ওয়েবসাইট হলো ইন্টারনেটে অবস্থিত এমন একটি স্থান, যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের তথ্য, ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য ডিজিটাল কনটেন্ট খুঁজে পাবেন। ওয়েবসাইট বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। ওয়েবসাইটের ধরণের উপর নির্ভর করে উক্ত ওয়েবসাইটে কী ধরনের তথ্য বা কন্টেন্ট থাকবে তা নির্ভর করে।
আপনি আমার লেখাটি এখন একটি ওয়েবসাইটে পড়ছেন। এই ওয়েবসাইটে টেক্সট এবং ছবি রয়েছে। এই টেক্সট এবং ছবি হচ্ছে এই ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট। তেমনি, ওয়েবসাইটভেদে ভিডিও সহ অন্যান্য ডিজিটাল কন্টেন্ট খুঁজে পাবেন। আজকের এই পোস্টে ওয়েবসাইট কী, ওয়েবসাইট কাকে বলে এবং ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করবো।
ওয়েবসাইট কাকে বলে
আমরা প্রায়শই ইন্টারনেটে বিভিন্ন তথ্য খুঁজে বেড়াই, পণ্য ক্রয় করি বা অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করি। এই সব কাজ করার জন্য আমরা যেসব স্থানে যাই, সেগুলোকেই ওয়েবসাইট বলে। সহজ কথায়, ওয়েবসাইট হলো ইন্টারনেটে থাকা এমন একটা জায়গা, যেখানে তথ্য, ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য অনেক কিছুই থাকতে পারে।
একটি ওয়েবসাইটকে একটি বইয়ের সাথে তুলনা করা যায়। বইয়ের মধ্যে যেমন অনেক পাতা থাকে, ঠিক তেমনি একটি ওয়েবসাইটেও অনেক পেজ থাকে। ওয়েবসাইটের এই পেজগুলোকে ওয়েবপেজ বলা হয়। একটি ওয়েবসাইটে অনেক ওয়েবপেজ থাকে। প্রতিটি ওয়েবপেজ একে অপরের সাথে লিংক করা থাকে। সবগুলো ওয়েবপেজ মিলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি হয়।
যখন আমরা কোনো ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস বা URL ব্রাউজারে টাইপ করি এবং এন্টার প্রেস করি, তখন উক্ত ব্রাউজার আমাদেরকে ওয়েবসাইটটির হোমপেজে নিয়ে যায়। হোমপেজে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ওয়েবপেজ লিংক করা থাকে। হোমপেজ থেকে আমরা প্রতিটি ওয়েবপেজ অ্যাক্সেস করতে পারি। ঠিক যেমন একটি বইয়ের ক্ষেত্রে সূচিপত্র থেকে আমরা প্রতিটি পাতার কন্টেন্ট এবং পেজ নাম্বার দেখতে পারি।
আপনি যদি কোনো একটি দোকানে যান, তখন আপনি সেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য দেখতে পাবেন। ঠিক তেমনি, একটি ওয়েবসাইটেও আপনি বিভিন্ন ধরনের তথ্য, পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে পারবেন। একটি ওয়েবসাইটে আপনি ব্লগ কন্টেন্ট পড়তে পারবেন, ভিডিও দেখতে পারবেন, অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং এমনকি কিছু কিনতেও পারেন। ওয়েবসাইটের ধরনের উপর নির্ভর করে আপনি উক্ত ওয়েবসাইট থেকে কী কী কাজ করতে পারবেন তা নির্ভর করবে।
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে HTML, CSS এবং JavaScript এর মতো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়। এই ল্যাঙ্গুয়েজগুলো ব্যবহার করে ওয়েব ডেভেলপাররা ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচার, ডিজাইন এবং কার্যকারিতা নির্ধারণ করে। সার্বিকভাবে বলতে গেলে, ওয়েবসাইট হলো ইন্টারনেটের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি আমাদেরকে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে তথ্য পেতে, পণ্য ক্রয় করতে বা এবং সেবা নিতে সাহায্য করে থাকে।
ওয়েবসাইটের কাজ কি
ওয়েবসাইট হলো ইন্টারনেটের একটি নির্দিষ্ট জায়গা, যেখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য, ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য ডিজিটাল কনটেন্ট একত্রিত করে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু এই ওয়েবসাইটগুলি আসলে কী কাজ করে? একটি ওয়েবসাইট কী কী কাজে ব্যবহার করা হয় বা ওয়েবসাইটের কাজ কী তা নিচে আরও বিস্তারিত উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। চলুন, জেনে নেয়া যাক।
তথ্যের আদান-প্রদান
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন ধরনের তথ্য, পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্রচারণা চালিয়ে থাকে। অর্থাৎ, একটি ওয়েবসাইট থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বা সেবা সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়াও, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খবর জানতে পারবেন। অনেকেই তাদের নিজস্ব জীবন বা যেকোনো বিষয় সম্পর্কে ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে থাকে। আপনি উক্ত ওয়েবসাইট থেকে সেসব তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।
একটি ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরণের ব্লগ কন্টেন্ট পাবলিশ করা হয়। ব্লগ কন্টেন্টগুলো থেকে আপনি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও, ব্লগ কন্টেন্ট থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য শেয়ার করে থাকে।
আমাদের এই ওয়েবসাইটে যেমন আপনি এই কন্টেন্টটি পড়ছেন, তেমনি এমন আরও অনেক কন্টেন্ট রয়েছে আমাদের এই ওয়েবসাইটে। এমন অসংখ্য ব্লগ ওয়েবসাইট রয়েছে পুরো ইন্টারনেট জুড়ে। এখানে সবাই বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে।
যোগাযোগের মাধ্যম
ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান গ্রাহক, অংশীদার বা অন্যান্য ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে পারে। অনলাইন ফর্ম, ইমেইল, চ্যাট বক্স ইত্যাদির মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ভিজিটররা সরাসরি ওয়েবসাইটের মালিকের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। কেউ যখন ওয়েবসাইটে থাকা পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে চাইবে, তখন তারা ওয়েবসাইটে থাকা উক্ত পদ্ধতি (অনলাইন ফর্ম, ইমেইল, চ্যাট বক্স ইত্যাদি) ব্যবহার করে তথ্য নিতে পারবে।
ব্যবসা পরিচালনা
অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বা সেবা বিক্রি করার জন্য ওয়েবসাইট ব্যবহার করে। এটি একটি অনলাইন দোকানের মতো কাজ করে, যেখানে গ্রাহকরা ঘরে বসে পণ্য ব্রাউজ করতে এবং কিনতে পারে। এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলোকে ই-কমার্স ওয়েবসাইট বলা হয়। ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে ওয়েবসাইটের মালিক পণ্য বিক্রি করতে পারে।
তেমনি, ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটররা যেকোনো পণ্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে এবং ঘরে বসে যেকোনো পণ্য ক্রয় করতে পারে। ই-কমার্স ওয়েবসাইটের কারণে এখন ঘরে বসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা যাচ্ছে অনায়াসেই। ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য এখন ওয়েবসাইট একটি মৌলিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনেকেই তাদের ব্যবসাকে অনলাইন ভিত্তিক করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করছে। আবার কেউ কেউ সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা খুলে বসছে। এতে করে, একজন ব্যক্তি যেমন ঘরে বসে যেকোনো পণ্য বা সেবা বিক্রয় করতে পারে, তেমনি গ্রাহকরা উক্ত পণ্য ঘরে বসেই ক্রয় করতে পারে। ফলে, পণ্য ক্রয় করার জন্য দোকান বা বাজার যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনা। এছাড়া, গ্রাহকরা এই সুবিধার কারণে পণ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে এবং অনেকগুলো জায়গা থেকে যাচাই-বাছাই করে পণ্য ক্রয় করতে পারে।
ব্র্যান্ডিং
একটি ওয়েবসাইট একটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের একটি অনলাইন পরিচয়পত্র হিসেবে কাজ করে। এটি একটি ব্র্যান্ডের ইমেজ তৈরি এবং বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে ডোমেইন নাম ক্রয় করে ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। উক্ত ওয়েবসাইটে তাদের প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত সকল তথ্য উল্লেখ করা থাকে।
এতে করে, যে কেউ চাইলে ইন্টারনেটে সার্চ করার মাধ্যমে তাদের প্রতিস্তান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। একইভাবে, একজন ব্যক্তি চাইলে তার নিজের নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবে। এরপর, উক্ত ব্যক্তি তার সম্পর্কে সকল তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে পারবে। অনেকেই এভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিজের চিন্তা-ভাবনা এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে লেখালেখি করে থাকে।
ফলে, তাদের লেখাগুলো পুরো বিশ্বের মানুষ পড়তে পারে। দুনিয়াজুড়ে খবর বা যেকোনো তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার জন্যও ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সামাজিক যোগাযোগ
অনেক ওয়েবসাইট সামাজিক যোগাযোগের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিও মূলত এক ধরনের ওয়েবসাইট। এসব সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ব্যবহার করে পুরো বিশ্বের মানুষ তাদের বন্ধু-পরিবারের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারে অনেক সহজেই।
অডিও কল, ভিডিও কল, ম্যাসেজ করা, ছবি আদান-প্রদান করা সহ আরও অনেক কাজ করা যায় এসব সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। এখন, বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে। এছাড়াও, এখন এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অনেকেই বিভিন্ন ব্যবসা গড়ে তুলছে।
বিনোদনের মাধ্যম
ওয়েবসাইটকে এখন মানুষ বিনোদনের মাধ্যম হিসেবও ব্যবহার করছে। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া, ভিডিও দেখা, ইউটিউব ব্যবহার করে ভিডিও দেখা সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে এখন মানুষ বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে। ইউটিউব নামক একটি ওয়েবসাইটে পৃথিবীর প্রায় সকল বিষয়ের উপর সবাই ভিডিও তৈরি করে আপলোড করে থাকে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্রচারণা চালানোর জন্য ইউটিউব ব্যবহার করে থাকে। কেউবা আবার ইউটিউব ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কাজ সম্পাদন করছে। অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করে সেসব ভিডিও মনিটাইজেশন করে টাকা ইনকাম করছে। বাচ্চারা ইউটিউব থেকে মজার মজার অনেক ভিডিও দেখতে পাচ্ছে।
সর্বোপরি, ইউটিউব সহ ভিডিও শেয়ারিং এবং অন্যান্য অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোকে মানুষ বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে। সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, ওয়েবসাইট হলো ডিজিটাল যুগের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি তথ্যের আদান-প্রদান, যোগাযোগ, ব্যবসা পরিচালনা, ব্র্যান্ডিং এবং সামাজিক যোগাযোগের মতো বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।
ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন
একটি ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যায়। ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা, নিজের মনে ভাব প্রকাশ, ব্লগ কন্টেন্ট লেখার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান দেয়া, ওয়েবসাইটকে মনিটাইজেশন করে টাকা ইনকাম করা, পণ্য বা সেবা বিক্রি করা সহ আরও অনেক কাজে একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন তা নির্ভর করবে আপনার উদ্দেশ্যের উপর। অনেকেই ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। এ ধরনের ওয়েবসাইটকে ই-কমার্স ওয়েবসাইট বলা হয়। ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবহার করে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার পূর্বের ব্যবসাকে অনলাইনভিত্তিক করতে পারবে কিংবা নতুন করে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা গঠন করতে পারবে। অনলাইনে একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করে টাকা ইনকাম করতে পারবে।
অনেকেই ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে উক্ত ওয়েবসাইটে টেক্সট এবং ইমেজ কন্টেন্ট আপলোড করে থাকে। বিভিন্ন দেশের ভিজিটররা এসব ওয়েবসাইটে আসে উক্ত তথ্যগুলো জানার জন্য। গুগল অ্যাডসেন্স সহ বিভিন্ন ধরনের অ্যাড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে উক্ত ওয়েবসাইট মনিটাইজ করা হলে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। এখন অনেকেই তাদের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে এই পদ্ধতিতে টাকা ইনকাম করছেন।
মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য অনেকেই ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে থাকেন। এছাড়াও, বিভিন্ন পত্রিকা তাদের নামে ওয়েবসাইট তৈরি করে উক্ত ওয়েবসাইটে খবর প্রকাশ করে থাকে। উক্ত ওয়েবসাইটগুলো থেকে আমরা দেশ-বিদেশের খবর জানতে পারি।
এমন আরও অনেক কাজেই একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন হয়। একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কী কাজে ওয়েবসাইট ব্যবহার করবে তা সম্পূর্ণ তাদের উপর নির্ভর করবে। অসংখ্য ওয়েবসাইট মিলে ইন্টারনেট তৈরি হয়েছে। যেখানে, আমরা বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে সার্চ করার মাধ্যমে যেকোনো বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ, পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানা এবং সেগুলো ক্রয় করতে পারি।
ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করে
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের CMS বা Content Management System ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলোর মাঝে WordPress, Blogger, Shopify, Joomla, Laravel ইত্যাদি সহ আরও অনেক রয়েছে। এসব সিএমএস ব্যবহার করে অল্প সময়ের মাঝে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
তবে, কেউ চাইলে ওয়েব ডেভেলপার দ্বারা কোডিং করে নিয়েও একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারে। এছাড়া, অনেক ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আলাদা করে সিএমএস তৈরি করা হয়। কী ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন তার উপর ভিত্তি করে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন সিএমএস ব্যবহার করবেন।
সাধারণত ব্লগ কন্টেন্ট সহ বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করা হয়। ওয়ার্ডপ্রেস বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় সিএমএস। এটি ব্যবহার করে অধিকাংশ মানুষ ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে।
ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং প্রয়োজন হবে। ডোমেইন হচ্ছে ওয়েবসাইটের নাম এবং হোস্টিং হচ্ছে উক্ত ওয়েবসাইটের সকল তথ্য রাখার জন্য একটি স্থান। ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য একটি ডোমেইন নাম নির্বাচন করতে হবে। যেমন — ayekorarupai.com এটি হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের নাম। এখানে ayekorarupai হচ্ছে ডোমেইন নাম এবং .com হচ্ছে উক্ত ডোমেইন নামের এক্সটেনশন। বিভিন্ন ধরনের ডোমেইন এক্সটেনশন ব্যবহার করে ডোমেইন ক্রয় করা যায়। কিছু জনপ্রিয় ডোমেইন এক্সটেনশন হচ্ছে — .com , .net , .org, .me , .info , .blog ইত্যাদি।
📌 আরো পড়ুন 👇
ডোমেইন নাম ক্রয় করার জন্য অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। ডোমেইন নাম কেনার পর একটি হোস্টিং কিনতে হবে। এরপর, ডোমেইন নাম এবং হোস্টিং কানেক্ট করে সিএমএস ব্যবহার করে বা কোডিং করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যাবে।
ওয়েবসাইট সম্পর্কে আমাদের মতামত
ওয়েবসাইট কী, ওয়েবসাইট কাকে বলে এবং ওয়েবসাইটের কাজ কী এসব বিষয় নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছি। ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করে এবং ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন এসব বিষয়ও জানতে পারবেন এই পোস্টে।
ওয়েবসাইট সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ