টেকনিক্যাল এসইও কি? টেকনিক্যাল এসইও করার নিয়ম

5/5 - (1 vote)

গুগলে যে কোন কনটেন্ট রেংক করানোর জন্য আমরা প্রায়শই এসইও নামক শব্দটির ব্যবহার শুনে থাকি। যখন সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম কানুন গুলো সঠিকভাবে পালন করা হয় তখনই একটি কন্টেন্ট গুগলে রেংকিং এ থাকে। আমরা প্রায়শই যে এসইও গুলোর নাম শুনে থাকি তা হল: On Page SEO, Of-Page SEO ও Technical SEO। এসইও করার সময় আমাদের মেইন টার্গেট থাকে অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও এর দিকে। 

কিন্তু অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও এর দিকে গভীর ভাবে ফোকাস করতে গিয়ে আমরা টেকনিক্যাল এসইও নিয়ে খুব বেশি  মাথা ঘামাই না। কিন্তু ওয়েবসাইটে একটা কনটেন্ট তখনই রেঙ্ক করবে যখন ওয়ান পেজ এসইও এর পাশাপাশি টেকনিক্যাল এসইও সঠিকভাবে করা হয়। সুতরাং ওয়ান পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও এর মত টেকনিক্যাল এসইও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আজকে রাইটিকেলে আমরা টেকনিক্যাল এসইও কি, টেকনিক্যাল এসইও এর কাজ কি, টেকনিক্যাল এসইও করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

Table of Contents

টেকনিক্যাল এসইও কি

টেকনিক্যাল এসইও কি, টেকনিক্যাল এসইও করার নিয়ম

একটা ওয়েবসাইটে ঢুকে আমরা যা কিছু দেখতে পারি তা ঐ ওয়েবসাইটের টেকনিক্যাল দিকগুলোর অপটিমাইজেশন কে বোঝানো হয়ে থাকে। ওয়েবসাইটকে গুগল,বিং এবং ইয়াহুর মতো সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করাতে হলে টেকনিক্যাল এসইও অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। 

ওয়েবসাইটের স্পিড, ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচার এবং নেভিগেশন, ইউআরএল স্ট্রাকচার, টেকনিক্যাল অডিট,XML Sitemaps ইত্যাদি সবকিছুই টেকনিক্যাল এসইও এর আওতাধীন। তাই খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ওয়েবসাইটের যে টেকনিক্যাল উন্নতি ঘটনার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইট রেঙ্ক করানো যায় তাকে এই টেকনিক্যাল এসিইও বলা হয়ে থাকে। কীওয়ার্ড বসানো, মেটা ট্যাগ, ইন্টারনাল লিঙ্ক, শিরোনাম ইত্যাদি টেকনিক্যাল এসইও এর আওতাধীন নয়।

টেকনিক্যাল এসইও চেক লিস্ট 

টেকনিক্যাল এসইও এর চেক লিস্ট নিচে তুলে ধরা হলো: 

  • ফিক্স ব্রোকেন লিংক, 
  • ইন্সটল এসএসএস সার্টিফিকেট, 
  • ডোমেইন নেম,
  • ক্রিয়েট xml সাইটম্যাপ,
  • Robots.txt ফাইল অপটিমাইজ, 
  • ওয়েবসাইট লেআউট,
  • লোডিং স্পিড, 
  • মোবাইল ফ্রেন্ডলি, 
  • চেক গুগল সার্চ কনসোল, 
  • রিডিউস স্প্যাম স্কোর।

টেকনিক্যাল এসইও এর কাজ কি

এসইও এর যে কয়টি ফ্যাক্টর রয়েছে তা সবগুলোই ভিন্ন ভিন্ন খাতে কাজ করে থাকে। তবে অন পেজ এসইও, অফ পেজ এসইও এবং টেকনিক্যাল এসইও এর মূল কাজ হল ওয়েবসাইট এর কনটেন্টকে গুগলের রেংকিং এ নিয়ে আসা। আপনি যখন একটু ওয়েবসাইট চালানোর প্রক্রিয়া শুরু করবেন তখন থেকেই আপনাকে টেকনিক্যাল এসইও সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা রাখতে হবে। টেকনিক্যাল এসইও এর কাজ নিচে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো 

কনটেন্টকে পাঠকের কাছে বোধগম্য করে তোলে 

ওয়েব সাইটে আপনি যে কনটেন্ট পাবলিশ করছেন তা কোন বিষয়ে লেখা হয়েছে অর্থাৎ পাঠকের কাছে কনটেন্ট বোধগম্য করে তোলার জন্য টেকনিক্যাল এসইও কাজ করে। যেমন আপনি যদি রেসিপি বিষয়ক ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে টেকনিক্যাল এসইও এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমেই আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন মেনু, রান্নার ধরন ইত্যাদি তুলে ধরা হয়।

ওয়েবসাইটের গতি বৃদ্ধি করে

ওয়েবসাইটের গতি কম হলে পাঠক ধরে রাখা খুবই কঠিন। টেকনিক্যাল ইসিও আপনার ওয়েবসাইটের গতি বৃদ্ধি করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এটা সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাংকিং এ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি পাঠক ধরে রাখতে সাহায্য করবে। সুতরাং ওয়েবসাইটের গতি বৃদ্ধি করে পাঠক ধরে রাখার জন্য অবশ্যই টেকনিক্যাল এসইও সঠিকভাবে করবেন।

ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচার সহজ করে

পাঠকের কাছে ওয়েবসাইটে সকল পৃষ্ঠা গুলো ভালোভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচার বোধগম্য হওয়া জরুরী। টেকনিক্যাল এসইও ব্যবহার করলে ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচার পাঠকের কাছে বোধগম্য হয় ফলে তারা একের পর এক পেজ নিজেদের পছন্দমত খুঁজে নিতে পারে। এটাও ওয়েবসাইটে পাঠক ধরে রাখার আরেকটি কার্যকর পন্থা।

টেকনিক্যাল এসইও অডিট কাকে বলে

ওয়েবসাইটের মধ্যে যদি কারিগরি গোলযোগ বিদ্যমান থাকে তাহলে সার্চ ইঞ্জিন খুব ভালো ফলাফল প্রদান করতে পারে না। যদি আপনার ওয়েবসাইটে কারিগরি ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার কনটেন্ট কখনোই প্রথমের তালিকায় দেখাবে না এবং ক্রমান্বয়ে তা নিচের দিকে নামতে থাকবে। এই কারিগরি গোলযোগ মেটানোর জন্য কাজ করে থাকে টেকনিক্যাল এসইও অডিট। এই অডিট এর মাধ্যমে সহজ কথায় বলতে গেলে আপনার ওয়েবসাইটের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সম্ভব হয়। ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি রয়েছে কিনা, সার্চ ইঞ্জিন বোট গুলো ঠিকঠাক ভাবে ওয়েবসাইট সহজে স্ক্রল করতে পারছে কিনা তা জানার জন্য টেকনিক্যাল এসইও অডিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

টেকনিক্যাল এসইও করার নিয়ম

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, পাঠক যে বিষয়ে জানতে চাই সে বিষয়ে সার্চ করে প্রথম তিনটি কন্টেন্টে বেশিরভাগ পাঠক ক্লিক করে থাকেন। এক্ষেত্রে প্রায় ৭৫ শতাংশ পাঠক তিনটি কনটেন্ট এ ক্লিক করেন। কিন্তু যে কোন কনটেন্ট এই প্রথম তিনটি সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে প্রতিযোগিতা থাকে। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য টেকনিক্যাল এসইও এর কোন বিকল্প নেই।

১) ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি করা 

বর্তমানে বেশিরভাগ পাঠকেরা কম্পিউটার এর থেকেও বেশি মোবাইল ফোনে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কনটেন্ট সার্চ করে থাকে তাই প্রত্যেকটি এখন মোবাইল ফ্রেন্ডলি থাকা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো কনটেন্টে রিডার ক্লিক করার পর তা যেন মোবাইলে ভালোভাবে দেখতে পারে সেদিকে খেয়াল রেখে টেকনিক্যাল এসইও কাজ করে থাকে।

২) ওয়েবসাইটের গতি বৃদ্ধি করা

টেকনিক্যাল এসইও কি, টেকনিক্যাল এসইও করার নিয়ম

ওয়েবসাইট দ্রুত লোড করা এবং ওয়েবসাইট ফার্স্ট করার জন্য ছবি এবং অন্যান্য মিডিয়া ফাইল অপটিমাইজ করা টেকনিক্যাল এসইও এর অন্যতম কাজ। তাছাড়া টেকনিক্যাল এসইও এর মাধ্যমে ভিজিটর দ্রুত ওয়েবসাইট পরিবর্তন করতে পারে।

৩)XML সাইটম্যাপ তৈরি

গুগলে যেহেতু সার্চ ইঞ্জিন প্রতিনিয়ত ইনডেক্স করেৎ সেজন্য XML সাইটম্যাপ এই কাজকে অনেক দ্রুততরো করে দিতে পারে। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যদি কোন নতুন পেজ আপডেট করেন তাহলে XML সাইটম্যাপ এর মাধ্যমে আপডেট করে তা খুব দ্রুত সার্চ ইঞ্জিন কে জানিয়ে দেয়। আর এখানে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, আপনি নিজেই XML সাইটম্যাপ তৈরি করতে পারবেন। কিছু ওয়েবসাইট বিল্ডার CMS স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হয়ে যায়।

৪)ক্যানোনিকাল ট্যাগ ব্যবহার

টেকনিক্যাল এসইও কি, টেকনিক্যাল এসইও করার নিয়ম,

এটি একটি HTML এলিমেন্ট যা কোনো ওয়েব পেজের জন্য মূল সোর্স পেজকে নির্দেশ করতে সাহায্য করে। যদি একটি টপিকের উপর google প্রচুর পরিমাণে কন্টেন্ট থাকে তাহলে ক্যানোনিকাল ট্যাগ এর মাধ্যমে ইন্ডিকেট করা যায় কোনটি আসল কনটেন্ট এবং কোনগুলো কপি কনটেন্ট। একই টপিকের উপর যদি অনেকগুলো ওয়েবসাইট থাকে বা মোবাইল বা ডেক্সটপ ভার্সনে একই কন্টেন্ট থাকে তাহলে ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাংকিংকে খারাপ প্রভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এক্ষেত্রে ক্যানোনিকাল ট্যাগ ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিন সহজেই বুঝতে পারে কোনটি আসল কনটেন্ট এবং কোনটি কপি কনটেন্ট।

৫)Robots.txt ফাইল সেটআপ

Robots.txt ফাইল সেটআপ এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের ক্রলার গুলোকে নির্দেশ দিতে পারেন। আপনার ওয়েব সাইটে ঢুকে কোন ফাইলটি স্ক্রল করা যাবে এবং কোন ফাইলটি করা যাবে না তা নির্ধারণ করতে এবং ওয়েবসাইটকে সুরক্ষিত রাখতে Robots.txt ফাইল সেটআপ করা জরুরী যা সম্পূর্ণরূপে টেকনিক্যাল এসইও এর আওতাভুক্ত।

৬)স্ট্রাকচার্ড ডেটা

টেকনিক্যাল এসইও কি, টেকনিক্যাল এসইও করার নিয়ম

স্ট্রাকচার্ড ডেটা হল এমন একটি ডেটা যা নির্দিষ্ট গঠন বা স্ট্রাকচার অনুসারে সংগঠিত থাকে। এই গঠনটি ডেটাকে আরও সহজে বুঝতে, ব্যবহার এবং বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে। স্ট্রাকচার্ড ডেটা সাধারণত টেবিল, ডাটাবেস, বা অন্যান্য সুসংগঠিত ফরম্যাটে উপস্থাপিত হয়। স্ট্রাকচার্ড ডেটার উদাহরণগুলো হল: স্প্রেডশিট, ডাটাবেস, CSV ফাইল, XML ফাইল ইত্যাদি। স্ট্রাকচার্ড ডেটার সুবিধা গুলো হলো: 

  • স্ট্রাকচার্ড ডেটা মানুষ এবং কম্পিউটার উভয়ের জন্যই বোঝা সহজ।
  • স্ট্রাকচার্ড ডেটাতে নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে পাওয়া খুব সহজ।
  • স্ট্রাকচার্ড ডেটাকে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এবং সিস্টেমের মধ্যে সহজে ভাগ করে নেওয়া যায়।
  • কাস্টমার ডেটা, ফিনান্সিয়াল ডেটা, ইনভেন্টরি ডেটা ইত্যাদি স্ট্রাকচার্ড ফরম্যাটে সংরক্ষণ করা হয়।
  • বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষামূলক ডেটা স্ট্রাকচার্ড ফরম্যাটে সংরক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করা হয়।

৭)ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি

সাধারণত এসিওকে মূলত ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানোর একটি কৌশল হিসেবেই দেখা হয়। কিন্তু আসলে টেকনিক্যাল এসিও ওয়েবসাইটের কারিগরি দিককে অপ্টিমাইজ করে এছাড়া টেকনিক্যাল এসিও আপনার ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে। টেকনিক্যাল এসিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল HTTPS প্রোটোকল ব্যবহার করা। HTTPS আপনার ওয়েবসাইট এবং ব্যবহারকারীর ডিভাইসের মধ্যকার যোগাযোগকে এনক্রিপ্ট করে, যার ফলে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করতে পারে না। টেকনিক্যাল এসিও  আপনার ওয়েবসাইটকে ম্যালওয়্যারের জন্য স্ক্যান করে এবং নিশ্চিত করে যে আপনার ওয়েবসাইটে কোনো ক্ষতিকারক কোড আছে কিনা যা আপনার ব্যবহারকারীদের ক্ষতি করতে পারে। টেকনিক্যাল এসিও এবং ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা দুটি বিষয়ে আলাদা মনে হলেও, আসলে এরা ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। টেকনিক্যাল এসিওর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে আরও নিরাপদ করে তুলতে পারেন।

৮)হেডার ট্যাগ এবং আল্ট টেক্সট

টেকনিক্যাল এসইও কি, টেকনিক্যাল এসইও করার নিয়ম

ওয়েব পেজের বিভিন্ন অংশকে গুরুত্বের ভিত্তিতে শ্রেণীবদ্ধ করতে হেডার ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। এই ট্যাগগুলি সার্চ ইঞ্জিনকে পেজের বিষয়বস্তু বুঝতে সাহায্য করে এবং সার্চ রেজাল্টে ভালো র‍্যাঙ্কিং দিতে পারে। অন্যদিকে, যখন কোন ছবি লোড হয় না বা দৃষ্টিহীন ব্যক্তি পেজ ব্রাউজ করে তখন আল্ট টেক্সট প্রদর্শিত হয়। সার্চ ইঞ্জিনকে আল্ট টেক্সট ছবির বিষয়বস্তু বুঝতে সাহায্য করে এবং ইমেজ সার্চে ভালো র‍্যাঙ্কিং দিতে পারে। এখানে উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, আপনার ওয়েবসাইটটি যদি ডিজিটাল মার্কেট সম্বন্ধীয় হয়ে থাকে তবে H1 ট্যাগ হতে পারে “ডিজিটাল মার্কেটিং।

৯)ব্রোকেন লিংক রিমুভ

আপনার ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ পারফরম্যান্স কে খারাপ করে দেওয়ার জন্য ব্রোকেন লিংক যথেষ্ট। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং সার্চ ইঞ্জিনের জন্যও যথেষ্ট আপত্তিকর হয়ে থাকে। ব্রোকেন লিংক বলতে বোঝায় যখন একজন ব্যবহারকারী একটি ওয়েবসাইটে ক্লিক করার পর 404 পেজ নট ফাউন্ড দেখায়। এর প্রধান কারণ হলো একটি ওয়েবসাইট ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করলে এবং কিছু ভুল তথ্য ইনক্লুড করা হলে এরকম দেখাতে পারে। এতে আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ রেংকিং কমে যায়। ব্রোকেন লিঙ্ক ক্রলার গুলোকেও বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি আপনার ওয়েবসাইটে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পেজগুলো সঠিকভাবে ইনডেক্স করতে পারে না।

১০)ওয়েবসাইট নেভিগেশন

টেকনিক্যাল এসইও কি, টেকনিক্যাল এসইও করার নিয়ম

প্রত্যেকটি ভালো ওয়েবসাইটের জন্য নেভিগেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ওয়েবসাইটে পাঠকদের বেশিক্ষণ ধরে রাখার জন্য এবং আপনার কনটেন্টকে আনন্দ সহকারে উপভোগ করার জন্য ওয়েবসাইট নেভিগেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে পাঠকেরা তখনই বেশ ভালোভাবে জানতে পারবে যখন আপনার ওয়েবসাইট নেভিগেশন ফুলফিল ভাবে করা হবে। কিন্তু যখন পাঠকেরা তাদের কাঙ্খিত বস্তুটি আপনার ওয়েবসাইট থেকে খুঁজে পাবে না তখন তারা খুব দ্রুত আপনার ওয়েবসাইট থেকে বেরিয়ে যাবে যাকে বলা হয় বাউন্স রেট। তাই এক্ষেত্রে একটু ওয়েবসাইটের নেভিগেশন যতটা সুন্দর হবে সেখানে বাউন্স রেট ততটাই কম হবে।

১১) মনিটরিং এবং মেনটেনেন্স পক্ষ

আপনার ওয়েবসাইটে সকল পরিস্থিতি নজরদারি করার জন্য অবশ্যই মনিটরিং এবং মেইনটেনেন্স এর প্রয়োজন রয়েছে। ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালোভাবে সবকিছু জানতে পারা এবং যদি কোন কনটেন্টের সমস্যা থাকে তাহলে তার ফিক্স করে পুনরায় সার্চ ইঞ্জিনে রেংকিং এ নিয়ে আসার জন্য মনিটরিং এবং মেইনটেনেন্স এর গুরুত্ব অপরিসীম। মনে রাখবেন সার্চ ইঞ্জিন সবসময় আপডেট রাখতে হয়, প্রযুক্তিগত এসিইও নিয়মিত আপডেট করার পাশাপাশি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা ও একান্ত জরুরী।

FAQ

১)টেকনিক্যাল এসইও কি এবং কিভাবে কাজ করে?

উঃ ওয়েবসাইটের যে টেকনিক্যাল উন্নতি ঘটনার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইট রেঙ্ক করানো যায় তাকে এই টেকনিক্যাল এসিইও বলা হয়ে থাকে। টেকনিক্যাল এসইও এর মূল কাজ হল ওয়েবসাইট এর কনটেন্টকে গুগলের রেংকিং এ নিয়ে আসা।

২)টেকনিক্যাল এসইও ফ্যাক্টর কি?

উঃ টেকনিক্যাল এসইও ফ্যাক্টর হলো আপনার ওয়েবসাইটের পিছনের দিকে কাজ করার জন্য ওয়েবসাইটের কাঠামো, কোড এবং অন্যান্য কারিগরি উপাদান গুলো কে সুচারুভাবে পরিচালনা করা, যাতে করে সার্চ ইঞ্জিন গুলো (যেমন গুগল, বিন ইত্যাদি) আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট কে সহজে বুঝতে পারে এবং সার্চ রেজাল্টে উপরে দেখাতে পারে।

৩) এসইও এর উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে কোনটি?

উঃ এসইও এর উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে গুণমান বিষয়বস্তু। এছাড়া ব্যাকলিংক ও এসইও এর উপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে। 

📌 আরো পড়ুন 👇

টেকনিক্যাল এসইও সম্পর্কে আমাদের মতামত 

অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে করতে আমরা অধিকাংশ সময় টেকনিক্যাল এসইও এর কথা ভুলে যাই। কিন্তু যেকোনো কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনে প্রথমে আনার জন্য এবং দীর্ঘ সময় ধরে তা টিকিয়ে রাখার জন্য টেকনিক্যাল এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের আর্টিকেলে আমরা টেকনিক্যাল এসিও করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। টেকনিক্যাল এসিও সম্পর্কে যাদের বিভিন্ন প্রশ্ন ছিল আশা করি তারা তাদের উত্তর পেয়েছেন। কনটেন্টি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং এরকম তথ্যবহুল পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

Sharing Is Caring

Leave a Comment