তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর

4.3/5 - (48 votes)

তথ্য প্রযুক্তির সংক্ষিপ্ত সমার্থক শব্দ হল আইসিটি যা বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলোর মধ্যে অন্যতম। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে একত্রে একটি একীভূত যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। টেলিযোগাযোগ, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ, অডিও এবং ভিডিও সিস্টেমের মাধ্যমে তথ্য গ্রহণ এবং পরবর্তীতে তথ্য বিশ্লেষণ সবই করা সম্ভব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির 

 ব্যবহার  বিশ্বায়নের প্রশস্ত আঙিনায় অবদান রাখছে ফলশ্রুতিতে তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াকরণ এবং সরবরাহের জন্য প্রতিনিয়ত মিলিত ও সুশৃংখল রূপ তুলে ধরছে কম্পিউটিং, মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স, টেলিকমিউনিকেশন, ডাটাবেস উন্নয়ন, বিনােদন, তথ্যভান্ডার, নেটওয়ার্ক, সফ্টওয়্যার উন্নয়ন এর মাধ্যমে। কালের বিবর্তনে মানুষ এখন তথ্যপ্রযুক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িয়ে গেছে। আজকের আর্টিকেলে  আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করব।

দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব

দৈনন্দিন জীবনে শিক্ষাক্ষেত্র থেকে চিকিৎসা ক্ষেত্র পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে যেভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক একইভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব ও সমানভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘুম থেকে ওঠার পর প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয় তা ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। দৈনন্দিন জীবনে যেসব ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো হল: 

  • চিকিৎসা ক্ষেত্রে, 
  • শিক্ষা ক্ষেত্রে, 
  • কৃষি ক্ষেত্রে, 
  • পরিবেশ ও আবহাওয়ার ক্ষেত্রে, 
  • ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে, 
  • টেকসই অর্থনীতির ক্ষেত্রে, 
  • যাতায়াত ব্যবস্থার ক্ষেত্রে।

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব

অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন রকম কোর্স থেকে শুরু করে অনলাইনে ঘরে বসে যেকোনো ধরনের পড়াশোনা সম্পন্ন করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা সর্বাধিক। বর্তমানে কম্পিউটার ছাড়া শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রায় অচল। এরূপ অবস্থায় কম্পিউটারের বিভিন্ন কোর্স এবং সেই কোর্স থেকে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা পাওয়া ইত্যাদি সবকিছুই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্ভব হচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আরেকটি বড় দিক হল, এখানে সব ধরনের অনলাইন ক্লাস এবং সকল প্রকার তথ্য রেকর্ড করে রাখা সম্ভব যা পরবর্তীতে সময়মতো চালিয়ে পুনরায় চেক করা সম্ভব। শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্বগুলো হল:

  • বাস্তব সম্মত শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, 
  • শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, 
  • শিক্ষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন,
  • তথ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে ইন্টারনেট থেকে শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময় প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে এবং ইন্টারনেট ভিত্তিক পড়াশোনা শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ চমকপ্রদ হয়ে থাকে, এতে করে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করলে শিক্ষার্থীদের শেখার গতি ত্বরান্বিত হয় এবং শিক্ষকরা ও বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে খাতা দেখা, প্রশ্নপত্র তৈরি করা ইত্যাদি ঝামেলা পূর্ণ কাজ সহজেই করতে পারেন।

যোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব

কিছু বছর আগেও এই জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা হতো চিঠি, টেলিগ্রাম ইত্যাদি। এটি ছিল একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, অর্থাৎ আজ চিঠি কোথাও পাঠালে তা পৌঁছাতে আরো সাত দিন সময় লাগতে পারতো। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের সবচেয়ে বড় ছোঁয়া লেগেছে যোগাযোগ ক্ষেত্রে। বর্তমানে আইসিটি বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যোগাযোগ ক্ষেত্রে যেভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা হল: 

  • ছবি, ভিডিও এবং অডিও এর মাধ্যমে খুব দ্রুত তথ্যের আদান প্রদান নিশ্চিত করা সম্ভব,
  • ফেসবুক, twitter এবং instagram ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে প্রয়োজনীয় সকল মানুষের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব, 
  • অনলাইনের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো বিতরণ করা সম্ভব,
  • ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসারের ফলে বর্তমানে ইন্টারনেটের খরচ দিন দিন কমে আসছে, ফলে ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে,
  • ইমেইল, মেসেজ এবং অডিও ও ভিডিও কলের মাধ্যমে ‌ মুহূর্তের মধ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যোগাযোগ ক্ষেত্রে যেভাবে শুভ ফল প্রদান করেছে ঠিক একই রূপে কিছু খারাপ ব্যবহার ও লক্ষ্য করা যায়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নেতিবাচক বিভিন্ন দিকের মধ্যে অন্যতম হলো: 

ইন্টারনেটে ব্যাপক রূপে তথ্যের ভুল প্রচার হতে দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব তথ্যের সত্যতা যাচাই না করেই মানুষ বিভিন্ন রকমের ভুলভ্রান্তিতে জড়িয়ে পড়ে। অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে মানুষের সাথে মানুষের আই কন্টাক্ট বা মুখোমুখি যোগাযোগের পরিমাণ কমে যাচ্ছে, এখন মানুষ ইন্টারনেটে কথা বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। ইন্টারনেটে বেশিরভাগ মানুষ ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে বেশি পছন্দ করেন। ব্যক্তিগত তথ্য বেশি শেয়ারের ফলে পরবর্তীতে গোপনীয়তা হারানোর সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং যেহেতু যোগাযোগ ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কিছুটা নেতিবাচক দিক রয়েছে তাই প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।

ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব

যোগাযোগ ক্ষেত্রের পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবদান রেখে চলেছে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে। চলুন এক নজরে দেখে আসি ব্যবসার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব গুলো কি কি: 

  • দ্রুত তথ্যের আদান-প্রদান নিশ্চিত করে, 
  • বাজার গবেষণা করতে সাহায্য করে, 
  • মানব সম্পদ উন্নয়ন করার পাশাপাশি ব্যয় সাশ্রয় করতে সাহায্য করে, 
  •  বিশ্বব্যাপী ব্যবসা নিশ্চিত করে, 
  • গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করে, 
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও কে সহজ করে তোলে, 
  • ই কমার্স এবং অনলাইন পেমেন্ট নিশ্চিত করে, 
  • কম্পিউটারাইজড মেশিন এর ব্যবহার সুবিধাজনক করে তোলে, 
  • ভিডিও কনফারেন্সিং এবং মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।

ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত বাজারের চাহিদা পর্যবেক্ষণ, প্রতিযোগীদের কার্যকলাপ সম্পর্কে জানা এবং বুঝতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতামূলক এই বাজারের গবেষণা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণ ছাড়া কখনোই সম্ভব নয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে হাতের নাগালে আনা সম্ভব, এতে করে ব্যবসায়ের প্রসারতা যেমন বৃদ্ধি পায় ঠিক একইভাবে মুনাফা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়া আধুনিক বিশ্বে ই-কমার্স এবং অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে হিসাব সংরক্ষণের জন্য এখন ব্যবহৃত হচ্ছে একাউন্টিং সফটওয়্যার এবং ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম, যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

আরো পড়ুন: অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব

চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। বর্তমানে রোগ নির্ণয় করা থেকে যেকোনো জটিল ও কঠিন অস্ত্রোপচারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে যেসব সেক্টরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় সেগুলো হল: 

  • টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে, 
  • রোগীর ব্যক্তিগত তথ্য, রোগীর পূর্ব ইতিহাস ইত্যাদি সবই জানা যায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে, 
  • ভিডিও কল এবং ইমেইল এর মাধ্যমে দূরে বসেও ডাক্তারের কাছ থেকে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে, 
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগীর সকল ধরনের তথ্য ডিজিটাল ভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব, 
  • বর্তমানে যেহেতু ঘরে ঘরে স্মার্ট ফোন ব্যবহৃত হয় সেহেতু মানুষ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে কোন সেবা মোবাইল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে সহজে নিতে পারছে, 
  • বর্তমানে বিভিন্ন দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষকরা তাদের গবেষণার কাজে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

বিনোদন ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব

ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় বসে গান শোনা, মুভি দেখা, যেকোনো ভিডিও বা অডিও এর মাধ্যমে তথ্যচিত্র দেখা, অবসর সময়ে বিভিন্ন ধরনের বিনোদন ভিত্তিক এবং গবেষণা ভিত্তিক বই পড়া সম্ভব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে। স্ট্রিমিং সার্ভিস, সোশ্যাল মিডিয়া, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ইত্যাদির মাধ্যমে এখন সর্বস্তরের জনগণ আরো বেশি পরিমাণে বৈচিত্র্যময় বিনোদন উপভোগ করতে পারে। তাছাড়া বর্তমানে youtube এবং ফেসবুকে প্রচুর পরিমাণে কনটেন্ট ক্রিয়টর রয়েছে যারা নিজেরাই ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড দিয়ে থাকে। 

আপনিও চাইলে এখানে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করে আপলোড দিয়ে বিনোদনের সুযোগ করে দিতে পারেন এবং এখান থেকে পর্যাপ্ত অর্থ ইনকাম করতে পারেন। তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিনোদন ক্ষেত্রে যেমন সুদূর প্রয়াসী প্রভাব রেখেছে ঠিক একইভাবে এখানে নানা ধরনের বিভ্রান্তি থাকে, অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষের অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে এবং সামাজিক সম্পর্কের উপর একটা বিরূপ প্রভাব তৈরি হচ্ছে।

সরকারি ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব

আধুনিক যুগের সরকারি সকল ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে সরকারি সকল ধরনের কর্মকাণ্ড স্বচ্ছতা এবং দক্ষতার সাথে করা সম্ভব হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সংমিশ্রনের ফলে। কাজের ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন এবং কাজের স্বচ্ছতা আনয়নের জন্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ‌ সরকারি সকল কাজে সরাসরি জনগণের অংশগ্রহণ এবং তাদের মতামত গ্রহণের প্রয়োজন হয়। 

সর্বস্তরের মানুষের মতামত গ্রহণ এবং তাদেরকে সরকারি কর্মকান্ডের আওতায় নিয়ে আসার জন্য যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা জরুরী তা কোনোভাবেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যতীত সম্ভব নয়। এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে খরচ কমে আসে এবং এখানে তুলনামূলক কম পরিমাণে মানব শক্তির প্রয়োজন হয়। সরকারি তথ্যের সহজলভ্যতা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অবশ্যই প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। চলুন এক নজরে দেখে আসি সরকারি যেসব ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়: 

  • ই গভর্নেন্স এর মাধ্যমে সকল ধরনের সরকারি সেবা অনলাইনের মাধ্যমে প্রদান করা, 
  • সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণকে সকল ধরনের সরকারি সেবা প্রদান করা,
  • জনগণের সাথে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ইন্টারেক্ট করার জন্য অবশ্যই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হয়,
  • জনগণের সকল ধরনের মতামত সরকারের কাছে পৌঁছানোর জন্য একমাত্র পদ্ধতি হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সঠিক এবং সফল ব্যবহার। ‌

 

FAQ

১) আইসিটি কি এবং এর গুরুত্ব? 

উঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একটা বর্ধিত শব্দ যা যোগাযোগের ভূমিকা এবং টেলিকমিউনিকেশন এবং কম্পিউটারের একীকরনের উপর জোর দেয়। বর্তমানে বিনোদনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

২) ডিজিটাল প্রযুক্তির গুরুত্ব কি? 

উঃ ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সব তথ্যকে শূন্য এবং এক এ রূপান্তরিত করা হয়ে থাকে। এভাবে ধীরে ধীরে তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াকরণ করার মাধ্যমে সমস্ত তথ্যগুলোকে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়।

৩)বিশ্বব্যাপী তথ্য প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করছে?

উঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অসাধারণ সুবিধা, দক্ষতা এবং যোগাযোগের কারণে খুব দ্রুত সুবিধাগুলি আমরা গ্রহণ করতে পারি যা আমাদের জীবনকে আরও বেশি প্রভাবিত, ত্বরান্বিত এবং আনন্দদায়ক করে তোলে।

📌 আরো পড়ুন 👇

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের মতামত

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন মানুষ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলেছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণ ছাড়া এখন একটা দিনও কল্পনা করা যায় না। আজকে রাতে গেলে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং এরকম তথ্যবহুল আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

Sharing Is Caring

Leave a Comment