আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনা হবে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার বা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের কি বা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট কি বা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার সুবিধা ও অসুবিধা ইত্যাদি এসব সম্পর্কে।
আপনি যদি আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করে নিজের শিক্ষার উত্তর ও জ্ঞানকে বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং সকল বিষয়ের ধারণা রাখতে পারবেন এবং সকল ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল করতে পারবেন। এজন্য আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট কি
বর্তমান সময়ে শিক্ষা এবং পড়াশোনার জন্য ইন্টারনেটের সুবিধা নিয়ে পড়াশোনা করা কে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার বোঝানো হচ্ছে। বর্তমান সময়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সকল প্রকার তথ্য পাওয়া যায় ইন্টারনেটে এবং তা পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ত্ত করার জন্য আমাদেরকে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার প্রয়োজন।
বর্তমান সময়ে অনলাইনে গুরুত্বপূর্ণ সকল ক্লাসগুলো হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এবং তা খুবই সহজ তোর আমরা আয়ত্ত করতে পারছি মোবাইলে ক্লাসগুলো দেখার মাধ্যমে। বড় বড় গণিত ইংরেজি সমাধান পেয়ে যাচ্ছি বিভিন্ন ভিডিও ক্লাসের মাধ্যমে ইন্টারনেটে। বর্তমান অনলাইনে রয়েছে সকল সমস্যার সমাধান। এজন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার
শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে নিজের দক্ষতাকে বৃদ্ধি এবং নিজেকে যাচাই করা যায়। অনেক ক্ষেত্রে কোন সমস্যার সমাধান না পেলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার দ্রুত সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।
তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার করা যায় সেই সম্পর্কে
১. অনলাইন ক্লাস
বর্তমান সময়ে অনেক অভিজ্ঞ শিক্ষকগণ অনলাইনে সকল বিষয়ের প্রতি ক্লাস নিয়ে থাকে। যা আমরা সরাসরি ইন্টারনেটে পেয়ে থেকে ক্লাস করতে পারি এবং নিজের সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারি। যেমন লাইভ ক্লাস অথবা ইউটিউব ক্লাস। লাইভ ক্লাসের ক্ষেত্রে শিক্ষকরা জুম আপ অথবা গুগল ক্লাসরুম অ্যাপস ব্যবহার করে থাকেন। এই অ্যাপস গুলো আপনি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
২. মাল্টিমিডিয়া ক্লাস
বর্তমানে স্কুল কলেজ গুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস শুরু হয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কঠিন বিষয় গুলো এবং দূরবর্তী বিষয়গুলো মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের মাধ্যমে করানো হচ্ছে।
৩. যাচাইকরণ
আপনি আপনার বিষয়ের উপরে সঠিক আছেন কিনা তা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে যাচাই করে নিতে পারবেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে। আপনি আপনার কোন সাবজেক্টে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছেন কিনা তা অনলাইনে এক্সাম দেয়ার মাধ্যমে নিজেকে যাচাই করতে পারবেন।
৪. প্রশ্নের সমাধান
আপনি অনলাইনে যে কোন বিষয়ের উপরে হাজার হাজার প্রশ্ন পেয়ে থাকবেন নিজেকে যা চায় এবং নিজের দক্ষতাকে বাড়ানোর জন্য। অনলাইনে আপনি যেকোনো প্রশ্নর উত্তর পেয়ে থাকবেন।
৫. অনলাইনে পরীক্ষা
অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অনেক সাইট রয়েছে যে সাইটগুলোতে ঢুকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় সাবজেক্টে পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে যাচাই করতে পারবেন। পরীক্ষা দেওয়ার পরে আপনাকে সাথে সাথে ফলাফল দেওয়া হবে।
৬. বই ভান্ডার
অনলাইনে ফ্রিতে সকল চাকরির প্রশ্ন ব্যাংক বিসিএস ক্লাসবুক গাইড ইত্যাদি এরকম সকল ধরনের বই ফ্রিতে পাওয়া যায়। যেগুলো হুবহু সেম পাঠ্য বইয়ের মত। সেগুলো দেখে পড়াশোনা করা সম্ভব।
৭. অনলাইন কোর্স
অনলাইনে অনেক এই বিভিন্ন কোর্স আকারে ফ্রি এবং পেড সাবজেক্ট অনলাইন কোর্স করিয়া থাকে যে সকল কোর্স করে আপনি কোচিং সেক্টরের মত নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারবেন।
৮. প্রতিবেদন
বর্তমান শিক্ষার দিক থেকে প্রেজেন্টেশন ও প্রতিবেদন তৈরি করতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয় এবং সকল তথ্য প্রয়োজন হয়। যা ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলে খুবই সহজে প্রতিবেদন তৈরি করা যায়।
৯. তথ্য
ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো বিষয়ের উপর খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরোপুরি এবং সঠিক তথ্য নেওয়া সম্ভব। যার ফলে আমাদের সাম্প্রতিক জ্ঞানের দক্ষতা বৃদ্ধি হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে যে কোন স্থানে বসে যে কোন তথ্য নিতে পারি।
আরো এরকম অনেক শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার রয়েছে। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা ব্যবহার করে থাকি। এরকম অনেক নানা দিক রয়েছে যা আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি।
শিশুদের শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার
শিশুরা সব সময় পছন্দ করে মোবাইল গেমস বা ভিডিও দেখতে। কিন্তু আমরা এই ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে শিশুদেরকে শিক্ষার মান বাড়াতে পারি। বিভিন্ন গেমস বিভিন্ন সফটওয়্যার বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে শিশুদেরকে শিক্ষণ করা সম্ভব। এরকম কিছু সফটওয়্যারের নাম উল্লেখ করা হলো:
- ভাষা শিখার জন্য ডুওলিং অ্যাপস
- সাধারণ জ্ঞান শেখার জন্য কুইজলেট অ্যাপস
- বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য সায়েন্স ৩৬০ অ্যাপস
- গণিত শেখার জন্য খান একাডেমি
এরকম আরো অনেক হাজারো এরকম অ্যাপস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে শিশুদের এবং বড়দের সকলের জ্ঞান বাড়ানোর জন্য এই অ্যাপসগুলো খুবই কার্যকরী। শিশুদের ক্ষেত্রে খেলার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন বিষয়ে শিখতে পারবে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার সুবিধা
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে যেগুলো ছাত্ররা প্রতি নিয়ত এই সুবিধাগুলো ভোগ করে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নিই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার কি কি সুবিধা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে:
- অল্প সময়ে যেকোন বিষয় তথ্য পাওয়া সম্ভব
- যে কোন সাবজেক্টের সমস্যা সমাধান পাওয়া সম্ভব
- পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিজেকে যাচাই করা সম্ভব
- অনলাইন কোর্স করা সম্ভব
- অনলাইন কোর্সগুলো ফ্রি হয়ে থাকে এজন্য কোন প্রকার টাকা লাগে না
- ই-বুকের মাধ্যমে যেখানে পড়াশোনা করা সম্ভব
- সকল চাকরির প্রশ্ন সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব
- বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে জ্ঞান বৃদ্ধি করা
- বিভিন্ন কুইজ গেমের মাধ্যমে শিক্ষার অর্জন করা
- কোন বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি সমাধান নেয়া সম্ভব
- প্রতিবেদন রচনা সারাংশ সারমর্ম সমস্যার সমাধান ইত্যাদি দ্রুত পাওয়া সম্ভব
ইত্যাদি এরকম আরো হাজারো প্রকার সুবিধা রয়েছে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটে ব্যবহারের পরে। শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করার অনেক সুবিধা রয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটের সাথে জড়িত রয়েছে।
দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের অতিরিক্ত সময়টুকু ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে পার করে থাকি। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন কোন অনলাইন সাইটে সময় পার করে থাকে। আমরা যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য ফেসবুক twitter, whatsapp এরকম সকল যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকি।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে থাকি। অনলাইনে বিশেষ বিশেষ ডাক্তারগন বিভিন্ন রোগের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরামর্শ দিয়ে থাকে। যেগুলো আমরা গ্রহণ করে থাকি।
আবার আমরা অনেক সময় অনলাইন বিভিন্ন গেমস খেলে আমাদের অধিকাংশ সময় পার করি।
📌 আরো পড়ুন 👇
এজন্য আমরা প্রতিনিয়ত সময়টুকু আমরা অনলাইনে ব্যাহত করি। বর্তমান সময়ে অনলাইনে যুগ আমাদের সকল কার্যক্রমে অনলাইনে প্রচলন হয়ে গিয়েছে। সকল ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার অপরিহার্য।
অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক
ইন্টারনেট ব্যবহারে যেমন অনেকগুলো সুবিধা তেমনি ঠিক ইন্টারনেট ব্যবহারের অনেক অসুবিধা রয়েছে যেগুলো আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নিই অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক গুলো কি কি সে সম্পর্কে:
- অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার ফলে দৃষ্টিশক্তি কমে
- অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার ফলে মাথাব্যথা বাড়ে
- অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে রাতে ঘুম কম হয়
- অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে ইন্টারনেটে আসক্তি হতে পারে
- অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করলে পড়াশোনায় ও অন্যান্য কাজে মনোযোগ বসেনা
- ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন সাইবার হুমকির মধ্যে জড়িত হতে পারে
- বিভিন্ন অপরাধের মধ্যেজড়িত হতে পারে
- অনলাইনে নেতিবাচক দিকের প্রতি প্রভাবিত হতে পারে
- আউটডোর গেমস খেলার ইচ্ছা হারিয়ে যাবে যার ফলে শারীরিক সমস্যা হবে
ইত্যাদি এরকম আরো অনেক রকম সমস্যা হবে যদি আপনি অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সমস্যা গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হলো।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহারে সতর্কতা ও করণীয়
শুধুমাত্র শিক্ষা ক্ষেত্রে নয় আমরা আমাদের জীবনের প্রতিনিয়ত সময়টুকু ইন্টারনেটে ব্যবহার করে থাকছি। ইন্টারনেট ব্যবহার করার আগে আমাদের কিছু সতর্কতা করণীয় অবশ্যই পালন করতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নিই কি কি সতর্কতা ও করণীয় অবলম্বন করা উচিত সে সম্পর্কে:
- নির্ধারণ করে ইন্টারনেট ব্যবহার করা উচিত
- অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করা উচিত না
- নির্ধারিত সময় ঘুমানো উচিত
- অধিক রাত পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করা উচিত না
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছেড়ে বাস্তবে সকলের সাথে যোগাযোগ করা
- খাবার সময়মতো খাওয়া
- সকল কাজ নির্ধারিত সময়ে করা
- অতিরিক্ত গেমস না খেলা
- ইন্টারনেটের নেতিবাচক দিকে না যাওয়া
- সাইবার নিরাপত্তা সচেতন থাকা
ইত্যাদি এরকম আরও কিছু সচেতনতা রয়েছে যা আপনার মধ্যে নিজেকে বিবেচনা করে এসে সকল সচেতন সতর্কতা গুলো অবলম্বন করে ইন্টারনেট ব্যবহার করা উচিত। তাহলে আপনি সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবেন।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের মতামত
প্রিয় পাঠক আপনি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পারলেন যে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার বা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের কি বা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট কি বা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার সুবিধা ও অসুবিধা ইত্যাদি এসব সম্পর্কে।
এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ