অনলাইন থেকে টাকা আয় করার উপায় – বর্তমানে বিশ্ব আধুনিক যুগে পা দিয়েছে। মানুষের বেকারত্বের পরিমানে কমাতে অফলাইনের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে অনলাইনের কাজের। গ্লোভাল ভিলেজ এর কারণে বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৫.৩ বিলিয়ন মানুষ অনলাইন মাধ্যম প্রতিনিয়ত ব্যাবহার করে থাকেন।
আমাদের দেশে ও বর্তমানে ভালো মানের ফ্রিল্যান্সার তৈরি হচ্ছে। দেশের বেকারত্ব দূরিকরণে বাংলাদেশ সরকার অনলাইন থেকে আয়ের সুযোগ তৈরি করতে নানান ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। অনেকেই মনে করেন অনলাইনে আয় করার জন্য শুধু মাত্র মার্কেটপ্লেসের উপর নির্ভর করে কাজ করতে হবে।
বিষয়টা একদমই ভুল একটি ধারণা। অনলাইন থেকে আপনার স্কিল দিয়ে নানান উপায় আয় করতে পারবেন। আপনি যদি অনলাইন থেকে টাকা আয় করার উপায় গুলো জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেল টি শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করুন। কারণ আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে অনলাইন থেকে আয় করার যে সকল মাধ্যম রয়েছে সব গুলোই আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
অনলাইন থেকে কি আয় করা সম্ভব
অনলাইন থেকে টাকা আয় করা অসম্ভব কিছু নয়। অনলাইন থেকে প্রচুর পরিমানে মানুষ বর্তমানে আয় করে স্বাবলম্বি হচ্ছে। অনলাইন থেকে আয় করার জন্য আপনাকে উপায় গুলো জানতে হবে। যখন আপনি উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝে যাবেন তখন আপনি ও চাইলেই অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
অনলাইন থেকে নানান ভাবে আয় করা সম্ভব। ইউটিউব বা ফেসবুকে যেমন ভিডিও বানিয়ে টাকা আয় করা যায় তেমনি আপনি আরো কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম ব্যবহার করে আয় করতে পারবেন। যারা মার্কেটপ্লেসে কাজ পান না তারা অনেকেই হতাস হয়ে পরেন। কিন্তু আপনারা চাইলে মার্কেটপ্লেস ছাড়াও অনেক টাকা আয় করতে পারেন।
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
অনলাইন কে মাধ্যম হিসেবে তৈরি করে সেখান থেকে আসলে অনেক অনেক উপায় আয় করা যায়। তবে আয় করার সেক্টর গুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। কিছু কিছু স্থানে বার বার চেষ্টা করতে হবে। কোনো এক উপায়ে আপনার আয় হওয়া শুরু হলে আপনার আর কিছুই করার দরকার হবে না।
বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার এর একমাত্র স্বপ্ন থাকে মার্কেটপ্লেসে বায়ার পাওয়া আর সেখান থেকে আয় করা। মূলত মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করে দেয়ার মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। আবার অনেকেই আছেন যারা ওয়েবসাইট তৈরি করে মার্কেটিং করে আয় করেন। তবে আপনি কোন মাধ্যমে আয় করবেন এটা নির্ভর করে আপনার দক্ষতার উপরে।
অনলাইন থেকে টাকা আয় করার বেশ কিছু মাধ্যম রয়েছে। নিম্নে সেগুলোর তালিকা দেওয়া হলো:
- ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম
- আর্টিকেল লিখে ইনকাম
- ভিডিও বানিয়ে ইনকাম
- ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম
- ভিডিও ইডিটিং করে ইনকাম
- ভয়েস ওভার দিয়ে ইনকাম
- গুগল এডসেন্স থেকে অনলাইন ইনকাম
- পিডিএফ বা ই-বুক বিক্রি করে ইনকাম
- ড্রপশিপিং করে ইনকাম
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
- ছবি বিক্রি করে ইনকাম
- অনলাইনে পড়িয়ে ইনকাম
- অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম
- ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম
- লিংক ছোট করে ইনকাম
- গেম খেলে ইনকাম
- Captcha সলভ করে ইনকাম
- মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে ইনকাম
- মোবাইল অ্যাপস থেকে ইনকাম
নিচে আমরা অনলাইন থেকে টাকা আয় করার অনেক গুলো উপায় সম্পর্কে বললাম। এখান থেকে যে কোনো একটি কাজ করে আপনি আয় করতে পারেন –
১। ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম

ওয়েবসাইট বানিয়ে মাসে অনেক টাকা অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্ভব। এখানে, আপনি ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন। সবচেয়ে কম খরচে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন যদি এই মাধ্যম ফলো করেন। ওয়েবসাইটে এডসেন্স এর এডস অথবা স্পন্সর এডস দিয়ে অনেক টাকা মাসে আয় করা যায়।
ব্লগ সাইট কিভাবে খুলবেন – প্রথমে আপনাকে ডোমেইন আর হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। আপনি যে ধরনের সাইট বানাতে চান সেরকম একটা ডোমেইন ক্রয় করার পর হোস্টিং এর সাথে যুক্ত করে ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলুন। এরপর সেটাকে ফ্রি থিম বা পেইড থিম দিয়ে মনের মতো ডিজাইন করে নিন। এবার সেখানে আর্টিকেল প্রকাশ করুন। গুগলের কাছে ভালো মানের কন্টেন্টের অনেক মূল্য থাকে তাই কিছু পরিমানে কন্টেন্ট প্রকাশ করে এডসেন্স আবেদন করে এডস লাগিয়ে ইনকাম শুরু করতে পারেন।
এখন কথা হচ্ছে আপনি যদি কন্টেন্ট তৈরি করতে না চান তাহলে অন্যদের কে ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে পারেন। কিন্তু এতে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য সব ধরণের স্কিল থাকতে হবে। আর আপনি যদি ভালো মানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেসে সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারেন।
২। আর্টিকেল লিখে ইনকাম
দিন দিন ব্লগ ওয়েবসাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে কাজের চাহিদা বাড়ছে আর্টিকেল লেখকের। এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে আর্টিকেল আবার কি ? আর্টিকেল হলো কোনো বিষয়ের উপরে বিস্তারিত লিখা। সেটা হতে পারে কোনো টিয়োটোরিয়াল, স্থান সম্পর্কে ইত্যাদি। আপনি যে লেখা টি এখন পড়ছেন এটাকে একটা আর্টিকেল বলে।
আর আপনি এরকম আর্টিকেল লিখে ভালো টাকা আয় করতে পারেন। যেহেতু আমি দীর্ঘদিন ধরে এই পেশার সাথে যুক্ত আছি তাই বলতে পারি। আপনি যদি ক্রিয়েটিভ লেখায় অভ্যাস্ত হোন তবে এই কাজ আপনার কাছে অনেক সহজ মনে হবে। আর্টিকেল আপনি বাংলা, ইংরেজি ভাষায় লিখতে পারেন।
বাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিস করে আয় করতে পারেন। আর বেশি টাকা আয় করার জন্য ফেসবুক বা মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লায়েন্ট খুজে আয় করতে পারেন। আর্টিকেল লেখা এমন একটি পেশা যদি আপনার কাছে ক্লায়েন্ট না থাকে তবে আপনি ব্লগার সাইট তৈরি করে সেখানে আর্টিকেল প্রকাশ করেও আয় করতে পারেন।
৩। ভিডিও বানিয়ে ইনকাম
অনলাইনে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা যায় এটা হয়ত অনলাইনের সাথে যারা পরিচিত আছেন তারা সকলেই জানেন। ভিডিও কনটেন্ট এর সাথে ফেসবুক বা ইউটিউব তাদের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে। আর এই বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা টাকা আপনাকে তারা প্রদান করে। আর এই পদ্ধতি কে বলা হয় মনিটাইজেসন।
তবে বেশিরভাগ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর দের মনিটাইজেসন পেতে অনেক ধরণের ঝামেলা পোহাতে হয়। তবে আপনার চ্যানেল যদি ভালো রিচ পায় তবে স্পন্সর বিজ্ঞাপন ভিডিও তে যুক্ত করেও আয় করতে পারবেন। ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে আপনার মনে রাখতে হবে যেন সেটা কোয়ালিটি সম্পন্ন হয়ে থাকে।
৪। ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম

ভিডিও দেখে অনলাইনে ইনকাম করা আসলে এক কথায় উত্তর দিলে সম্ভব না। তবে কিছু পরিমানে টাকা আয় করার মাধ্যম আছে। যদি আপনার মধ্যে অনলাইনে কাজ করার কোনো রকম দক্ষতা না থাকে তাহলে এই কাজ টি আপনার জন্য। তবে আপনার যদি অন্য কাজ করার ও শেখার মতো সময় থাকে তবে আমার উপদেশ থাকবে এই কাজ করে অনলাইনে সময় খরচ না করাই ভালো।
আচ্ছা এবার আসি ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম কিভাবে করবেন সে ব্যাপারে। ভিডিও দেখে আয় করার জন্য আপনারা অনেক এপস পেয়ে যাবেন যেগুলো আসলে স্ক্যাম। আপনি সারাদিন ভিডিও দেখেও ১০ টাকা আয় করতে পারবেন না। অল্প কিছু এপস আপনাকে পেমেন্ট করলেও তাও খুবই সাধারণ যা দিয়ে আপনার এমবি খরচ ও উঠবে না।
তবে মাইক্রো জব সাইট গুলোতে ১০/২০ সেন্ট করে পেতে পারেন বিভিন্ন ভিডিও দেখে। নিচে আমরা কয়েকটি মাইক্রো জব সাইটের নাম দিলাম যেখানে একাউন্ট করে আপনারা ভিডিও দেখে টাকা আয় করতে পারবেন।
- Task rabbit
- Microworkers
- Truelancer
- Clickworkers
- Zerk
- Inbox Doller
ইত্যাদি সাইট গুলো দিয়ে আপনি অল্প পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে আপনার কাছে যদি সময় থাকে তাহলে আমার অনুরোধ থাকবে এসব সাইটে সময় না দিয়ে প্রফেশনাল কোনো কাজ শিখে অনলাইনে কাজ শুরু করতে পারেন।
৫। ভিডিও ইডিটিং করে ইনকাম
বর্তমানে দিন দিন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক তেমনি চাহিদা তৈরি হচ্ছে ভিডিও এডিটর এর। সাধারণত ভিডিও এডিটিং অনেক ধরণের হয়ে থাকে। যদি আপনি টুকটাক গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ পারেন তাহলে মোশন গ্রাফিক্স এর কাজ করতে পারেন। তবে ভিডিও এডিটিং এর জন্য আপনাকে ভালো মানের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ দরকার হবে।
যদি আপনার কাছে ভালো মানের কম্পিউটার থাকে তাহলে Adobe Preimere Pro দিয়ে ভিডিও এডিটিং এর শুরু করতে পারেন। বর্তমানে নিউজ ভিডিও ও বিজ্ঞাপন ভিডিও এডিটর এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে মার্কেটপ্লেস গুলোতে। অনলাইনে যদি ভালো মানের কাজ করে আয় করতে চান তাহলে ভিডিও এডিটিং শেখা শুরু করতে পারেন।
৬। ভয়েস ওভার দিয়ে ইনকাম
ভয়েস ওভার আর্টিস্ট অত্যান্ত চাহিদা সম্পন্ন একটা ফ্রিল্যান্সার পেশা বর্তমানে। তবে এই পেশায় যুক্ত হওয়ার জন্য আপনার ভয়েস মিস্টি থাকতে হবে। আপনি হয়ত RJ দের ভয়েস কোনো না কোনো সময়ে শুনেছেন। খেয়াল করলে দেখবেন তাদের ভয়েস এর মধ্যে কোনো জড়তা বা অশুদ্ধতা নেই।
এই ধরণের ভয়েস গুলো দিয়ে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। আপনাকে আমি যদি বলি একজন ভয়েস আর্টিস্ট প্রতি মিনিট ভয়েস ওভার এর জন্য ৩০০-৪০০ টাকা আয় করে থাকে। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই অবাক হবেন। বর্তমানে যতো ইনফোগ্রাফিক ইউটিউব চ্যানেল আছে তার মধ্যে বেশিরভাগ চ্যানেল ক্রিয়েটর ভয়েস ওভার আর্টিস্ট এর মাধ্যমে ভয়েস ক্রয় করে ব্যাবহার করে থাকে।
ভয়েস ওভার দিয়ে আয় করার জন্য আপনার ভালো মানের মাইক্রোফোন পাশাপাশি নয়েজ মুক্ত একটি রুমের দরকার হবে। এবার স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী ভয়েস এর এক্সপ্রেসন দিতে হবে।
এখন, কথা হচ্ছে ভয়েস আপনি বিক্রি কোথায় করবেন? ভয়েস বিক্রি করার জন্য প্রথমে আপনি মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেখানে যদি ক্লায়েন্ট না পান তবে ফেসবুক বা লিংকডিন এ বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন হয়ে ক্লায়েন্ট খুজতে পারেন।
৭। গুগল এডসেন্স থেকে অনলাইন ইনকাম

অনলাইনে সবচেয়ে হালাল উপায় ইনকাম করতে চাইলে এডসেন্স থেকে আয় করতে পারেন। অনেকেই আছেন যারা হালাল উপায়ে অনলাইন থেকে আয় করতে চান। এখন বলতে পারেন – গুগল এডসেন্স তো বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে আমাকে টাকা দিচ্ছে তাহলে হালাল হলো কিভাবে? গুগল আপনাকে বিজ্ঞাপন ফিল্টার করার জন্য অপশন দিয়ে থাকে। যেখান থেকে আপনি শুধু মাত্র ভালো এডস গুলো আপনি আপনার ভিউয়ার কে দেখিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
এডসেন্স সাধারণত আপনি ইউটিউব বা ওয়েবসাইটে ব্যাবহার করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে অনেক রিকোয়্যারমেন্ট পূরণ করতে হবে। বিশেষ করে, ইউটিউবে গুগল এডসেন্স পেতে ১ হাজার সাবস্ক্রাইভ ও ৪০ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম থাকতে হবে। আর ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে কপিরাইট মূক্ত ২০-৩০ টা ভ্যালুয়্যাবল কন্টেন্ট পোস্ট করে পেতে পারেন। অনলাইন থেকে টাকা আয় করার এটি একটি অন্যতম মাধ্যম।
৮। পিডিএফ বা ই-বুক বিক্রি করে ইনকাম
অনলাইনে পিডিএফ বই বা ই-বুক বিক্রি করে আয় করতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই আপনার নিজের লেখা বই হতে হবে। আপনার নিজের লেখা কোনো পিডিএফ বই আপনি চাইলে Amazon থেকে শুরু করে রকমারি ওয়েবসাইটে বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
বর্তমানে AI দিয়ে পিডিএফ তৈরি করেও আয় করতে পারেন। বিভিন্ন ধরণের পিডিএফ গাইড বা কাজের ডকুমেন্টস গুলো আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করে বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রি করে আয় করতে পারেন। এ ছাড়াও আপনি একটা ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরণের বইয়ের পিডিএফ ভার্সন অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।
১০। ড্রপশিপিং করে ইনকাম

বর্তমানে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার অন্যতম ভালো একটি মাধ্যম হলো ড্রপশিপিং করে আয় করা। এই ব্যবসায় আপনার মূলধণ না থাকলেও চলবে। অনেকেই হয়ত জানেন না ড্রপশিপিং ব্যবসা আবার কি। ড্রপশিপিং হলো কোনো একটি প্রডাক্ট ডিলার এর থেকে এনে কাস্টমার কে দেয়া।
যদি আরো সহজ করে বলি – আপনি যে পন্য টি আপনার কাস্টমার কে দিবেন সেটা আপনাকে আগেই স্টক করতে হবে না। বরং কাস্টমার যখন পন্য টি অর্ডার করবে তখন ডিলার এর কাছ থেকে পন্য টি এনে আপনি কাস্টমার কে ডেলিভারি করতে পারবেন। বর্তমানে ফেসবুকে এমন অনেক শপ দেখা যায়। যেখানে শুধু মাত্র ড্রপশিপিং করে প্রচুর টাকা আয় করে যাচ্ছে।
১১। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন আপনি অনলাইনে – অফলাইনে দুই মাধ্যমেই। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য আপনাকে বুঝতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে কি?
যখন আপনি অন্য কোনো কোম্পানির কোনো পন্য বিক্রি করে দিবেন তখন সেখান থেকে আপনাকে একটা কমিশন দেয়া হবে। আর এটাকেই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা বলে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক ধরণের হতে পারে। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে যদি অনলাইন থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনার – ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া তে ভালো পরিমানে ভিজিটর থাকতে হবে।
যদি আপনার দেয়া পন্য কেউ ক্রয় না করে তাহলে আপনি কোনো টাকা আয় করতে পারবেন না। অ্যাফিলিয়েট করে আয় করার জন্য সবচেয়ে ভালো একটা সাইটের নাম হলো – এমাজন।
১২। ছবি বিক্রি করে ইনকাম

আপনি কি ছবি তুলতে ভালোবাসেন? তাহলে আপনি জানলে খুসি হবেন যে, অনলাইনে আপনি ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে সবার কাছেই ভালো মানের স্মার্টফোন আছে আর অনেকেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের ছবি তুলে থাকেন। আপনি চাইলে নিচের দেয়া সাইট গুলোতে ছবি বিক্রি করে আয় করতে পারেন –
Shutterstock
ছবি বিক্রি করে আয় করার জন্য ভালো মানের একটি সাইটের নাম হলো শাটার স্টক। এই সাইটে ছবি বিক্রি করার জন্য আপনাকে শাটারস্টক এর সাইটে যেতে হবে। এর পর ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে নিতে হবে। তবে আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ বয়সের বেশি থাকতে হবে। এরপর আপনাকে ৫-৬ টি ছবি দিতে হবে যেটা শাটারস্টোক টিম রিভিউ করার পর আপনি সেখান থেকে টাকা পাবেন। তবে ছবির কপিরাইট শুধু আপনার থাকতে হবে।
শুধু মাত্র শাটার স্টক নয় বরং আপনি নিচের দেয়া সাইট গুলো থেকেও ছবি বিক্রি করে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন –
- GettyImges
- Adobe Stock
- 500 PX
- DreamsTime
- Etsy
এ ছাড়াও অনলাইনে অনেক সাইট আছে যা আপনি গুগল করেই পেয়ে যাবেন।
১৩। অনলাইনে পড়িয়ে ইনকাম
অনলাইন থেকে টাকা আয় করার একটু অন্যতম উপায় হচ্ছে অনলাইন টিউশনি করা। কেননা প্রযুক্তি এখন অনেক এগিয়ে। টিউশনি করে টাকা আয় করা একমাত্র মাধ্যম ছাত্রজীবনে। টিউশনি আগে খুজে পাওয়া অনেক কঠিন ছিল তবে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার কারনে অনলাইনের মাধ্যমে পড়িয়ে ইনকাম করা যায়। আপনি ফেসবুকে স্ক্রল করলে এমন অনেক টিচার পেয়ে যাবেন যারা রাতারাতি মিলিয়ন এর মতো ফলোয়ার পেয়ছে।
আপনার যদি পড়ানোর দক্ষতা থাকে তাহলে আপনাকে বসে থাকতে হবে না। শুধু মাত্র একটা মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে আপনি অনলাইনে পড়ানো শুরু করতে পারেন। তবে শুরুতেই আপনাকে স্টুডেন্ট পেতে বেগ পেতে হতে পারে। এজন্য আমার দেয়া একটি ট্রিক্স এপলাই করতে পারেন –
ধরুন, আপনি ম্যাথ অনেক ভালো আর আপনি ম্যাথ পড়াবেন। সে ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট রা যে সব গ্রুপে থাকে সেসব গ্রুপে আপনাকে যুক্ত হবে। মাঝে মাঝে সেখানে আপনাকে ফ্রি লাইভ ক্লাস করতে হবে। প্রতিটা স্টুডেন্ট কে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে। এর পরে আপনার একটা পরিচিতি আসলে পেইড ভাবে পড়ানো শুরু করুন।
১৪। অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম
কোনো কাজের দক্ষতা ছাড়া যদি আপনি অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে চান তাহলে সার্ভে করে আয় করা আপনার জন্য উত্তম পন্থা হবে। এখন প্রশ্ন হলো সার্ভে আবার কি? সার্ভে শব্দের অর্থ হলো জরিপ। বিভিন্ন নামি দামি কোম্পানি গুলো তাদের পণ্যের মান কাস্টমার রা কিভাবে পাচ্ছে এটা যাচাই করার জন্য জরিপ করে থাকে।
এখন, জরিপ গুলো করার জন্য তারা আলাদা ভাবে কাউকে নিয়োগ না দিয়ে জরিপ কোম্পানির কাছে দিয়ে দেয়। আর আপনি সেই জরিপ কোম্পানি তে নিবন্ধন করে একজন কাস্টমার সেজে আপনাকে জরিপ সম্পন্ন করতে হবে। আর এর মাধ্যমে জরিপে অংশগ্রহণ করে আপনি আয় করতে পারবেন।
সার্ভে গুলো মূলত একদম সহজ হয়ে থাকে। আপনাকে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করা হবে আর অপসন থেকে একটা একটা সিলেক্ট করে দিতে হবে। একেকটা জরিপ করতে আপনার সর্বোচ্চ ১০-১২ মিনিট সময় লাগতে পারে। আর জরিপ অনুযায়ী আপনি ১ থেকে ৫ ডলার ও আয় করতে পারবেন।
তবে বাংলাদেশের কোম্পানি গুলো অনলাইনের মাধ্যমে জরিপ সম্পন্ন করে না তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সার্ভে করে আয় করতে চান তাহলে বাহিরের কোম্পানির কাজ করতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই ইন্টারনেট লোকেসন চেঞ্জ করতে হবে। যার জন্য মূলত বিভিন্ন দেশের আইপি এড্রেস কিনে আপনাকে ব্রাউজারে সেটাপ করে কাজ করতে হবে।
সার্ভে করে ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি সাইট হলো –
- Swagbuck
- SurveyJunkey
- Inbox Doller
- Life Points
- YouGov
১৫। ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম

অনলাইন থেকে টাকা আয় করার যতো মাধ্যম বলেছি তার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন আর বেশি টাকা আয় করার একমাত্র উপায় হলো ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম। ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি? ফ্রিল্যান্সিং হলো আপনি আপনার মূল কাজের বাইরে যে কাজ টা করেন সেটাই ফ্রিল্যান্সিং। ধরূন আপনি একটা কোম্পানিতে চাকরি করেন। সেখান থেকে আপনার ছুটি হয় রাত ৮ টায় এর পর যদি আপনি অন্য কোনো কাজ করে আয় করেন সেটাই আপনার ফ্রিল্যান্সিং।
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ লেভেলের যোগ্যতা থাকতে হবে। কারণ আপনি যদি কাউকে কাজে নেন টাকা দিতে নিশ্চিত ভাবেই সবচেয়ে দক্ষ লোক টা কে নেয়ার চেষ্টা করবেন। অনলাইনেও বায়ার রা সবচেয়ে দক্ষ লোক দিয়েই কাজ টি করিয়ে নেন।
আপনার যে কোনো একটা বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকলেই হবে এমন নয়। পাশাপাশি আপনার কমিউনিক্যাসন স্কিল, ইংরেজি বলার ও বোঝার দক্ষতা থাকতে হবে। আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন, কোডিং ইত্যাদি কাজ নিয়ে মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যুক্ত হতে পারেন। সেখান থেকে আপনি আন্তজার্তিক ভাবেই বায়ার খুজে পাবেন। কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো –
- Fiber
- Upwork
- Guru
- Frelancer.com
- Truelancer
১৬। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম বর্তমানে অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন জায়ান্ট কোম্পানি থেকে শুরু করে ছোট ছোট অনেক কোম্পানি এখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করতেছে। আমরা অনেকেই হয়ত ফেসবুকে বা ইউটিউবে বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপন দেখি। মূলত আমরা যা নিয়ে সার্চ করি সে ধরণের বিজ্ঞাপন আমাদের সামনে চলে আসে।
ফেসবুক মুলত ব্যাবহারকারির ডাটা নিয়ে বিজ্ঞাপন গুলো প্রদর্শন করে যাতে পণ্য টি যার দরকার তার কাছেই কেবল যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার এ ধরণের মার্কেটিং করে দিয়ে আপনি আয় করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে মার্কেটিং এর সম্পূর্ণ জ্ঞান আপনার থাকতে হবে। আপনি সঠিক ভাবে না করতে পারলে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন না। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করতে চাইলে এ সম্পর্কে সব কিছু ভালো ভাবে আগে শিখে নিতে হবে।
১৭। লিংক ছোট করে ইনকাম
অনলাইন থেকে টাকা আয় করার আরো একটি ভালো মাধ্যম হলো এটি। লিংক ছোট করে ইনকাম করা অনেক সহজ হলেও আপনার প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকতে হবে। বিষয়টা যদি আমি সহজ করে বলি – আপনি যখন গুগল ড্রাইভে করে কাউকে ফাইল পাঠান। যে ফাইল টা পায় সে লিংকে ঢোকার সাথে সাথে ফাইল টা পেয়ে যায় আর লিংক টাও অনেক বড় হয়ে থাকে।
তবে এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে এই লিংক টা কে আপনি অনেক ছোট করতে পারবেন। আর যিনি লিংকে ঢুকবে তার সামনে এডস দেখানো হবে। আর এখানে দেখানো এডস এর মাধ্যমেই মুলত আপনার ইনকাম হবে। বিভিন্ন সাইট অনুযায়ী কত টাকা ইনকাম হবে এটা ভিন্ন হয়ে থাকে।
তবে আপনি প্রতি ১ হাজার এডস ইম্প্রেসনে ১-২ ডলার বা বেশিও আয় করতে পারেন। নিচে লিংক ছোট করে আয় করার কয়েকটি সাইটের নাম দিলাম –
- Shorte.st
- Adf.ly
- Smoner.com
- Clk.sh
১৮। গেম খেলে ইনকাম

গেম খেলে টাকা ইনকাম কথা টি শুনে হয়ত ভাবছেন গেম খেলে আবার টাকা আয় করা যায় নাকি। আসলে আপনি চাইলে প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন গেম খেলার মাধ্যমে। সেটা হতে পারে কয়েক লাখ টাকার ও বেশি। তবে এখানে আমি বিভিন্ন এপসের মধ্যে গেম খেলে টাকা ইনকাম এর কথা বলছি না।
গেম খেলে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে সেই গেমের একজন দক্ষ খেলোয়ার হতে হবে। যখন আপনি দক্ষ খেলোয়ার হবে যাবেন তখন বিভিন্ন ধরণের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করতে হবে। যদিও এখনো বাংলাদেশে তেমন টুর্নামেন্ট এর আয়োজন হয় না। তবে পাবজি, ফ্রি ফায়ার, কল অফ ডিউটির বিভিন্ন ধরণের ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট হয়। যেখানে প্রাইজ থেকে কয়েক লাখ টাকার বেশি।
শুধু যে টুর্নামেন্ট খেলেই আয় করা যায় এমন নয় আপনি চাইলে ইউটিউব বা ফেসবুকে লাইভস্ট্রিম করতে পারেন। এতে একদিকে আপনার গেম খেলাও হবে অন্যদিকে আপনার পরিচিতি বারবে। একটা সময় ক্যারিয়ার হিসেবেই গেমিং পছন্দ করে নেয়ার সুযোগ পাবেন।
১৯। Captcha সলভ করে ইনকাম
আমি আমার জীবনের প্রথম টাকা আয় করেছিলাম ক্যাপচা সমাধান করে। অনেক আগে থেকেই অনলাইন থেকে টাকা আয় করার ভালো একটা মাধ্যম হলো ক্যাপচা সল্ভ করে আয় করা। তবে এখানে আয়ের পরিমান অনেক কম। আপনি যদি একদম অনলাইনে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে এখান থেকে কাজের শুরু টা করতে পারেন।
আমরা অনলাইনে ঘাটাঘাটি করার সময় বিভিন্ন সময়ে প্রমান করতে হয় আমি রোবট নই আর একটা ক্যাপচা সল্ভ করতে হয়। মূলত এরকম হাজার হাজার ক্যাপচা ১০ সেকেন্ড পর পর আপনার কাছে আসবে যেগুলো বসে বসে আপনাকে সমাধান করতে হবে তাহলে আয় করতে পারবেন। তবে প্রতি ১ হাজার ক্যাপচা যদি আপনি সমাধান করতে পারেন তাহলে ১ ডলার আয় করতে পারবেন। আর বার বার ভুল সমাধান করলে আপনার একাউন্ট ব্যান হতে পারে। নিচে কয়েকটি ক্যাপচা সল্ভ করে আয় করার ওয়েবসাইটের নাম দিলাম –
- Megatypers
- 2 captcha
- Kolotibablo
- fasttypers
২০। মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে ইনকাম
যদি আপনি ছোট ছোট কাজ যেমন – জিমেইল খোলা, ফেসবুক একাউন্ট খোলা, লাইক ফলো সাবস্ক্রাইভ ইত্যাদি করে আয় করতে চান তাহলে আপনি মাইক্রো জব ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারেন। মাইক্রো জব সাইট গুলো মার্কেটপ্লেসের মতই তবে আপনাকে এখানে বায়ার খুজতে হবে না।
সব কাজ গুলো টাস্ক এর মতো থাকবে। আপনাকে টাস্ক অনুযায়ী কাজ করে কাজের প্রমান দিতে আয় করতে হবে। এসব সাইটে আয়ের পরিমানে অনেক কম হয়ে থাকে। কাজ যেহেতু একদম এই সহজ তাই আয়ের পরিমান কম হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। যদি আপনার হাতে অনেক সময় থাকে তাহলে এই কাজ গুলো করতে পারেন নিচে কয়েকটি মাইক্রজব সাইটের নাম দিলাম –
- Clickworker
- People per hour
- Task Rabbit
- Inbox Dollars
- SEO clerk
- Branded Survey
২১। মোবাইল অ্যাপস থেকে ইনকাম

মোবাইল এপস থেকে আয় করা যায় তবে সেটা অনেক কম। আপনাকে প্রচুর পরিমানে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আপনাকে ১০/২০ টাকা দিবে। যা দিয়ে হয়ত আপনার মেগাবাইটের খরচ ও উঠবে না। আমি মূলত কাউকে মোবাইল এপস দিয়ে এখনো ইনকাম করতে দেখিনি বা আমিও পারিনি।
তাই এই কাজ আমি কাউকে রেকমন্ডেড করবো না। তবে আপনি যদি ইনকাম করতেই চান তাহলে প্লেস্টোরে বিভিন্ন এপস দেখুন। যেটার রিভিউ ভালো বা ফেসবুকে গ্রুপ বা পেজ আছে। সেখানে অন্যসবার মতামত দেখে আপনি কাজ শুরু করতে পারেন।
অনলাইন থেকে ইনকাম করার আগে যা মাথায় রাখবেন
অনলাইন থেকে টাকা আয় করার আগে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যা আমি নিচে লিস্ট আকারে দিয়ে দিলাম –
- কাজ করা শুরু করলেই আপনি টাকা আয় করতে পারবেন না। তাই এই ধরণের মনোভাব নিয়ে অনলাইনে ইনকাম করতে আসলে মন খারাপ হবে।
- অনলাইনে কাজ করার মানুষের পরিমান বেশি তবে কাজ দেয়ার লোক কম। তাই আপনি যে কাজে আসবেন সেটার উপর দক্ষতা নিয়েই আসুন।
- ইনকাম হওয়ার আগেই ক্যারিয়ারে এটা কে প্রথম প্রয়োরিটি দিবেন না। নিজের একটা ক্যারিয়ার অফলাইনে গড়ুন এর পরে সময় থাকলে অনলাইনে কাজ করুন।
- বিভিন্ন ধরনের কোর্স পাবেন যা অনেক লোভনীয় তবে আপনি কোর্স করলেই আয় করতে পারবেন না সেটা মাথায় রাখবেন।
সর্বোপরি, যদি আপনার ধৈর্য আর কাজের দক্ষতা থাকে তাহলেই কেবল অনলাইন আয়ের দিকে ঝুকতে পারবেন। এ ছাড়া অনলাইন থেকে আয় করে যাওয়া মানুষের সফলতার চেয়ে ব্যার্থতার গল্পই বেশি দেখা যায়।
অনলাইন থেকে আয় করা সম্পর্কে আমাদের মতামত
আজকের আর্টিকেলে আমরা অনলাইন থেকে টাকা আয় করার ২০টির ও বেশি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই উপায়গুলো ১০০% অথেন্টিক। তবে আপনি এসব ওয়েবসাইটে বা অ্যাপসে কাজ করার আগে জেনে নিবে ওনাররা এখনও পেমেন্ট করে কিনা। অন্যথায় আপনার পরিশ্রম বৃথা যাবে।
অনলাইন থেকে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন। আমরা দ্রুত উত্তর দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ