয়।

ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে পণ্য নির্বাচন করতে হবে। কোন ধরনের কাস্টমাইজ উপহার বিক্রি করবেন তা নির্ধারণ করুন। এ ব্যবসায়ের জন্য হিট প্রেস মেশিন, লেজার কাটার, প্রিন্টার বা বিভিন্ন মেশিন প্রয়োজন হতে পারে। এ ব্যবসায়ে শুরুতে ২০,০০০ – ৫০,০০০ টাকা বিনিয়োগে করে শুরু করা যায়। প্রতিটি পণ্যে ৩০-৫০% লাভ হলে, মাসিক ৩০,০০০ – ১,০০,০০০ টাকা প্রতি মাসে আয় করা সম্ভব।

কাস্টমাইজ উপহার সামগ্রীর ব্যবসা

০৯. লোকাল ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের ব্যবসা

লোকাল ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের ব্যবসা করে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। লোকাল ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস একটি চাহিদাসম্পন্ন এবং লাভজনক ব্যবসা। বিশেষ করে শহর ও উপশহর এলাকায় এ ব্যবসায় করে দ্রুত লাভবান হওয়া যায়। এ ব্যবসায় ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, মাইক্রোবাস, ট্রাক, পিকআপ বা মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং ও ভাড়া দিয়ে শুরু করতে পারেন।

লোকাল ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের ব্যবসা

১০. পামজাতীয় ফলের ব্যবসা (সুপারী, ডাব, নারিকেল, খেজুর)

পামজাতীয় ফল যেমন সুপারি, ডাব, নারিকেল, ও খেজুরের চাহিদা সারা বছর থাকে। আপনি বিভিন্নভাবে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে বাজারে পাইকারি বিক্রি। দোকান বা অনলাইনে সরাসরি ক্রেতাদের কাছে খুচরা বিক্রি। বিদেশে (ভারত, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ) সুপারি, নারিকেল, খেজুর রপ্তানি করে এই ব্যবসায় শুরু করতে পারবেন।

সুপারি সংগ্রহ করতে পারেন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, খুলনা অঞ্চল। ডাব ও নারিকেল সংগ্রহ করতে পারেন সুন্দরবন, খুলনা, সাতক্ষীরা, ভোলা, বরিশাল, কক্সবাজার। খেজুর সংগ্রহ করতে পারেন বাংলাদেশে স্থানীয় খেজুরের পাশাপাশি সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করে সংগ্রহ করে এ ব্যবসায় শুরু করতে পারেন।

পামজাতীয় ফলের ব্যবসা

📌 আরো পড়ুন 👇

 

ব্যবসা সম্পর্কিত হাদিস

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ নিজে ব্যবসায়ী ছিলেন এবং তার উম্মতদেরকেও ব্যবসার প্রতি উৎসাহী করেছেন। ইসলাম ধর্মে ব্যবসায় নিয়ে বেশ কিছু হাদিস রয়েছে। নিচে বিজনেস সম্পকৃত ৭ টি বিশুদ্ধ হাদিস দেওয়া হলোঃ

১. ব্যবসায় কারো ক্ষতি করা যাবে না: (ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৩৪১)
২. ব্যবসায়ে ধোঁকা, প্রতারণা ও ফাঁকিবাজি করা যাবে না: ((সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০২)
৩. ওজনে নিজ স্বার্থরক্ষায় কমবেশি করা যাবে না: (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩)
৪. পণ্য বিক্রির জন্য মিথ্যা শপথ করা যাবে না: (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৬)
৫. নিজে ঠকা যাবে না এবং অপরকেও ঠকানো যাবে না: (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৯৬৪)
৬. ব্যবসার সাথে সুদকে মেশানো যাবে না: (সহীহ মুসলিম নং ১৫৯৮)
৭. অপরের মাল হনন করার চেষ্টা করা যাবে না: (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০৭৬)

বিজনেস আইডিয়া নিয়ে সম্পূর্ণ পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে আপনার কাঙ্ক্ষিত নতুন ব্যবসা আইডিয়াটি পেয়ে গেছেন। আপনার নতুন ব্যবসার জন্য রইলো অগ্রিম শুভ কামনা। আপনি যদি মুদি দোকান ব্যবসা শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে পড়তে পারেন মুদি দোকান না্মের তালিকা। পরিশেষে বলতে চাই যেকোনো ব্যবসায়ে একদিনে সফলতা আসে না আপনার পরিশ্রমই আপনার ব্যবসায়ে সফলতা এনে দিবে ইনশাআল্লাহ!

Sharing Is Caring

Leave a Comment