Facebook, নাম তো শুনেছেন নিশ্চই। ফেসবুক নামটি শুনলে প্রথমে কোন কথা মাথায় আসে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম? হ্যাঁ সঠিক, তবে Facebook এখন শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ নেই, ফেসবুক এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে অনলাইন মার্কেটপ্লেসও। এখানে হয় লক্ষ কোটি টাকার ডিলও।
আজকের এই আর্টিকেলটিতে জানবো ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম, তার পাশাপাশি জানবো ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কেও।
ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করা কতটা যুক্তসঙ্গত
২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ফেসবুকের মোট ইউজার সংখ্যা প্রায় ৩ বিলিয়ন, যা বিশ্বব্যাপী এই প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা কত তার প্রমান করে। বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় ৫৯ মিলিয়ন (৫.৯ কোটি), যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৩.৬% এর বেশি।
এতো বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম যেখানে, সে স্থানে ব্যবসা করা হবেনা এটাও কি সম্ভব? বরং ফেসবুকের শক্তি কাজে লাগিয়ে ব্যবসা গড়ে তোলাই সবচেয়ে বেশি যুক্তিসঙ্গত।
২০১৬ সালে ফেসবুক চালু করে “মার্কেটপ্লেস” যা বর্তমানে ৭০টিরও বেশি দেশে সক্রিয় রয়েছে। ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফেসবুক মার্কেটপ্লেসের মাসিক Active user এর সংখ্যা ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি। ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এমন একটা স্থান যেখানে যেকেউ যেকোনো পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে পারে।
তাহলে বুজতে পারছেন যে, ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করার চিন্তাভাবনাটি সম্পূর্ণ যুক্তিসঙ্গত। এবার আসুন জেনে নেই ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম গুলো।
ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম
এই পর্যায়ে জানাবো ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনার ব্যাসিক কিছু করণীয় এবং ধাপে ধাপে কিভাবে অগ্রসর হবেন নিজের লক্ষ্যমাত্রায়। মনে রাখতে হবে যে, ফেসবুক একটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এবং আপনাকে এই জনসমাগমের উৎসটিকেই কাজে লাগিয়ে এগোতে হবে। তাহলে চলুন ধাপে ধাপে দেখে নেয়া যাক স্টেপ গুলো কি হবে!
ধাপ ১: ফেসবুক পেজ তৈরি ও সেটাপ
হতে পারে আপনি কোনো সার্ভিস কিংবা প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন, এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসায়ের এক্সিস্টেন্স সম্পর্কে অবগত করতে একটা স্থান প্রয়োজন হবে আর সেই স্থানই হবে “ফেসবুক পেজ”।
একটি প্রোফেশনাল ফেসবুক পেজ তৈরি ও সেটাপ করে নিতে হবে। আপনি যদি উক্ত বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তবে নিজেই করতে পারবেন অন্যথায় সবচেয়ে ভালো হয় কোনো প্রোফেশনালকে ফেসবুক পেজ তৈরি ও সেটাপ করার জন্য Hire করাতে।
ধাপ ২: প্রোডাক্ট লিস্টিং ও ফেসবুক পেজ গ্রো
পেজ তৈরি থেকে সেটাপ হয়ে গেলে এবার প্রয়োজন হবে আপনার পণ্য বা সেবা বিষয়ক বিভিন্ন ইনফরমেশনাল পোস্ট ও প্রোডাক্ট লিস্টিং করা শুরু করতে হবে।
ধিরে ধিরে পেজকে অর্গানিক্যালি গ্রো করতে হবে। এক্ষেত্রে সোশ্যাল শেয়ার, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
ধাপ ৩: সচেতনতা ও বিক্রি
এই স্টেজে এসে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ব্যাপক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কেনো একজন সম্ভাব্য কাস্টমারের উক্ত পণ্যটি ক্রয় করা উচিৎ সেই মাইন্ডসেট তৈরি করে দিতে হবে। ফেসবুকে এই কাজটি করা খুব সহজ, কিছু ট্রেন্ড অনুসরণ করে মার্কেটিং কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি মানুষের কল্যাণকর কিছু আয়োজন করলেই ফলাফল দেখা যাবে।
ধাপ ৪: পণ্য বিক্রি ও বাজারজাতকরণ
এই স্টেজে এসে অর্গানিক ভিজিটর / কাস্টমার আনার পাশাপাশি ফেসবুকে এড রান করেও সম্ভাব্য কাস্টমারকে প্রকৃত কাস্টমারে রুপান্তর করতে পারেন এবং পণ্যটিতে ডেলিভারি পার্টনারের মাধ্যমে ক্রেতার হাতে পৌছে দিবেন। অতঃপর ব্যবসায়িক লেনদেন সমাপ্ত ঘটাবেন।
ধাপ ৫: বিক্রি পরবর্তী সেবা ও পূর্বের কাস্টমার ধরে রাখা
অনেক বিক্রেতা রয়েছে যারা একবার কাস্টমারদের কাছে পণ্য বিক্রি করে আর কোনো খোজ খবর রাখে না, বা রি-টার্গেটিং করে না। যেটা খুব বড় একটা ভুল এবং ভুল স্ট্রেটেজির বহিঃপ্রকাশ।
আপনাকে অবশ্যই আপনার কাস্টমারকে After sell service দিতে হবে এবং ক্রেতাকে রিটার্গেটিং এর মাধ্যমে পুনরায় ক্রয়ের জন্য উৎসাহী করে তুলতে হবে।
ব্যাস, এই স্ট্রেটেজিটুকু ঠিক ভাবে অনুসরণ করার মাধ্যমেই ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা খুব ভালো ভাবে করা যাবে।
ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসার ৫টি আইডিয়া
ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করার অনেক উপায় আছে। এখানে পাঁচটি জনপ্রিয় আইডিয়া দেওয়া হলো:
১. পোশাক এবং ফ্যাশন পণ্য বিক্রয়
ফেসবুকে পোশাক এবং ফ্যাশন ক্যাটাগরির পণ্য বিক্রি করা একটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসায়িক আইডিয়া। আপনি নিজের ডিজাইন করা পোশাক, গয়না, ব্যাগ, এবং অন্যান্য ফ্যাশন আইটেম ফেসবুক শপে বা মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন।
আপনি যদি কনফিউজড থাকেন যে এতো এতো প্রোডাক্টের মধ্যে ঠিক কোন নিশ বা কোন প্রোডাক্টটি বেছে নিবো তবে নিচের দেয়া টেবিল থেকে বাছাই করে নিন।
পণ্যের ধরন | উদাহরণ |
পুরুষদের পোশাক | টি-শার্ট, শার্ট, প্যান্ট, জিন্স, ব্লেজার |
নারীদের পোশাক | শাড়ি, কামিজ, কুর্তি, লেহেঙ্গা, টপস |
ফুটওয়্যার | স্নিকার্স, হাই হিল, স্যান্ডেল, বুট |
গয়না | কানের দুল, নেকলেস, আংটি, ব্রেসলেট |
ব্যাগ ও পাউচ | হ্যান্ডব্যাগ, ক্লাচ, ব্যাকপ্যাক, ট্রাভেল ব্যাগ |
বিউটি এবং স্কিনকেয়ার | মেকআপ কিট, স্কিনকেয়ার প্যাক, চুলের সরঞ্জাম |
কাস্টমাইজড প্রোডাক্ট | কাস্টম টি-শার্ট, মগ, কুশন, ফোন কেস |
জুয়েলারি সেট | সোনা, রূপা বা ফ্যাশন জুয়েলারি |
চশমা ও সানগ্লাস | বিভিন্ন ডিজাইনের ফ্রেম এবং লেন্স |
২. হোমমেড খাবার বা বেকারি আইটেম বিক্রয়
ঘরে তৈরি খাবার বা বেকারি আইটেম (যেমন কেক, পেস্ট্রি, কুকিজ, এবং বিভিন্ন ধরণের মিষ্টি খাবার) বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অর্ডার গ্রহণ করে এবং নিজের এলাকার মধ্যে সরবরাহ করতে পারেন।
বর্তমানে এমন অনেক “ক্লাউড কিচেন” প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যেখানে ঘরে বসেই রেস্টুরেন্টের খাবার (যেমন – বিরিয়ানি, কাচ্চি, মোরগ পোলাও, তেহারি ইত্যাদি) বিক্রি করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অনুরুপ ভাবে আপনিও একই কাজ করতে পারেন। তবে এই কাজটি করাতে আপনার খারাপ রান্না বা এই বিষয়ক দক্ষতার প্রয়োজন হবে।
৩. বিউটি এবং স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টস
বিউটি এবং স্কিনকেয়ার পণ্য ফেসবুকে বিক্রির জন্য খুবই ভালো একটি আইডিয়া। বিশেষ করে মেয়েদের আকর্ষণীয় জিনিস গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ Ads run করা হয় এই নিশের উপর। এবার আসুন তবে বেসিক একটা আইডিয়া দেয়া যাক কি কি ধরণের পণ্য আপনি ফেসবুকে বিক্রি করলে ভালো সাড়া পেতে পারেন।
পণ্যের ধরন | উদাহরণ |
ফেস কেয়ার পণ্য | ফেস ওয়াশ, ময়েশ্চারাইজার, টোনার, ফেস মাস্ক |
চুলের যত্নের পণ্য | শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, হেয়ার অয়েল, হেয়ার সিরাম |
মেকআপ প্রোডাক্টস | ফাউন্ডেশন, লিপস্টিক, মাশকারা, আইলাইনার |
স্কিন ট্রিটমেন্ট পণ্য | অ্যান্টি-এজিং ক্রিম, সানস্ক্রিন, অ্যাকনে ট্রিটমেন্ট |
বডি কেয়ার পণ্য | বডি লোশন, বডি বাটার, স্ক্রাব, সোপ |
ন্যাচারাল বিউটি প্রোডাক্টস | অর্গানিক তেল, হার্বাল মাস্ক, ন্যাচারাল স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টস |
ফ্র্যাগরেন্স এবং পারফিউম | পারফিউম, বডি মিস্ট, ডিওডোরেন্ট |
বিউটি টুলস এবং অ্যাক্সেসরিজ | মেকআপ ব্রাশ, বিউটি ব্লেন্ডার, ফেস রোলার |
৪.কাস্টমাইজড প্রোডাক্টস
বিভিন্ন ইভেন্ট, পিকনিক, অর্গালাইজেশন, পার্টির ক্ষেত্রে কাস্টমাইজ ড্রেস ও অন্যান্য জিনিস ব্যবহার করে থাকে। যার কারণে এর চাহিদা প্রায় সব সময়ই লক্ষ্যনীয়। গ্রাহকরা তাদের পছন্দমত ডিজাইন বা টেক্সট দিয়ে এসব পণ্য অর্ডার করতে পারেন। এদিকে প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের চাহিদা অনুসারে পণ্য তৈরি করে ক্রেতার হাতে পৌছে দেয়ার কাজ করে থাকে।
কাস্টমাইজ প্রোডাক্ট ঠিক কত ধরনের হতে পারে এবং কোনটা কি সে বিষয়ে ভালো ভাবে বুঝাতে নিম্মে একটি ছক আঁকারে বিষয় গুলোর ব্যাখ্যা দেয়া আছে, এক নজরে দেখে রাখুন।
পণ্যের ধরন | বৈশিষ্ট্য / ব্যাখ্যা |
কাস্টম টি-শার্ট | গ্রাহকের পছন্দমতো প্রিন্ট বা ডিজাইন যুক্ত টি-শার্ট, যেখানে নাম, ছবি বা বার্তা অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। |
কাস্টম মগ | ফটো বা ব্যক্তিগত বার্তা যুক্ত মগ, যা উপহারের জন্য জনপ্রিয়। |
কাস্টম কুশন | নরম কুশন, যার ওপর গ্রাহকের পছন্দের ফটো বা নাম প্রিন্ট করা থাকে। |
কাস্টম ফোন কেস | ব্যক্তিগত ফটো, ডিজাইন বা নামযুক্ত ফোন কেস, যা স্টাইল এবং প্রোটেকশনের জন্য ব্যবহৃত হয়। |
কাস্টম ক্যালেন্ডার | ব্যক্তিগত ছবি যুক্ত ক্যালেন্ডার, যা প্রতিদিনের মুহূর্তগুলোকে স্মরণীয় করে তোলে। |
কাস্টম নোটবুক | কভার ডিজাইনে গ্রাহকের পছন্দের নাম বা ছবি যুক্ত নোটবুক, যা ব্যক্তিগত ব্যবহার বা উপহারের জন্য আদর্শ। |
কাস্টম ফ্রেম | প্রিন্টেড ফটো বা নামযুক্ত ফ্রেম, যা স্মৃতির সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত। |
কাস্টম ব্যাগ | টোট ব্যাগ বা ব্যাকপ্যাক যেখানে গ্রাহকের নাম বা ব্যক্তিগত বার্তা প্রিন্ট করা হয়। |
তাহলে আশা করা যায় কাস্টমাইজ প্রোডাক্ট ফেসবুকে বিক্রি করা সংক্রান্ত বিষয়টি বুজতে পেরেছেন। এবার লাস্ট আইডিয়া থেকে ঘিরে আসবো।
৫. ডিজিটাল প্রোডাক্টস
ই-বুক, অনলাইন কোর্স, গ্রাফিক ডিজাইন সার্ভিস, থিম, প্লাগিন, এবং অন্যান্য ডিজিটাল পণ্য ফেসবুকে বিক্রি করা একটি নতুন ট্রেন্ড। আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার দক্ষতা কাজে লাগিয়েও ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
📌 আরো পড়ুন 👇
- মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা
- পত্রিকায় লেখালেখি করে আয় করার উপায়
- কবিতা ও গল্প লিখে আয় করার উপায়
ডিজিটাল প্রোডাক্টের পরিমাণ আসলে অনেক বেশি, এক্ষেত্রে আপনার উচিৎ হবে যেকোনো নিদিষ্ট একটি সেক্টরের যেকোনো একটি নিশ বাছাই করে নেয়া। এরপর উপরের স্ট্রেটেজি অনুসরণ করে উক্ত পণ্যকে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব্য ক্রেতার কাছে।
ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কিত প্রশ্নউত্তর
ব্যবসায়িক ফেসবুক পেজ কি ব্যক্তিগত প্রোফাইলের সাথে লিংক করা উচিত?
হ্যাঁ, ফেসবুকে প্রতিটা বিজনেস পেজের ক্ষেত্রে একটি করে ব্যক্তিগত প্রোফাইল লিংক করা জরুরি।
ফেসবুক পেজ তৈরি করতে কত টাকা লাগে?
ফেসবুক থেকে বিনামূল্যেই ফেসবুক পেজ তৈরি করা যায়।
ফেসবুক প্রোফাইলকে পেজে রূপান্তর করা যায়?
হ্যাঁ, বর্তমানে “প্রোফেশনাল মুড” অন করে দিলেই নরমাল প্রোফাইল পেজ এর অনুরুপ হয়ে যাবে।
ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করতে কত টাকার মূলধন লাগে?
এটা নির্ভর করে আপনি কি পণ্য বাছাই করবেন ব্যবসায়ের জন্য আর কি পরিসরে শুরু করবেন সেটার উপর।
ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কি?
দৃঢ় পরিকল্পনা ও কার্যকর কৌশল অনুসরণ করে ব্যবসা পরিচালনা। কার্যকর মার্কেটিং, এনগেজমেন্ট এবং যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করা।
ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে আমাদের মতামত
আপনার ব্যবসা ফেসবুকে গড়ে তুলেন কিংবা অন্য কোনো স্থানে, সকল ক্ষেত্রেই ব্যবসায়ে সৎ থাকাটা জরুরি, কাস্টমারকে কেবল একটি প্রোডাক্ট দেয়ার বদলে তাকে বিক্রি করুন নির্ভরতা, বিশ্বস্থতা। বাদ বাকি যেমনটা স্ট্রেটেজি বলা হয়েছে তেমনটা অনুসরণ করুন।
আশা করি উক্ত আর্টিকেলের মাধ্যমে ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম ও আইডিয়া সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছেন। এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ