সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি

3/5 - (2 votes)

Search Engine Optimization এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল SEO যাকে আমরা বাংলায় এসইও বলে থাকি। যেকোনো ওয়েবসাইটকে আরো ভালোভাবে অপটিমাইজ করার জন্য বা ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি বানানোর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমান সময়ে ট্রেন্ডিংয়ে যে সমস্ত টপিকস রয়েছে তার মধ্যে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অন্যতম। মূলত এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতাভুক্ত এবং যেকোনো ওয়েবসাইট ভিজিটর বা ট্রাফিক আনার উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইট কে অপটিমাইজ করার প্রক্রিয়ায় হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে যেকোনো ওয়েব পেজ হাজার হাজার কি ওয়ার্ডের এর জন্য সার্চ ইঞ্জিনে জায়গা নিয়ে থাকে। সাধারণত এই বিষয়টিকে আমরা ইংরেজিতে Ranking/ Rank বলে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি, এসইও কত প্রকার ও কি কি, White Hat ও Black Hat এসইও কি, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শেখার উপায়, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ কি ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।

Table of Contents

এসইও কি

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হল এসইও এর পূর্ণরূপ। যখন একজন পাঠক গুগলে প্রবেশ করে এবং সে তার কৌতূহল মেটানোর জন্য যখন কিছু একটা লিখে সার্চ করে তখন google ওই সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট প্রদর্শন করে। ফ্রন্ট পেজে যেই সার্চ ইঞ্জিন গুলো প্রদর্শিত হয় সেখান থেকে পাঠক তার পছন্দ অনুযায়ী লিংকে ক্লিক করে ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এবং তার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে।

যে পদ্ধতিতে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট গুলো দেখায় তাকেই এসইও বলা হয়। Google, Bing এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের সাথে সম্পর্কিত পরিষেবা সার্চ করে ওয়েবসাইটে ভিজিবিলিটি বাড়ানোর একটি প্রক্রিয়া হল এসিইও। মনে রাখবেন ওয়েবসাইটে যদি অর্গানিক ভিসিবিলিটি থাকে তাহলে ভিজিটর এর মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

এসইও কত প্রকার ও কি কি

খুব স্বাভাবিক দৃষ্টিতে এসইও কে আমরা সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করে থাকি। সেগুলো হলো: অন পেজ এসইও, টেকনিক্যাল এসইও, অফ পেজ এসিইও। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর দৃষ্টিভঙ্গি তে এসইও বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় এসইও এর প্রকারভেদ গুলো হল:

  • কন্টেন্ট এসইও (Content SEO),
  • অফ-পেজ এসইও (Off-Page SEO),
  • টেকনিক্যাল এসইও (Technical SEO),
  • মোবাইল এসইও (Mobile SEO)
  • ই-কমার্স এসইও (E-commerce SEO),
  • লোকাল এসইও (Local SEO),
  • অন-পেজ এসইও (On-Page SEO)।

White Hat ও Black Hat এসইও কি?

যারা দীর্ঘদিন ধরে এসিইও নিয়ে কাজ করছেন তারা এসইওকে দুইটি ভাগে ভাগ করে থাকেন। যথা: 

  • White Hat এসইও
  • Black Hat এসিইও।

প্রতিনিয়ত গুগল সার্চ ইঞ্জিন তার RANKING এলগোরিদমে অনেক পরিবর্তন আনছে। যার ফলশ্রুতিতে গুগলে যে কোন কনটেন্ট রেংকিং করানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। ঠিক এ কারণেই দক্ষ এসইও এক্সপার্ট গণ এসইও কে দুই ভাগে ভাগ করে কাজ সম্পাদন করছেন। নিচে আমরা এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

হোয়াইট হ্যাট এসইও

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের যে পদ্ধতিতে সার্চ ইঞ্জিনের নির্দেশনা এবং নিয়ম অনুসরণ করা হয় তাকেই হোয়াইট হ্যাট এসইও বলা হয়। এখানে সার্চ ইঞ্জিনে যাবতীয় নিয়ম কানুন মেনে ওয়েবসাইট অপটিমাইজ করলে অবশ্যই কনটেন্ট রেংকিং এ চলে আসে। আর খুব স্বাভাবিকভাবে যখন আপনার কনটেন্ট রেংকিং এ আসবে তখন আপনার ট্রাফিক এবং ভিজিটরের সংখ্যা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে। 

ব্ল্যাকহ্যাট এসইও

সার্চ ইঞ্জিনের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম নীতি থাকে, যখন সেই নির্দিষ্ট নিয়ম নীতিগুলোকে ভেঙ্গে তাড়াতাড়ি কনটেন্ট রেঙ্ক করানোর জন্য কৃত্রিমভাবে লিংক বিল্ডিং করা হয় তখন তাকে ব্ল্যাকহ্যাট এসিইও বলে। বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজে হাজার হাজার লিংক এখানে তৈরি করা সম্ভব। ফলের এখানে মানুষ ক্রমান্বয়ে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে।

বেশি লিংক ব্যবহার করে কনটেন্ট খুব দ্রুত রেঙ্ক করানো গেলেও সার্চ ইঞ্জিন যদি কোন ভাবে এই লিংক গুলো ধরে ফেলে তবে ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন বাতিল করে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি একবার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন বাতিল করে দেয় তাহলে তা পুনরায় বিল্ডআপ করানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে।

কোথায় এবং কিভাবে এসইও শিখবেন

এসইও খুব বেশি কঠিন জিনিস না হলেও আপনি যদি এসে এক্সপার্ট হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করতে চান তাহলে এসইও সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয় আপনার জানতে হবে এবং বুঝতে হবে। বর্তমানে অনেকে ঘরে বসেই গুগল এবং ইউটিউব ব্যবহার করে এসইও সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সহজেই ধারণা লাভ করতে পারছে।

যদি আপনার অনলাইন থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে অফলাইন এ বিভিন্ন ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেনিং গ্রহণ করে এসইও শিখতে পারেন। তবে আগে অনলাইন থেকে এসইও সম্পর্কে টুকিটাকি তথ্য জেনে তারপর যদি আপনি কোর্স করেন তাহলে আপনার এসইও সম্পর্কে একটা বিস্তারিত ধারনা তৈরি হবে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শেখার উপায় কি কি

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শেখার আগে প্রথমত আপনাকে জানতে হবে সার্চ ইঞ্জিন কি, যা আমরা ইতোমধ্যে উপরে আলোচনা করেছি। এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখতে হলে আপনাকে যে বিষয়গুলো জানতে হবে তা হল: 

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি এবং কিভাবে কাজ করে,
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ব্যবহার করে কিভাবে একটি ওয়েব পেজকে রেংকিংয়ে আনা যায় সে সম্পর্কে, 
  • কোথায় এবং কিভাবে এসেও শিখবেন সে সম্পর্কে, 

চলুন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে কাজ করে তা একনজরে দেখে আসা যাক: 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন গুলোর মধ্যে আমরা এখন গুগল নিয়ে আলোচনা করব। কারণ সার্চ জগতের মোট ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ google একাই দখল করে আছে। কোন তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে আমরা সর্বপ্রথম গুগলে সার্চ করি। কারণ আমাদের সবার মোটামুটি একটা ধারণা আছে, গুগলে সার্চ করলে আমরা সঠিক তথ্য পাব।

google প্রতিনিয়ত অনলাইনের সকল ডকুমেন্ট, ওয়েবসাইট, টেক্সটগুলোর গুরুত্বপূর্ণ অংশ ইনডেক্স করে নেয় যা পরবর্তীতে রিডারের সার্চ করা শব্দের সাথে মিল রেখে সার্চ ইঞ্জিন এর রেজাল্ট গুলো দেখায়। এক্ষেত্রে গুগল কিছু অ্যালগরিদম ব্যবহার করে থাকে। গুগলে কোন তথ্য সার্চ করার পর আমাদের সামনে যে রেজাল্ট আসে তাকে সাধারণত তিনটি ধাপে ভাগ করা হয়ে থাকে। সেগুলো হলো: 

১. ক্রল

সফটওয়্যার প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে ক্রল অন্যতম যার কাজ হলো লিংক থেকে লিংক এর মধ্যে বা ওয়েব পেজ থেকে ওয়েব পেজের মধ্যে ঘুরে বেড়ানো।

২. র‍্যাঙ্কিং

যখন একজন পাঠক গুগলে প্রবেশ করে সেখানে কোন তথ্য জানতে চাওয়ার জন্য কোন একটি কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করেন তখন সার্ভারে থাকা রিলেটেড সব ডকুমেন্ট অ্যালগোরিদম ফলো করে এনালাইসিস করা হতে থাকে। রেংকিং ফ্যাক্টর গুলো অনুসরণ করার ফলে না কোন একটি সাইটের নাম আগে আসে এবং কোন একটি সাইটের নাম পরে আসে। SERP পেজের ফলাফল গুলো পাঠকদের সামনে আরো ভালোভাবে তুলে ধরার জন্য গুগল প্রতিনিয়ত তাদের অ্যালগরিদম আপডেট করে থাকে।

৩. ইন্ডেক্সিং

সফটওয়্যার প্রোগ্রামিং এর দ্বিতীয় ধাপ হলো ইনডেক্সিং। ক্রল করা কন্টেন্টটি ব্যবহার করা যায় কিনা তা এ পর্যায়ে এসে সার্চ ইঞ্জিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। ক্রল করার জন্য যখন একটি ওয়েব পেজ যোগ্য বলে বিবেচিত হয় তখন তারা ইনডেক্সিং করে থাকে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে কাজ করে

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে কাজ করে

সার্চ ইঞ্জিনগুলি ওয়েবেপেজ ক্রল করতে, এক্সাইড থেকে অন্য সাইটে প্রবেশ করতে এবং সবগুলো পৃষ্ঠা সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কাজ করে থাকে। সবগুলো রেংকিং ফ্যাক্টর বিবেচনা করে এবং পেজগুলোকে বিশ্লেষণ করার ফলে সার্চ ফলাফল ক্রমান্বয়ে প্রদান করে থাকে। নিচে কিছু জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনের নাম এবং তাদের সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো: 

ক্রমিক নাম্বার  সার্চ ইঞ্জিন বিস্তারিত
Google সার্চ ইঞ্জিন গুলোর মধ্যে google অন্যতম যা প্রায় নব্বই শতাংশ জায়গা দখল করে রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় প্রতি সেকেন্ডে, google এ প্রায় ৭০ হাজার টপিক্স এর জন্য সার্চ বাটনে ক্লিক করা হয়।
Bing বিং সাধারণত US মার্কেট শেয়ার করে, তবে  US মার্কেটের বাইরে এর তেমন কোনো ব্যবহার পরিলক্ষিত হয় না
Baidu এটি একটি জনপ্রিয় চাইনিজ সার্চ ইঞ্জিন। যেহেতু চায়নাতে গুগল নিষিদ্ধ তাই এখানে Baidu এর ব্যবহার অধিক পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।
Yahoo ইয়াহু এর জনপ্রিয়তা একসময় বেশ ভালো থাকলেও বর্তমানে জনপ্রিয়তা শূন্যের তলায়। বর্তমানে ইয়াহু মাত্র ৩% মার্কেট শেয়ার করে থাকে।
Yandex এটি একটি রাশিয়ান সার্চ ইঞ্জিন যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাশিয়ানরাই ব্যবহার করে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় অন্তত ৬৫ শতাংশ রাশিয়ান Yandex ব্যবহার করে থাকে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ কি 

আজকের আর্টিকেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজ কি? সবচেয়ে সহজ ভাবে বলতে গেলে, ওয়েবসাইটের আয় বাড়ানোর জন্য এবং ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত করার জন্য কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা হয়ে থাকে। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো: 

  • ভালো মানের কি ওয়ার্ড রিসার্চ করে খুঁজে বের করতে হবে, 
  • পেজের টাইটেল অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, 
  • পেজের URL-এ কীওয়ার্ড রাখতে হবে, 
  • মেটা ডেসক্রিপশন এর ভেতর কিওয়ার্ড রাখার চেষ্টা করুন, 
  • H1 এর পাশাপাশি যতগুলো হেডিং ব্যবহার করবেন সবগুলোতে কিওয়ার্ড রাখতে হবে, 
  • ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করুন,
  • প্রতিনিয়ত রেংকিং চেক করুন।

চলুন এবার সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের এই ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক। 

১) ভালো মানের কি ওয়ার্ড রিসার্চ করুন

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি

কীওয়ার্ড হলো এমন একটি জিনিস যা পাঠক গুগলে লিখে সার্চ করেন তথ্য খুঁজে পাওয়ার জন্য। কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য কয়েকটি পদ্ধতির মনে রাখা ভালো। 

  • Search Volume বা মাসিক গড় সার্চের সংখ্যা দেখে কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন,
  • কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় ডিফিকালিটি কম দেখে কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন, 
  • কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য ভালো মানের টুলস ব্যবহার করুন। 

কি ওয়ার্ড রিসার্চ এর জন্য সবচেয়ে ভালো মানের টুলস গুলো হল: Ahraf.com) – পেইড, (SEMRush.com) – ফ্রী, (Surferseo.com)- ফ্রি গুগল ক্রম এক্সটেনশান, WMS everywhere – ফ্রি গুগল ক্রম এক্সটেনশান,

Google AdWords – ফ্রি (তবে কিছু লিমিটেসনস আছে)।

২) অন পেজ অপটিমাইজেশন

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি

উপরিউক্ত টুলস গুলোর মাধ্যমে আপনি যে কিওয়ার্ড বাছাই করবেন তা ভালোভাবে অপটিমাইজেশন করার জন্য অন পেজ অপটিমাইজেশন এবং অফ পেজ অপটিমাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট আর্টিকেল নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড ব্যবহার করে রেংক করানোর জন্য অবশ্যই অন পেজ অপটিমাইজেশন এর গুরুত্ব রয়েছে। অন পেজ অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে আপনার যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে সেগুলো হল: 

  • ডেসক্রিপশন এর মধ্যে মেইন কিওয়ার্ড রাখতে হবে, 
  • টাইটেল এর মধ্যে কিওয়ার্ড রাখতে হবে, 
  • পোস্ট লিঙ্ক বা পোস্ট অ্যাঙ্কর ব্যবহার করতে হবে,
  • মেইন কিওয়ার্ডের সমার্থক শব্দ ব্যবহার করতে হবে,
  • কনটেন্টে যদি ইমেজ ব্যবহার করেন তাহলে সেখানে কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং অল্টার ট্যাগের মধ্যেও কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে, 
  • কনটেন্টের সাথে রিলেটেড ছবি বা ভিডিও এখানে এড করতে পারেন, 
  • কথার মাধ্যমে কনটেন্ট এর মধ্যে কিওয়ার্ড এড করতে হবে, এখানে কোনভাবেই কিওয়ার্ড স্টাফিং করা ভালো নয়।

অন পেজ অপটিমাইজেশন সম্পর্কে আমরা মোটামুটি আপনাদেরকে অবগত করতে পেরেছি বলে মনে হয়। চলুন এখন এক নজরে অফ পেজ অপটিমাইজেশন কিভাবে করবেন তা দেখে নেওয়া যাক: 

  • লিংক তৈরি করার সময় উপযুক্ত নয় এমন ধরনের ওয়েবসাইট পরিত্যাগ করুন, 
  • ভালো মানের কন্ট্রাকচুয়াল লিংক তৈরি করতে হবে, 
  • রিলেটেড সাইটে ব্যাক লিঙ্ক তৈরি করতে হবে,

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কয়েকটি জনপ্রিয় টুলস

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের প্রথম ধাপ হলো কিওয়ার্ড রিসার্চ করা। কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য জনপ্রিয় টুলস হল: 

  • Google Keyword Planner,
  • Google Trends,
  • Semrush
  • Ahrefs.

ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স ঠিক আছে কিনা এবং ওয়েবসাইটে ট্রাফিক কেমন হচ্ছে বা এর কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য জনপ্রিয় টুলস গুলো হল: 

FAQ

১)SEO শিখতে কি কি জানতে হবে?

উঃ SEO শিখতে হলে এসইও টুলস এর ব্যবহার, নিয়মিত এসিও অডিট, সার্চ ইঞ্জিন কার্যপ্রক্রিয়া অডিট করা ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।

২)এসইও করে কি আয় করা যায়?

উঃ এসইও করে অবশ্যই টাকা ইনকাম করা যায়। প্রতিনিয়ত এসিও রিলেটেড কাজ করার পাশাপাশি আপনি কিছু স্টুডেন্ট জোগাড় করে তাদেরকে এসইও এর কাজ শিখিয়েও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। একজন ভালো মানের এসিও এক্সপার্ট মাসে এক লক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে।

৩)সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজড ওয়েবসাইট তৈরির জন্য নিচের কোনটি প্রয়োজন?

উঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ ওয়েবসাইট তৈরির জন্য প্রথমত প্রয়োজন হল কিওয়ার্ড রিসার্চ। Keyword Planner বা Ubersuggest ব্যবহার করে আপনি ভালো মানের কিওয়ার্ড খুঁজে পেতে পারেন যা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ ওয়েবসাইট এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৪)এসইও করে আয় করতে কতদিন লাগে?

উঃ অভিজ্ঞ কোন এসইও এজেন্সি থেকে এসইও শিখে আয় করার জন্য তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগে। প্রথম দিকে আয় কিছুটা কম থাকলেও ভালো পরিমাণে আয় করার জন্য অন্তত এক বছর সময় লাগতে পারে।

📌 আরো পড়ুন 👇

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে আমাদের মতামত 

প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ওয়েবসাইট টিকিয়ে রাখার জন্য এবং ওয়েব পেজের রেংকিং রাখার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কোন বিকল্প নেই। আজকে রাইটিকেলে আমরা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি যারা এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা চাচ্ছিলেন তাদের জন্য আজকে রায়টি কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হবে। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের তথ্যবহুল মনে হয় তবে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং এরকম তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

Sharing Is Caring

Leave a Comment